রাজধানীর যানজট কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আগে সিগন্যাল বাতি ঠিকমতো কাজ করতো না। ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হতো । সড়কের মোড়ে মোড়ে গাড়ি দীর্ঘ সময় আটকে থাকত। এখন আবার টাইমার যুক্ত সিগন্যাল বাতি চালু করা হয়েছে।
টাইমারযুক্ত সিগন্যাল বাতির মাধ্যমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের এই উদ্যোগ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি যানজট কমাতে হয়তো ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এর সফলতা নির্ভর করছে সুষ্ঠু পরিকল্পনা, সঠিক বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত চেষ্টার ওপর।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ২১টি পয়েন্টে সিগন্যাল বাতি স্থাপনের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭টি মোড়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সুফলও মিলছে। কোনো কোনো স্থানে যেখানে আগে ১৫-২০ মিনিট গাড়ি আটকে থাকতো, সেখানে এখন মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। এটি একটি আশাব্যঞ্জক সূচনা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় এই প্রকল্পে যে ছয় দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। মূল সড়কে ধীরগতির যান চলাচল বন্ধ করা, সড়কের মোড়ের নির্দিষ্ট দূরত্বে পার্কিং বা থামা নিষিদ্ধ করা, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যাত্রী ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপগুলো এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি ও ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়মিত মনিটর করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, বুয়েটের প্রস্তাবিত রিলে পদ্ধতি তাত্ত্বিকভাবে কার্যকর হলেও ব্যবহারিক দিক থেকে এটি পুরোনো। এই ব্যবস্থায় যান্ত্রিক ত্রুটির ঝুঁকি রয়েছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এই উদ্বেগ দূর করতে আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সিগন্যাল বাতি দিয়ে রাজধানীর যানজটের টেকসই সমাধান হবে না। ঢাকার সড়কে যানবাহনের সংখ্যা সড়কের সক্ষমতার তুলনায় ৫-৬ গুণ বেশি। তাই গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা জরুরি। ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর যানজট কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আগে সিগন্যাল বাতি ঠিকমতো কাজ করতো না। ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হতো । সড়কের মোড়ে মোড়ে গাড়ি দীর্ঘ সময় আটকে থাকত। এখন আবার টাইমার যুক্ত সিগন্যাল বাতি চালু করা হয়েছে।
টাইমারযুক্ত সিগন্যাল বাতির মাধ্যমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের এই উদ্যোগ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি যানজট কমাতে হয়তো ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এর সফলতা নির্ভর করছে সুষ্ঠু পরিকল্পনা, সঠিক বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত চেষ্টার ওপর।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ২১টি পয়েন্টে সিগন্যাল বাতি স্থাপনের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭টি মোড়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সুফলও মিলছে। কোনো কোনো স্থানে যেখানে আগে ১৫-২০ মিনিট গাড়ি আটকে থাকতো, সেখানে এখন মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। এটি একটি আশাব্যঞ্জক সূচনা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় এই প্রকল্পে যে ছয় দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। মূল সড়কে ধীরগতির যান চলাচল বন্ধ করা, সড়কের মোড়ের নির্দিষ্ট দূরত্বে পার্কিং বা থামা নিষিদ্ধ করা, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যাত্রী ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপগুলো এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি ও ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়মিত মনিটর করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, বুয়েটের প্রস্তাবিত রিলে পদ্ধতি তাত্ত্বিকভাবে কার্যকর হলেও ব্যবহারিক দিক থেকে এটি পুরোনো। এই ব্যবস্থায় যান্ত্রিক ত্রুটির ঝুঁকি রয়েছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এই উদ্বেগ দূর করতে আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সিগন্যাল বাতি দিয়ে রাজধানীর যানজটের টেকসই সমাধান হবে না। ঢাকার সড়কে যানবাহনের সংখ্যা সড়কের সক্ষমতার তুলনায় ৫-৬ গুণ বেশি। তাই গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা জরুরি। ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।