সুন্দরবনের নদী-খালগুলোতে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মৎস্যসম্পদ বিপন্ন হচ্ছে। জলজ প্রাণী, বনের গাছ এবং মানুষের ওপরও পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। বনবিভাগ, স্থানীয় মহাজন-আড়তদার, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং বনদস্যুদের একটি সিন্ডিকেট এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে । এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে কোনো ব্যবস্থা যে নেওয়া হয় না তা নয়। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। এতেকরে সাময়িকভাবে হয়তো বিষ প্রয়োগ বন্ধ থাকে। তবে আবার শুরু হয় একই কাজ। সমস্যার মূলে থাকা অবৈধ কীটনাশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
কীটনাশক বিক্রি ও আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অবৈধ ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এজন্য কৃষি বিভাগের সঙ্গে বন বিভাগের সমন্বয় বাড়ানো জরুরি।
কেবল জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে চলবে না। অনেকেই জীবিকার তাগিদে আইন ভাঙতে বাধ্য হন। দরিদ্র জেলেদের বিকল্প উপার্জনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদেরকে নিরাপদ মৎস্য আহরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। বনের অনুমোদিত এলাকায় প্রবেশ রোধে টহল বাড়াতে হবে।
সুন্দরবনকে জলবায়ু পরিবর্তনের আঘাত সহ্য করতে হচ্ছে। লবণাক্ততা, ঝড়, প্রভৃতি বিভিন্ন সময় সামলেও উঠছে। কিন্তু মানুষের অত্যাচার সহ্য করার ক্ষমতা বনের আছে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার ও তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে স্বাধীন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এতে করে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাপ করা সম্ভব হবে। তখন যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
সুন্দরবনের নদী-খালগুলোতে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মৎস্যসম্পদ বিপন্ন হচ্ছে। জলজ প্রাণী, বনের গাছ এবং মানুষের ওপরও পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। বনবিভাগ, স্থানীয় মহাজন-আড়তদার, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং বনদস্যুদের একটি সিন্ডিকেট এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে । এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে কোনো ব্যবস্থা যে নেওয়া হয় না তা নয়। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। এতেকরে সাময়িকভাবে হয়তো বিষ প্রয়োগ বন্ধ থাকে। তবে আবার শুরু হয় একই কাজ। সমস্যার মূলে থাকা অবৈধ কীটনাশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
কীটনাশক বিক্রি ও আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অবৈধ ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এজন্য কৃষি বিভাগের সঙ্গে বন বিভাগের সমন্বয় বাড়ানো জরুরি।
কেবল জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে চলবে না। অনেকেই জীবিকার তাগিদে আইন ভাঙতে বাধ্য হন। দরিদ্র জেলেদের বিকল্প উপার্জনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদেরকে নিরাপদ মৎস্য আহরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। বনের অনুমোদিত এলাকায় প্রবেশ রোধে টহল বাড়াতে হবে।
সুন্দরবনকে জলবায়ু পরিবর্তনের আঘাত সহ্য করতে হচ্ছে। লবণাক্ততা, ঝড়, প্রভৃতি বিভিন্ন সময় সামলেও উঠছে। কিন্তু মানুষের অত্যাচার সহ্য করার ক্ষমতা বনের আছে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার ও তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে স্বাধীন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এতে করে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাপ করা সম্ভব হবে। তখন যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।