alt

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

: শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। শিক্ষার গুণগত মান নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন। তবে সেখানকার বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মধুপুরের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৬টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। শিক্ষকদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগের ঘাটতির অভিযোগও রয়েছে। নূরানী মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গি অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে। অনেক অভিভাবক সরকারি স্কুলের পরিবর্তে মাদ্রাসাকে বেছে নিচ্ছেন, কারণ তাদের মতে সেখানে শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভালো।

মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা আজ দেশের অনেক অঞ্চলের চিত্রেরই প্রতিচ্ছবি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-সব কিছু থাকার পরও শিক্ষার মান আশানুরূপ বাড়ছে না। বরং উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমছে। অথচ দুর্বল অবকাঠা, টিনের ছাউনি দেওয়া বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে।

আশার কথা, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মধুপুরে ১৫টি বিদ্যালয়ে মিনি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে শিশুদের জন্য শিক্ষা আনন্দময় হবে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে কার্যকর হতে পারে। তবে শুধু অবকাঠামো উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করতে হবে। মেধাবীদেরকে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে বেতন-ভাতাকে আকর্ষণীয় করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত্তি। মধুপুরের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হতে পারে একটি টেস্ট কেস। এটি শুধু মধুপুর নয়, সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি অভিভাবকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করার মাধ্যমে শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। শিক্ষার গুণগত মান নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন। তবে সেখানকার বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মধুপুরের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৬টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। শিক্ষকদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগের ঘাটতির অভিযোগও রয়েছে। নূরানী মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গি অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে। অনেক অভিভাবক সরকারি স্কুলের পরিবর্তে মাদ্রাসাকে বেছে নিচ্ছেন, কারণ তাদের মতে সেখানে শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভালো।

মধুপুরে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা আজ দেশের অনেক অঞ্চলের চিত্রেরই প্রতিচ্ছবি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-সব কিছু থাকার পরও শিক্ষার মান আশানুরূপ বাড়ছে না। বরং উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমছে। অথচ দুর্বল অবকাঠা, টিনের ছাউনি দেওয়া বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে।

আশার কথা, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মধুপুরে ১৫টি বিদ্যালয়ে মিনি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে শিশুদের জন্য শিক্ষা আনন্দময় হবে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে কার্যকর হতে পারে। তবে শুধু অবকাঠামো উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করতে হবে। মেধাবীদেরকে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে বেতন-ভাতাকে আকর্ষণীয় করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত্তি। মধুপুরের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হতে পারে একটি টেস্ট কেস। এটি শুধু মধুপুর নয়, সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি অভিভাবকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করার মাধ্যমে শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top