alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

: রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশে ৩৯০টি কন্যাশিশু ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে ২২৪টি কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। অর্থাৎ এই অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। ধর্ষণ বা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ১৫টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ১৩৪টি কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় চার গুণেরও বেশি। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক প্রতিবেদনে কন্যাশিশু নিপীড়নের এই উদ্বেগজনক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

শুধু ধর্ষণ নয়, একই সময়ে ১০৪ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে, ৮৩ শিশু খুন হয়েছে। খুনের কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ, যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, প্রেমজনিত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা। অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ৩৪ কন্যাশিশু। যৌন হয়রানির ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৫৪ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় দেশে বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং বেড়েছে। পরিবার ও সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, অনলাইনে পর্নোগ্রাফি, মাদকাসক্তি এবং নারী-শিশুবিষয়ক অপরাধে দায়মুক্তির সংস্কৃতি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের ধর্ষণ মামলার বিশ্লেষণে দেখা গেছেÑ অভিযুক্তদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি মাদকাসক্ত এবং ২৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ভুক্তভোগীদের ৭৩ শতাংশই শিশু ও ছাত্রী। অনেক ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর আত্মীয় বা পরিচিতজন। অর্থাৎ, শিশুরা যাদের ভরসা করে, তারাই হয়ে উঠছে তাদের নির্যাতনকারী।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ১১ দফা সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করে দেখবে সেটা আমাদের আশা। যে কোনো অপরাধের মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। শুধু আইন থাকলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হয়। কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশে ৩৯০টি কন্যাশিশু ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে ২২৪টি কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। অর্থাৎ এই অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। ধর্ষণ বা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ১৫টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ১৩৪টি কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় চার গুণেরও বেশি। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক প্রতিবেদনে কন্যাশিশু নিপীড়নের এই উদ্বেগজনক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

শুধু ধর্ষণ নয়, একই সময়ে ১০৪ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে, ৮৩ শিশু খুন হয়েছে। খুনের কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ, যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, প্রেমজনিত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা। অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ৩৪ কন্যাশিশু। যৌন হয়রানির ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৫৪ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় দেশে বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং বেড়েছে। পরিবার ও সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, অনলাইনে পর্নোগ্রাফি, মাদকাসক্তি এবং নারী-শিশুবিষয়ক অপরাধে দায়মুক্তির সংস্কৃতি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের ধর্ষণ মামলার বিশ্লেষণে দেখা গেছেÑ অভিযুক্তদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি মাদকাসক্ত এবং ২৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ভুক্তভোগীদের ৭৩ শতাংশই শিশু ও ছাত্রী। অনেক ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর আত্মীয় বা পরিচিতজন। অর্থাৎ, শিশুরা যাদের ভরসা করে, তারাই হয়ে উঠছে তাদের নির্যাতনকারী।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ১১ দফা সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করে দেখবে সেটা আমাদের আশা। যে কোনো অপরাধের মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। শুধু আইন থাকলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হয়। কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

back to top