alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

: বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে কমপক্ষে ১৬ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অনেক শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। কারখানার পাশে অবস্থিত একটি রাসায়নিক গুদামেও আগুন ধরে গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। এই ঘটনা দেশের শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থার গভীর সংকট ও অবহেলার একটি নজির।

অগ্নিকা-ে নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা জানাই গভীর সমবেদনা। এই ঘটনায় আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন সেই কামনা করি। যেসব শ্রমিক এখনো নিখোঁজ আছেন তাদের সন্ধান মিলবে বলে আশা করি।

অগ্নিকা-ের ঘটনায় বেশ কয়েকটি বিষয় উদ্বেগজনকভাবে সামনে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কারখানার ছাদের দরজা তালাবদ্ধ থাকায় শ্রমিকরা নিরাপদে বের হতে পারেননি। এ কারণে প্রাণহানির ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারখানার পাশের রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণ ও বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে শ্রমিকরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এতে উদ্ধার কার্যক্রম আরও কঠিন হয়ে পড়ে। রাসায়নিক গুদামটির অনুমোদন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। এই শিল্পের ওপর নির্ভর করে লাখো শ্রমিকের জীবিকা। তবে বারবার অগ্নিকা-, ভবন ধস, বা অন্যান্য দুর্ঘটনার ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এই শিল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও অনেক ক্ষেত্রে অপ্রতুল।

২০১২ সালের তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকা- এবং ২০১৩ সালের রানা প্লাজার ধসের পর নিরাপত্তা সংস্কারের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মিরপুরের এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, এই সংস্কারগুলো এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। সেখানেও দেখা গেল অপর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আর তালাবদ্ধ দরজা।

কেন বারবার একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে সেটা আমরা জানতে চাইব। এজন্য দায়ী কারা, দায়ীদের জবাবদিহি কি নিশ্চিত করা হচ্ছে? রাসায়নিক গুদামের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনার অনুমোদন এবং নিয়মিত পরিদর্শনের বিষয়ে কঠোর নজরদারি কি করা হয়?

এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সকল পোশাক কারখানা ও সংলগ্ন স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, জরুরি নির্গমন পথ, এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। রাসায়নিক গুদামের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার জন্য কঠোর নিয়ম-কানুন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন জরুরি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। তদন্তে দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অবহেলা রোধ করা যায়।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে কমপক্ষে ১৬ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অনেক শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। কারখানার পাশে অবস্থিত একটি রাসায়নিক গুদামেও আগুন ধরে গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। এই ঘটনা দেশের শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থার গভীর সংকট ও অবহেলার একটি নজির।

অগ্নিকা-ে নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা জানাই গভীর সমবেদনা। এই ঘটনায় আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন সেই কামনা করি। যেসব শ্রমিক এখনো নিখোঁজ আছেন তাদের সন্ধান মিলবে বলে আশা করি।

অগ্নিকা-ের ঘটনায় বেশ কয়েকটি বিষয় উদ্বেগজনকভাবে সামনে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কারখানার ছাদের দরজা তালাবদ্ধ থাকায় শ্রমিকরা নিরাপদে বের হতে পারেননি। এ কারণে প্রাণহানির ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারখানার পাশের রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণ ও বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে শ্রমিকরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এতে উদ্ধার কার্যক্রম আরও কঠিন হয়ে পড়ে। রাসায়নিক গুদামটির অনুমোদন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। এই শিল্পের ওপর নির্ভর করে লাখো শ্রমিকের জীবিকা। তবে বারবার অগ্নিকা-, ভবন ধস, বা অন্যান্য দুর্ঘটনার ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এই শিল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও অনেক ক্ষেত্রে অপ্রতুল।

২০১২ সালের তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকা- এবং ২০১৩ সালের রানা প্লাজার ধসের পর নিরাপত্তা সংস্কারের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মিরপুরের এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, এই সংস্কারগুলো এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। সেখানেও দেখা গেল অপর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আর তালাবদ্ধ দরজা।

কেন বারবার একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে সেটা আমরা জানতে চাইব। এজন্য দায়ী কারা, দায়ীদের জবাবদিহি কি নিশ্চিত করা হচ্ছে? রাসায়নিক গুদামের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনার অনুমোদন এবং নিয়মিত পরিদর্শনের বিষয়ে কঠোর নজরদারি কি করা হয়?

এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সকল পোশাক কারখানা ও সংলগ্ন স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, জরুরি নির্গমন পথ, এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। রাসায়নিক গুদামের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার জন্য কঠোর নিয়ম-কানুন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন জরুরি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। তদন্তে দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অবহেলা রোধ করা যায়।

back to top