ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ও কাঁঠাল ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র পারাপারের মাধ্যম আজও বাঁশের সাঁকো। পাগারিয়া নদীর ওপর স্থায়ী সেতু না থাকায় প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমজীবীসহ দুই ইউনিয়নের প্রায় বিশ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার মানুষের দাবি, একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক। কিন্তু বারবার আশ্বাস পেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে মাঝে মাঝেই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কয়েক বছর আগে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী দুখুনি এই সাঁকো থেকে পড়ে নদীতে ডুবে মারা যায়। এরপরও প্রশাসনের টনক নড়েনি। শিক্ষার্থীদের পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে কখনো কখনো।
পাগারিয়া নদীর ওপর ‘জাহেদের ঘাট’ এলাকায় এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে রামপুর, কাঁঠাল, দরিল্লা, বালিয়ারপাড় ও কানিহারী গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। বিশেষ করে বর্ষাকালে সাঁকোটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কাদা, পানি আর পিচ্ছিল বাঁশের ওপর দিয়ে হাঁটা মানে ঝুঁকি নিয়ে চলা।
গ্রামীণ যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা সরকারের দায়িত্ব। একটি সেতু নির্মিত হলে শুধু দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে না, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমও সহজ হবে। এভাবে একটি সেতু গোটা এলাকার জীবনযাত্রা বদলে দিতে পারে।
জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উচিত দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া। স্থানীয় সরকারের ছোট একটি প্রকল্প দিয়েও একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। জনগণের প্রাণ, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ত্রিশালের পাগারিয়া নদীর ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ও কাঁঠাল ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র পারাপারের মাধ্যম আজও বাঁশের সাঁকো। পাগারিয়া নদীর ওপর স্থায়ী সেতু না থাকায় প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমজীবীসহ দুই ইউনিয়নের প্রায় বিশ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার মানুষের দাবি, একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক। কিন্তু বারবার আশ্বাস পেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে মাঝে মাঝেই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কয়েক বছর আগে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী দুখুনি এই সাঁকো থেকে পড়ে নদীতে ডুবে মারা যায়। এরপরও প্রশাসনের টনক নড়েনি। শিক্ষার্থীদের পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে কখনো কখনো।
পাগারিয়া নদীর ওপর ‘জাহেদের ঘাট’ এলাকায় এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে রামপুর, কাঁঠাল, দরিল্লা, বালিয়ারপাড় ও কানিহারী গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। বিশেষ করে বর্ষাকালে সাঁকোটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কাদা, পানি আর পিচ্ছিল বাঁশের ওপর দিয়ে হাঁটা মানে ঝুঁকি নিয়ে চলা।
গ্রামীণ যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা সরকারের দায়িত্ব। একটি সেতু নির্মিত হলে শুধু দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে না, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমও সহজ হবে। এভাবে একটি সেতু গোটা এলাকার জীবনযাত্রা বদলে দিতে পারে।
জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উচিত দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া। স্থানীয় সরকারের ছোট একটি প্রকল্প দিয়েও একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। জনগণের প্রাণ, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ত্রিশালের পাগারিয়া নদীর ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।