গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এখন শহরের সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের প্রতীক। প্রতিদিন হাজারো মানুষ অফিস, স্কুল বা বাজার যাওয়ার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকেন। মূল্যবান সময় নষ্ট হয়, শ্রমঘণ্টা হারায়। রেলগেট বন্ধ হলেই গোটা শহর থমকে দাঁড়ায়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রেলক্রসিং এলাকায় ফুটপাত দখল, অবৈধ দোকানপাট, হকার, ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ঢল-সব মিলিয়ে সাধারণ পথচারীর চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান হলেও তা টেকসই হয় না। কিছু দিন বাদেই পরিস্থিতি আগের মতো হয়।
সমস্যা সমাধানে রেলওয়ে, সিটি কর্পোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় দরকার। শুধু অভিযানে সমস্যার সমাধান মিলবে না। নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। প্রযুক্তি নির্ভর ট্রাফিক মনিটরিং চালু করতে হবে। আইন কার্যকর করতে হবে।
ফুটপাত ও রাস্তার দখলদারদের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য তাদের প্রণোদনা দেওয়া যায় কিনা সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে। কোনো বিকল্প ছাড়াই কেবল উচ্ছেদ করলে ফের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
অটোরিকশার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করলে কে কোথায় চলবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে। জরুরি সেবার যানগুলোর জন্য নির্ধারিত লেন নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রয়োজনের সময়ে তারা দ্রুত পৌঁছাতে পারে। এসব বিষয়ে প্রশাসন ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে। তবে পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয়, তা বাস্তবায়ন করা জরুরি।
নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। ফুটপাত-রাস্তাকে রাষ্ট্রের সম্পদ মনে করে রক্ষা করা জরুরি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এখন শহরের সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের প্রতীক। প্রতিদিন হাজারো মানুষ অফিস, স্কুল বা বাজার যাওয়ার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকেন। মূল্যবান সময় নষ্ট হয়, শ্রমঘণ্টা হারায়। রেলগেট বন্ধ হলেই গোটা শহর থমকে দাঁড়ায়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রেলক্রসিং এলাকায় ফুটপাত দখল, অবৈধ দোকানপাট, হকার, ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ঢল-সব মিলিয়ে সাধারণ পথচারীর চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান হলেও তা টেকসই হয় না। কিছু দিন বাদেই পরিস্থিতি আগের মতো হয়।
সমস্যা সমাধানে রেলওয়ে, সিটি কর্পোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় দরকার। শুধু অভিযানে সমস্যার সমাধান মিলবে না। নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। প্রযুক্তি নির্ভর ট্রাফিক মনিটরিং চালু করতে হবে। আইন কার্যকর করতে হবে।
ফুটপাত ও রাস্তার দখলদারদের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য তাদের প্রণোদনা দেওয়া যায় কিনা সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে। কোনো বিকল্প ছাড়াই কেবল উচ্ছেদ করলে ফের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
অটোরিকশার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করলে কে কোথায় চলবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে। জরুরি সেবার যানগুলোর জন্য নির্ধারিত লেন নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রয়োজনের সময়ে তারা দ্রুত পৌঁছাতে পারে। এসব বিষয়ে প্রশাসন ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে। তবে পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয়, তা বাস্তবায়ন করা জরুরি।
নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। ফুটপাত-রাস্তাকে রাষ্ট্রের সম্পদ মনে করে রক্ষা করা জরুরি।