alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

: সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

দেশে এ বছর আলু উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু তাতে কৃষকের ভাগ্য খোলেনি। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এতটাই বেশি যে, আলুর দাম কমতে কমতে প্রতি কেজি ২০ টাকার নিচে নেমে গেছে। এক মাস আগেও যেখানে আলু বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, এখন তা ১৫ টাকার আশেপাশে। পাইকারি বাজারে অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রতি কেজি আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। অথচ কৃষকের গড় উৎপাদন খরচ কেজিতে ১৪ থেকে ২০ টাকা। উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন খরচ ২৫ টাকারও বেশি। ফলে প্রায় সব কৃষকই এখন লোকসানের মুখে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে দেশে এক কোটি ১৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। কিন্তু দেশের বার্ষিক চাহিদা মাত্র ৯০ লাখ টন। ফলে প্রায় ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থেকে গেছে। এর বড় একটি অংশ কোল্ড স্টোরেজে আটকে আছে, আর সময় যত যাচ্ছে, সংরক্ষণের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে।

কৃষকরা আশা করেছিলেন, সরকার ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেজিপ্রতি ২২ টাকায় ৫০ হাজার টন আলু কেনা হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাজারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ আলু ছাড়া হচ্ছে, যার চাপেই দাম আরও কমছে।

আলু শুধু একটি ফসল নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। রপ্তানি সীমিত, প্রক্রিয়াজাত শিল্প দুর্বল, আর সংরক্ষণ ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। ফলে সামান্য উদ্বৃত্তই কৃষকদের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কৃষকেরা বলছেন, এভাবে দাম পড়ে গেলে তাদের পক্ষে ভবিষ্যতে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

কৃষকদের লোকসান কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। কোল্ড স্টোরেজে ন্যূনতম দর ২২ টাকা কেজিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানি করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

দেশে এ বছর আলু উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু তাতে কৃষকের ভাগ্য খোলেনি। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এতটাই বেশি যে, আলুর দাম কমতে কমতে প্রতি কেজি ২০ টাকার নিচে নেমে গেছে। এক মাস আগেও যেখানে আলু বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, এখন তা ১৫ টাকার আশেপাশে। পাইকারি বাজারে অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রতি কেজি আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। অথচ কৃষকের গড় উৎপাদন খরচ কেজিতে ১৪ থেকে ২০ টাকা। উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন খরচ ২৫ টাকারও বেশি। ফলে প্রায় সব কৃষকই এখন লোকসানের মুখে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে দেশে এক কোটি ১৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। কিন্তু দেশের বার্ষিক চাহিদা মাত্র ৯০ লাখ টন। ফলে প্রায় ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থেকে গেছে। এর বড় একটি অংশ কোল্ড স্টোরেজে আটকে আছে, আর সময় যত যাচ্ছে, সংরক্ষণের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে।

কৃষকরা আশা করেছিলেন, সরকার ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেজিপ্রতি ২২ টাকায় ৫০ হাজার টন আলু কেনা হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাজারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ আলু ছাড়া হচ্ছে, যার চাপেই দাম আরও কমছে।

আলু শুধু একটি ফসল নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। রপ্তানি সীমিত, প্রক্রিয়াজাত শিল্প দুর্বল, আর সংরক্ষণ ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। ফলে সামান্য উদ্বৃত্তই কৃষকদের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কৃষকেরা বলছেন, এভাবে দাম পড়ে গেলে তাদের পক্ষে ভবিষ্যতে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

কৃষকদের লোকসান কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। কোল্ড স্টোরেজে ন্যূনতম দর ২২ টাকা কেজিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানি করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে।

back to top