alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

: সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জায়গা দখল করে পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এই দখলদারি চলেছে বহুদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা এটা দেখেও কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি জমি দখল মানে জনগণের সম্পদ দখল। ভূমি অফিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা যদি দালালচক্র দখল করে বাজার বসায় কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ভূমি অফিসে আসা সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়ার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যানবাহন রাখার স্থান নেই, চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে-এটা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, সেবার প্রতি চরম অবহেলা।

স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, এই দখলদারি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশ ও উদাসীনতার কারণে সম্ভব হয়েছে। অফিসের সামনেই কাঁচা বাজার গড়ে ওঠা, দোকানঘর নির্মাণ, এমনকি দালালদের অনলাইনে খাজনা রশিদ তৈরি করার মতো কাজ চলছে।

আশার কথা, ডিমলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উভয়েই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দ্রুত জায়গা উদ্ধার করা হবে। এটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে ঘোষণার চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপই আসল বিষয়।

এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ডিমলার নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি জমি দখলের সমস্যার প্রতিচ্ছবি। ভূমি অফিস, বিদ্যালয় মাঠ, সড়ক কিংবা নদী-সব জায়গাতেই একই চিত্র দেখা যায়। একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে, আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনেক সময় নীরব দর্শক হয়ে থাকেন।

দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকারি অফিস যদি দখলদারদের কবলে যায়, তাহলে প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়। এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দ্রুততম সময়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জায়গা দখল করে পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এই দখলদারি চলেছে বহুদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা এটা দেখেও কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি জমি দখল মানে জনগণের সম্পদ দখল। ভূমি অফিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা যদি দালালচক্র দখল করে বাজার বসায় কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ভূমি অফিসে আসা সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়ার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যানবাহন রাখার স্থান নেই, চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে-এটা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, সেবার প্রতি চরম অবহেলা।

স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, এই দখলদারি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশ ও উদাসীনতার কারণে সম্ভব হয়েছে। অফিসের সামনেই কাঁচা বাজার গড়ে ওঠা, দোকানঘর নির্মাণ, এমনকি দালালদের অনলাইনে খাজনা রশিদ তৈরি করার মতো কাজ চলছে।

আশার কথা, ডিমলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উভয়েই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দ্রুত জায়গা উদ্ধার করা হবে। এটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে ঘোষণার চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপই আসল বিষয়।

এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ডিমলার নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি জমি দখলের সমস্যার প্রতিচ্ছবি। ভূমি অফিস, বিদ্যালয় মাঠ, সড়ক কিংবা নদী-সব জায়গাতেই একই চিত্র দেখা যায়। একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে, আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনেক সময় নীরব দর্শক হয়ে থাকেন।

দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকারি অফিস যদি দখলদারদের কবলে যায়, তাহলে প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়। এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দ্রুততম সময়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top