সারের সংকটে অনেক স্থানেই কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজবাড়ী ও সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কৃষকরা সারের সংকটে ভুগছেন। কোথাও সরিষা ও সবজি চাষ শুরু করা যাচ্ছে না তো কোথাও পেঁয়াজের আবাদ দেরিতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কলারোয়ায় কৃষকেরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। তাও সব সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আগাম সরিষা বা শীতকালীন সবজি বপন বিলম্বিত হচ্ছে। আগামী ইরি-বোরো মৌসুমেও এর প্রভাব পড়বে। একইভাবে রাজবাড়ীতেও কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, অনুমোদিত ডিলাররা সার দিচ্ছেন না ঠিকমতো। আর যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে সেটাও অতিরিক্ত দামে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়সারা উত্তর দিচ্ছেন, “আগামী মাসে হয়তো সমস্যা থাকবে না।”
চাষাবাদের সময় থেমে থাকে না। বীজ বপনের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে সার আসলেও আর লাভ হয় না। কৃষক তখন ফসলের সম্ভাব্য লাভ নয়, লোকসানের ভয় নিয়েই বেঁচে থাকেন।
সারের সংকট কি শুধু সরবরাহের ঘাটতি নাকি ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা- এটা একটা প্রশ্ন। বরাদ্দে অনিয়ম, ডিলারদের অসাধুতা ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব একসঙ্গে কাজ করছে। বাস্তবতা হলো, সার বরাদ্দের কাগজে যতই পরিমাণ দেখানো হোক, তার বড় অংশ কৃষকের হাতে পৌঁছায় না।
সারের সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত, দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বরাদ্দ ও বিতরণে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছাচ্ছে কি না সেটা নিয়মিতভাবে যাচাই করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
সারের সংকটে অনেক স্থানেই কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজবাড়ী ও সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কৃষকরা সারের সংকটে ভুগছেন। কোথাও সরিষা ও সবজি চাষ শুরু করা যাচ্ছে না তো কোথাও পেঁয়াজের আবাদ দেরিতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কলারোয়ায় কৃষকেরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। তাও সব সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আগাম সরিষা বা শীতকালীন সবজি বপন বিলম্বিত হচ্ছে। আগামী ইরি-বোরো মৌসুমেও এর প্রভাব পড়বে। একইভাবে রাজবাড়ীতেও কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, অনুমোদিত ডিলাররা সার দিচ্ছেন না ঠিকমতো। আর যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে সেটাও অতিরিক্ত দামে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়সারা উত্তর দিচ্ছেন, “আগামী মাসে হয়তো সমস্যা থাকবে না।”
চাষাবাদের সময় থেমে থাকে না। বীজ বপনের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে সার আসলেও আর লাভ হয় না। কৃষক তখন ফসলের সম্ভাব্য লাভ নয়, লোকসানের ভয় নিয়েই বেঁচে থাকেন।
সারের সংকট কি শুধু সরবরাহের ঘাটতি নাকি ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা- এটা একটা প্রশ্ন। বরাদ্দে অনিয়ম, ডিলারদের অসাধুতা ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব একসঙ্গে কাজ করছে। বাস্তবতা হলো, সার বরাদ্দের কাগজে যতই পরিমাণ দেখানো হোক, তার বড় অংশ কৃষকের হাতে পৌঁছায় না।
সারের সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত, দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সার বরাদ্দ ও বিতরণে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছাচ্ছে কি না সেটা নিয়মিতভাবে যাচাই করতে হবে।