নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর তোলা হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নাকের ডগায় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্রগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পাঁচ শতাধিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে নদীর তলদেশ খুঁড়ে পাথর তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ থেকে ভেন্ডাবাড়ি পর্যন্ত এভাবে পাথর তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের মুখে সিন্ডিকেটগুলো মাঝে দু-একদিন বিরতি দেয়। এরপর আবারও তারা তৎপর হয়ে ওঠে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে বালু সরিয়ে পাথর তুললে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বিঘিœত হয়, নদী ভাঙন দেখা দেয়। এতেকরে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা বসতভিটা, আবাদি জমি হারাচ্ছেন। এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না হলে তিস্তা অববাহিকার পরিবেশ, কৃষি ও জীববৈচিত্র্যি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেন। ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, পাথর উত্তোলন বন্ধের দায় তাদের নয়, এটি জেলা-উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব। অথচ তিস্তা ব্যারাজের রক্ষণাবেক্ষণ, ভাঙন রোধ ও সেচ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার প্রধান দায়িত্ব পাউবোর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেছেন, শুধু প্রশাসনের ওপর দায় চাপালে হবে না; পাউবোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
অবৈধ পাথর উত্তোলন কেবল স্থানীয় নয়, জাতীয় পর্যায়ের সংকট। তিস্তা দেশের অন্যতম প্রধান নদী। এই নদীর ক্ষতি মানে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও পরিবেশের ক্ষতি। নদী রক্ষায় ও অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করে নিয়মিত অভিযান চালাতে পারে। সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। নদী রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, যেমন বাঁধ নির্মাণ ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর তোলা হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নাকের ডগায় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্রগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পাঁচ শতাধিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে নদীর তলদেশ খুঁড়ে পাথর তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ থেকে ভেন্ডাবাড়ি পর্যন্ত এভাবে পাথর তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের মুখে সিন্ডিকেটগুলো মাঝে দু-একদিন বিরতি দেয়। এরপর আবারও তারা তৎপর হয়ে ওঠে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে বালু সরিয়ে পাথর তুললে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বিঘিœত হয়, নদী ভাঙন দেখা দেয়। এতেকরে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা বসতভিটা, আবাদি জমি হারাচ্ছেন। এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না হলে তিস্তা অববাহিকার পরিবেশ, কৃষি ও জীববৈচিত্র্যি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেন। ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, পাথর উত্তোলন বন্ধের দায় তাদের নয়, এটি জেলা-উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব। অথচ তিস্তা ব্যারাজের রক্ষণাবেক্ষণ, ভাঙন রোধ ও সেচ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার প্রধান দায়িত্ব পাউবোর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেছেন, শুধু প্রশাসনের ওপর দায় চাপালে হবে না; পাউবোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
অবৈধ পাথর উত্তোলন কেবল স্থানীয় নয়, জাতীয় পর্যায়ের সংকট। তিস্তা দেশের অন্যতম প্রধান নদী। এই নদীর ক্ষতি মানে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও পরিবেশের ক্ষতি। নদী রক্ষায় ও অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করে নিয়মিত অভিযান চালাতে পারে। সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। নদী রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, যেমন বাঁধ নির্মাণ ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার।