alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সার, বীজ ও কীটনাশকের কৃত্রিম সংকটের কারণে সংকটের মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের আগাম সবজি চাষীরা। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি গ্রামে আগাম ফুলকপি চাষে কৃষকদের উৎসাহ থাকলেও, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের সরবরাহ ও মূল্যবৃদ্ধি তাদের লাভের আশাকে ম্লান করে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু কৃষকদের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং দেশের কৃষি অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কৃষকদের অভিযোগ, গত বছর যে ফুলকপির বীজ সাত থেকে সাড়ে সাত শ টাকায় কেনা গেছে, এ বছর তা কিনতে হচ্ছে ১৬ শত থেকে ১৮ শত টাকায়। সারের দামও বেড়েছে। অনেক কৃষক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সবজি চাষে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে সার ও বীজের সরবরাহ না পাওয়া এবং অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় তাদের খরচ উঠানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাজারে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এরপরও কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় রোপা আমনের আবাদ বেড়েছে, যার ফলে সারের চাহিদা বেড়েছে। তবে বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। সুষ্ঠু বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি বরাদ্দের সার সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

কুড়িগ্রামের কৃষকদের সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। সার, বীজ ও কীটনাশকের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর তদারকি ও বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের জন্য সরকারি ভর্তুকি বাড়িয়ে এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের আর্থিক বোঝা কমানো যেতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সার, বীজ ও কীটনাশকের কৃত্রিম সংকটের কারণে সংকটের মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের আগাম সবজি চাষীরা। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি গ্রামে আগাম ফুলকপি চাষে কৃষকদের উৎসাহ থাকলেও, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের সরবরাহ ও মূল্যবৃদ্ধি তাদের লাভের আশাকে ম্লান করে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু কৃষকদের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং দেশের কৃষি অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কৃষকদের অভিযোগ, গত বছর যে ফুলকপির বীজ সাত থেকে সাড়ে সাত শ টাকায় কেনা গেছে, এ বছর তা কিনতে হচ্ছে ১৬ শত থেকে ১৮ শত টাকায়। সারের দামও বেড়েছে। অনেক কৃষক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সবজি চাষে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে সার ও বীজের সরবরাহ না পাওয়া এবং অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় তাদের খরচ উঠানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাজারে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এরপরও কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় রোপা আমনের আবাদ বেড়েছে, যার ফলে সারের চাহিদা বেড়েছে। তবে বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। সুষ্ঠু বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি বরাদ্দের সার সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

কুড়িগ্রামের কৃষকদের সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। সার, বীজ ও কীটনাশকের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর তদারকি ও বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের জন্য সরকারি ভর্তুকি বাড়িয়ে এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের আর্থিক বোঝা কমানো যেতে পারে।

back to top