alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

: শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) একটি কারখানা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে। সৌভাগ্য যে কেউ মারা যাননি। এই অগ্নিকাণ্ড আবারও দেশের শিল্পকারখানার নিরাপত্তার দুরবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটির অগ্নি নিরাপত্তা সনদ ছিল না। ভবনটি নির্মাণেও বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। অথচ এই নিয়মগুলো মানা না হলে ভবনের নিরাপত্তা থাকে না-এটা সবাই জানে।

জানা গেছে, ভবনের চারটি তলায় গুদাম করে রাখা হয়েছিল দাহ্য পদার্থ। এই পদার্থ আগুনে পুড়ে রাসায়নিকে পরিণত হয়। যে কারণে আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ রূপ নেয়। ফায়ার সার্ভিসের ভাষায়, “এই পণ্যগুলো পুড়ে রাসায়নিক আগুনে পরিণত হয়েছে। ফলে অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট তাপ এতটাই বেশি ছিল যে ভবনের আরসিসি কাঠামোও ভেঙে পড়েছে।”

শিল্পকারখানায় অগ্নিকাণ্ড নতুন কিছু নয়। দিন কয়েক আগে ঢাকার মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে তাজরীন ফ্যাশনসসহ অনেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটানা ঘটেছে। এসব ঘটনায তদন্ত হয়, প্রতিবেদন তৈরি হয়, কিন্তু বাস্তবে পরিবর্তন আসে না। সনদবিহীন ভবন, দাহ্য পদার্থের গুদাম, সংকীর্ণ সিঁড়ি, এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকা-সবক্ষেত্রেই বারবার একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা যায়।

সিইপিজেড একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানে যদি নিরাপত্তা সনদ ছাড়াই কারখানা চলে, তাহলে সাধারণ শিল্পাঞ্চলের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।

শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি ভবনের নিরাপত্তা সনদ বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করা জরুরি। বিল্ডিং কোড মেনে কারখানার কার্যক্রম চালাতে হবে। শ্রমিকদের নিয়মিত অগ্নি মহড়া ও প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। আমাদের বুঝতে হবে, নিরাপত্তা কোনো বিলাসিতা নয়, এটি জীবনের অংশ। সিইপিজেডের এই অগ্নিকাণ্ড যেন শেষ সতর্কবার্তা হয় সেই আশা করতে চাই।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) একটি কারখানা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে। সৌভাগ্য যে কেউ মারা যাননি। এই অগ্নিকাণ্ড আবারও দেশের শিল্পকারখানার নিরাপত্তার দুরবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটির অগ্নি নিরাপত্তা সনদ ছিল না। ভবনটি নির্মাণেও বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। অথচ এই নিয়মগুলো মানা না হলে ভবনের নিরাপত্তা থাকে না-এটা সবাই জানে।

জানা গেছে, ভবনের চারটি তলায় গুদাম করে রাখা হয়েছিল দাহ্য পদার্থ। এই পদার্থ আগুনে পুড়ে রাসায়নিকে পরিণত হয়। যে কারণে আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ রূপ নেয়। ফায়ার সার্ভিসের ভাষায়, “এই পণ্যগুলো পুড়ে রাসায়নিক আগুনে পরিণত হয়েছে। ফলে অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট তাপ এতটাই বেশি ছিল যে ভবনের আরসিসি কাঠামোও ভেঙে পড়েছে।”

শিল্পকারখানায় অগ্নিকাণ্ড নতুন কিছু নয়। দিন কয়েক আগে ঢাকার মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে তাজরীন ফ্যাশনসসহ অনেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটানা ঘটেছে। এসব ঘটনায তদন্ত হয়, প্রতিবেদন তৈরি হয়, কিন্তু বাস্তবে পরিবর্তন আসে না। সনদবিহীন ভবন, দাহ্য পদার্থের গুদাম, সংকীর্ণ সিঁড়ি, এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকা-সবক্ষেত্রেই বারবার একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা যায়।

সিইপিজেড একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানে যদি নিরাপত্তা সনদ ছাড়াই কারখানা চলে, তাহলে সাধারণ শিল্পাঞ্চলের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।

শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি ভবনের নিরাপত্তা সনদ বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করা জরুরি। বিল্ডিং কোড মেনে কারখানার কার্যক্রম চালাতে হবে। শ্রমিকদের নিয়মিত অগ্নি মহড়া ও প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। আমাদের বুঝতে হবে, নিরাপত্তা কোনো বিলাসিতা নয়, এটি জীবনের অংশ। সিইপিজেডের এই অগ্নিকাণ্ড যেন শেষ সতর্কবার্তা হয় সেই আশা করতে চাই।

back to top