alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘গরু চোর’ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আবারও আমাদের সমাজের ভয়ংকর এক চিত্র সামনে এনেছে। বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের এই ঘটনায় নিহত আব্দুস সালামকে স্থানীয়রা সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা করে। অথচ তার স্বজনরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন, তিনি বহুদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। প্রশ্ন হলো, কোনো প্রমাণ ছাড়াই একজন মানুষকে পিটিয়ে মারার অধিকার কে দিয়েছে?

কারও বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ উঠতেই পারে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করেছেন কি না, তা নির্ধারণ করবে আদালত। আইনকে পাশ কাটিয়ে কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করা এবং নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী সাজা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘চোর’, ‘ছিনতাইকারী’ কিংবা অন্য কোনো সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। এর মধ্যে অনেক সময় নিরপরাধ মানুষও প্রাণ হারাচ্ছেন। এতে সমাজে ভয়, অবিশ্বাস আর নৈরাজ্যের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।

এধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু একজন মানুষের মৃত্যু ঘটায় না, এটি আমাদের মানবিকতাকেও হত্যা করে। একজন মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষ যদি চুরির মতো সন্দেহজনক কাজে জড়ানও, তবুও তাকে হত্যা করা চলে না। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়াই ছিল সঠিক পথ। কিন্তু গ্রামের কিছু মানুষ নিজেরাই ‘বিচারক’ হয়ে তার জীবন শেষ করে দিলেন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা ন্যায়বিচারের ধারণার পরিপন্থী, আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত।

পুলিশ ঘটনার পর একজন নারীকে আটক করেছে। তদন্ত চলছে। তবে এখানেই থেমে গেলে হবে না। যারা এই হত্যায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে আইন ও মানবাধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

সন্দেহ থেকে যদি বিচার শুরু হয়, তাহলে সমাজে আর কেউ নিরাপদ থাকবে না। তাই এখনই গণপিটুনির অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘গরু চোর’ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আবারও আমাদের সমাজের ভয়ংকর এক চিত্র সামনে এনেছে। বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের এই ঘটনায় নিহত আব্দুস সালামকে স্থানীয়রা সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা করে। অথচ তার স্বজনরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন, তিনি বহুদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। প্রশ্ন হলো, কোনো প্রমাণ ছাড়াই একজন মানুষকে পিটিয়ে মারার অধিকার কে দিয়েছে?

কারও বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ উঠতেই পারে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করেছেন কি না, তা নির্ধারণ করবে আদালত। আইনকে পাশ কাটিয়ে কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করা এবং নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী সাজা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘চোর’, ‘ছিনতাইকারী’ কিংবা অন্য কোনো সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। এর মধ্যে অনেক সময় নিরপরাধ মানুষও প্রাণ হারাচ্ছেন। এতে সমাজে ভয়, অবিশ্বাস আর নৈরাজ্যের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।

এধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু একজন মানুষের মৃত্যু ঘটায় না, এটি আমাদের মানবিকতাকেও হত্যা করে। একজন মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষ যদি চুরির মতো সন্দেহজনক কাজে জড়ানও, তবুও তাকে হত্যা করা চলে না। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়াই ছিল সঠিক পথ। কিন্তু গ্রামের কিছু মানুষ নিজেরাই ‘বিচারক’ হয়ে তার জীবন শেষ করে দিলেন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা ন্যায়বিচারের ধারণার পরিপন্থী, আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত।

পুলিশ ঘটনার পর একজন নারীকে আটক করেছে। তদন্ত চলছে। তবে এখানেই থেমে গেলে হবে না। যারা এই হত্যায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে আইন ও মানবাধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

সন্দেহ থেকে যদি বিচার শুরু হয়, তাহলে সমাজে আর কেউ নিরাপদ থাকবে না। তাই এখনই গণপিটুনির অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

back to top