alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে গবাদিপশু থেকে মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের তিন মাস পার হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, জেলাটির ৮৩ শতাংশ গরু এখনো টিকার বাইরে রয়েছে। ছাগল ও ভেড়ার অ্যানথ্রাক্স টিকাদান শুরুই হয়নি। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বদলে নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

অ্যানথ্রাক্স এমন এক ব্যাধি, যা পশু থেকে সরাসরি মানুষের দেহে ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসুস্থ গরু, ছাগল বা ভেড়ার রক্ত, মাংস বা চামড়ার সংস্পর্শে এলে মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় অনেক মানুষ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে পীরগাছায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলেছে, ত্বকের অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসাযোগ্য হলেও সময়মতো চিকিৎসা না পেলে ২০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের দাবি, তারা প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার গরুকে টিকা দিচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাটা জেলায় মোট গবাদিপশুর তুলনায় অতি নগণ্য। রংপুরে গরু রয়েছে প্রায় ১৬ লাখ, ছাগল ও ভেড়া ১১ লাখ।

খামারিদের অভিযোগ, সরকারি হিসাবের বাইরে অনেক গরু ও ছাগল মারা গেছে। একদিকে গবাদিপশু মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে অসুস্থ পশু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যক্রম ও জনসচেতনতা দুইই সমান জরুরি। প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে মাঠপর্যায়ে আরো তৎপর হতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবী ও মাঠকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। অসুস্থ গরু জবাইয়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও কসাইখানায় বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে গবাদিপশু থেকে মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের তিন মাস পার হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, জেলাটির ৮৩ শতাংশ গরু এখনো টিকার বাইরে রয়েছে। ছাগল ও ভেড়ার অ্যানথ্রাক্স টিকাদান শুরুই হয়নি। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বদলে নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

অ্যানথ্রাক্স এমন এক ব্যাধি, যা পশু থেকে সরাসরি মানুষের দেহে ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসুস্থ গরু, ছাগল বা ভেড়ার রক্ত, মাংস বা চামড়ার সংস্পর্শে এলে মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় অনেক মানুষ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে পীরগাছায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলেছে, ত্বকের অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসাযোগ্য হলেও সময়মতো চিকিৎসা না পেলে ২০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের দাবি, তারা প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার গরুকে টিকা দিচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাটা জেলায় মোট গবাদিপশুর তুলনায় অতি নগণ্য। রংপুরে গরু রয়েছে প্রায় ১৬ লাখ, ছাগল ও ভেড়া ১১ লাখ।

খামারিদের অভিযোগ, সরকারি হিসাবের বাইরে অনেক গরু ও ছাগল মারা গেছে। একদিকে গবাদিপশু মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে অসুস্থ পশু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যক্রম ও জনসচেতনতা দুইই সমান জরুরি। প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে মাঠপর্যায়ে আরো তৎপর হতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবী ও মাঠকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। অসুস্থ গরু জবাইয়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও কসাইখানায় বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top