alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

: শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের বেশি সময় কেটে গেছে। তবু দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ জানিয়েছে, গত ১৪ মাসে ৪০ জন মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। তাদের কেউ গুলিতে, কেউ নির্যাতনে মারা গেছেন। অনেককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেন প্রকাশিত হয়েছে।

নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু যদি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতেই মানুষ মারা যায়, তাহলে নাগরিকরা নিরাপত্তা পাবে কোথায়?

অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা আগের সরকারের সময় বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। এখন তারা নিজেরাই ক্ষমতায়। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যার চিত্র বদলায়নি। র‌্যাব, পুলিশ বা যৌথ বাহিনীর নামে এখনও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় বিচার হয় না, সত্য জানা যায় না।

আরেকটি ভয়ংকর দিক হচ্ছে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের ঘটনা। গত অক্টোবর মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নদী, রাস্তা বা ঝোপঝাড় থেকে মিলেছে এসব মৃতদেহ। অনেকক্ষেত্রে তাদের পরিচয় জানা যায় না। কীভাবে তাদের মৃত্যু হল, এগুলো কি হত্যাকাণ্ড, হত্যাকাণ্ড হলে হত্যাকারী কে বা কারা কিছুই জানা যায় না। এমন পরিস্থিতি নাগরিকদের মনে ভয় ও অবিশ্বাস বাড়াচ্ছে।

একই সময়ে কারাগারে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়েছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন বলে জানানো হয়। কিন্তুসংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো অভিযোগ করছে যে, এসব মৃত্যুর পেছনে নির্যাতন বা অবহেলা আছে।

রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনি-সব মিলিয়ে নাগরিক জীবনে ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ এখন নিজের ঘরেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না।

সরকার বদলালেও যদি অন্যায় বন্ধ না হয়, তাহলে মানুষ কাকে ভরসা করবে?

রাষ্ট্র যদি সত্যিই মানবাধিকার রক্ষা করতে চায়, তাহলে প্রথমেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিটি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হতে হবে। এসব ঘটনার ন্যায়বিচার করতে হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের বেশি সময় কেটে গেছে। তবু দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ জানিয়েছে, গত ১৪ মাসে ৪০ জন মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। তাদের কেউ গুলিতে, কেউ নির্যাতনে মারা গেছেন। অনেককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেন প্রকাশিত হয়েছে।

নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু যদি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতেই মানুষ মারা যায়, তাহলে নাগরিকরা নিরাপত্তা পাবে কোথায়?

অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা আগের সরকারের সময় বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। এখন তারা নিজেরাই ক্ষমতায়। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যার চিত্র বদলায়নি। র‌্যাব, পুলিশ বা যৌথ বাহিনীর নামে এখনও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় বিচার হয় না, সত্য জানা যায় না।

আরেকটি ভয়ংকর দিক হচ্ছে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের ঘটনা। গত অক্টোবর মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নদী, রাস্তা বা ঝোপঝাড় থেকে মিলেছে এসব মৃতদেহ। অনেকক্ষেত্রে তাদের পরিচয় জানা যায় না। কীভাবে তাদের মৃত্যু হল, এগুলো কি হত্যাকাণ্ড, হত্যাকাণ্ড হলে হত্যাকারী কে বা কারা কিছুই জানা যায় না। এমন পরিস্থিতি নাগরিকদের মনে ভয় ও অবিশ্বাস বাড়াচ্ছে।

একই সময়ে কারাগারে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়েছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন বলে জানানো হয়। কিন্তুসংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো অভিযোগ করছে যে, এসব মৃত্যুর পেছনে নির্যাতন বা অবহেলা আছে।

রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনি-সব মিলিয়ে নাগরিক জীবনে ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ এখন নিজের ঘরেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না।

সরকার বদলালেও যদি অন্যায় বন্ধ না হয়, তাহলে মানুষ কাকে ভরসা করবে?

রাষ্ট্র যদি সত্যিই মানবাধিকার রক্ষা করতে চায়, তাহলে প্রথমেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিটি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হতে হবে। এসব ঘটনার ন্যায়বিচার করতে হবে।

back to top