alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

: শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় দীর্ঘ দুই বছর রক্তপাত, ধ্বংস আর দুর্ভোগের পর অবশেষে আশার আলো দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে একমত হয়েছে। এতে বন্দি বিনিময়, সৈন্য প্রত্যাহার, ত্রাণ সরবরাহ ও শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর মতো বিষয় রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষের জন্য এটি স্বস্তির খবর।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই চুক্তি কি সত্যিই গাজায় টেকসই শান্তি আনতে পারবে, নাকি আগের অনেক যুদ্ধবিরতির মতোই সাময়িক সমাধান হয়ে থাকবে। অতীতে দেখা গেছে, যতবার যুদ্ধবিরতি হয়েছে, ইসরায়েল প্রায় প্রতিবারই তা লঙ্ঘন করেছে।

অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো অস্পষ্ট। ইসরায়েলি সৈন্য কখন গাজা ছাড়বে, হামাসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, যুদ্ধের পর গাজার প্রশাসন কে চালাবেÑএসব প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কর নয়। ট্রাম্প বলছেন, এটি শান্তির প্রথম ধাপ মাত্র। কিন্তু সেই প্রথম ধাপ কতটা টেকসই হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। চুক্তি ঘোষণার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এরপরও গাজার সাধারণ মানুষ এই ঘোষণায় আনন্দিত। বছরের পর বছর বোমাবর্ষণ, মৃত্যু আর অবরোধের পর তারা অন্তত কিছুটা আশাবাদী হতে পেরেছে। গাজায় মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছে। তাদের আশা, হয়তো এবার দুর্ভোগের অবসান আসবে।

বিশ্বের অনেক দেশ ও সংস্থা এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব আশা প্রকাশ করেছে যে এটি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির পথ খুলে দিতে পারে।

গাজার মানুষ শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, ন্যায় বিচার ও মর্যাদা চায়। তারা চায় হত্যাযজ্ঞের দায় নির্ধারণ হোক, ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো পুনর্গঠন করা হোক, এবং ভবিষ্যতে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ সময় কেবল মধ্যস্থতার ভূমিকায় না থেকে বাস্তব সহায়তা নিশ্চিত করা।

শেষ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে কিনা, তা নির্ভর করবে দুই পক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। বাস্তবে শান্তি টিকিয়ে রাখতে হলে চুক্তির প্রতিটি শর্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং উভয় পক্ষকে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করি।

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় দীর্ঘ দুই বছর রক্তপাত, ধ্বংস আর দুর্ভোগের পর অবশেষে আশার আলো দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে একমত হয়েছে। এতে বন্দি বিনিময়, সৈন্য প্রত্যাহার, ত্রাণ সরবরাহ ও শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর মতো বিষয় রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষের জন্য এটি স্বস্তির খবর।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই চুক্তি কি সত্যিই গাজায় টেকসই শান্তি আনতে পারবে, নাকি আগের অনেক যুদ্ধবিরতির মতোই সাময়িক সমাধান হয়ে থাকবে। অতীতে দেখা গেছে, যতবার যুদ্ধবিরতি হয়েছে, ইসরায়েল প্রায় প্রতিবারই তা লঙ্ঘন করেছে।

অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো অস্পষ্ট। ইসরায়েলি সৈন্য কখন গাজা ছাড়বে, হামাসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, যুদ্ধের পর গাজার প্রশাসন কে চালাবেÑএসব প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কর নয়। ট্রাম্প বলছেন, এটি শান্তির প্রথম ধাপ মাত্র। কিন্তু সেই প্রথম ধাপ কতটা টেকসই হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। চুক্তি ঘোষণার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এরপরও গাজার সাধারণ মানুষ এই ঘোষণায় আনন্দিত। বছরের পর বছর বোমাবর্ষণ, মৃত্যু আর অবরোধের পর তারা অন্তত কিছুটা আশাবাদী হতে পেরেছে। গাজায় মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছে। তাদের আশা, হয়তো এবার দুর্ভোগের অবসান আসবে।

বিশ্বের অনেক দেশ ও সংস্থা এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব আশা প্রকাশ করেছে যে এটি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির পথ খুলে দিতে পারে।

গাজার মানুষ শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, ন্যায় বিচার ও মর্যাদা চায়। তারা চায় হত্যাযজ্ঞের দায় নির্ধারণ হোক, ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো পুনর্গঠন করা হোক, এবং ভবিষ্যতে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ সময় কেবল মধ্যস্থতার ভূমিকায় না থেকে বাস্তব সহায়তা নিশ্চিত করা।

শেষ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে কিনা, তা নির্ভর করবে দুই পক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। বাস্তবে শান্তি টিকিয়ে রাখতে হলে চুক্তির প্রতিটি শর্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং উভয় পক্ষকে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করি।

back to top