কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট একসময় ছিল প্রকৃতির এক অনন্য সৌন্দর্যের জায়গা। বালিয়াড়ির ঢেউ, সমুদ্রের হাওয়া আর উন্মুক্ত আকাশ-সব মিলিয়ে ছিল অপরূপ এক প্রাকৃতিক দৃশ্য। কিন্তু এখন সেই সৌন্দর্য ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে দখলদারদের দাপটে। প্রতিদিনই নতুন নতুন টিনের ঘর, কাঠের ছাউনি আর দোকানপাট গড়ে উঠছে সৈকতের বালিয়াড়িতে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আইন অনুযায়ী উক্ত অঞ্চল সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী বালিয়াড়ি কেটে মাটি ভরাট করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দখল উচ্ছেদে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হলেও আবার তা দখল হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বালিয়াড়ি শুধু সৌন্দর্যের অংশ নয়; এটি উপকূলের প্রাকৃতিক ঢাল। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে রক্ষা করে এই বালিয়াড়িগুলো। এগুলো নষ্ট হলে উপকূলের ভারসাম্য নষ্ট হবে, জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, মাটি ও সামুদ্রিক পরিবেশ ধ্বংস হবে।
তাই এখনই সময় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার। শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযান যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বালিয়াড়ি রক্ষায় কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। যারা দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের সচেতন করাও জরুরি।
কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশের গর্ব। এই সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখতে হলে বালিয়াড়ি ও সৈকতকে রক্ষা করতেই হবে। নয়তো একদিন হয়তো কক্সবাজার থাকবে, কিন্তু সৈকতের প্রাকৃতিক রূপ হারিয়ে যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট একসময় ছিল প্রকৃতির এক অনন্য সৌন্দর্যের জায়গা। বালিয়াড়ির ঢেউ, সমুদ্রের হাওয়া আর উন্মুক্ত আকাশ-সব মিলিয়ে ছিল অপরূপ এক প্রাকৃতিক দৃশ্য। কিন্তু এখন সেই সৌন্দর্য ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে দখলদারদের দাপটে। প্রতিদিনই নতুন নতুন টিনের ঘর, কাঠের ছাউনি আর দোকানপাট গড়ে উঠছে সৈকতের বালিয়াড়িতে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আইন অনুযায়ী উক্ত অঞ্চল সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী বালিয়াড়ি কেটে মাটি ভরাট করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দখল উচ্ছেদে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হলেও আবার তা দখল হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বালিয়াড়ি শুধু সৌন্দর্যের অংশ নয়; এটি উপকূলের প্রাকৃতিক ঢাল। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে রক্ষা করে এই বালিয়াড়িগুলো। এগুলো নষ্ট হলে উপকূলের ভারসাম্য নষ্ট হবে, জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, মাটি ও সামুদ্রিক পরিবেশ ধ্বংস হবে।
তাই এখনই সময় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার। শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযান যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বালিয়াড়ি রক্ষায় কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। যারা দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের সচেতন করাও জরুরি।
কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশের গর্ব। এই সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখতে হলে বালিয়াড়ি ও সৈকতকে রক্ষা করতেই হবে। নয়তো একদিন হয়তো কক্সবাজার থাকবে, কিন্তু সৈকতের প্রাকৃতিক রূপ হারিয়ে যাবে।