রাজধানীসহ দেশের প্রায় প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বহু আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে জোরালো বক্তব্য এসেছে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকেও একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ঢাকা শহর সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ তীব্রতার শব্দদূষণে আক্রান্ত। এর ফলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
দেশে শব্দদূষণের মাত্রা যে বাড়ছে এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত শব্দদূষণের মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবল হলেও ঢাকা শহরের অনেক রাস্তায় তা ১০০ ডেসিবল ছাড়িয়ে গেছে। এই দূষণের প্রধান বাহন যানবাহন হলেও রয়েছে আরও অনেক উৎসমূল। বাসাবাড়ির নির্মাণকাজ, ওয়েলডিং, ভারী শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকেই শব্দদূষণ ঘটে। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে পরিবহনই সবচেয়ে বেশি দূষণ তৈরি করে। এছাড়া একটি বড় দূষণের জায়গা হলো উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো। দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়সহ সব ক্ষেত্রে উচ্চৈস্বরে মাইক বাজানোর মাধ্যমে ভয়াবহ শব্দদূষণ তৈরি করা হচ্ছে। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাত পর্যন্ত এই শব্দদূষণের শিকার হয় মানুষ। রহস্যজনক কারণে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
২০১৯ সালে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর শব্দদূষণ প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর অংশ হিসেবে সচিবালয় এলাকাকে শব্দদূষণমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, সচিবালয়ের আশপাশে উচ্চশব্দের পরিমাণ কমেনি। বরং গত বছরের তুলনায় শব্দদূষণ সাত দশমিক আট শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ সরকারি ঘোষণার পরও শহরের একটি বিশেষ এলাকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। বিষয়টি হতাশাজনক।
শব্দদূষণ রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ যেমন জরুরি, একইভাবে জরুরি জনসচেতনতা। মানুষ যদি সচেতন হয় আর অন্যকে সচেতন করতে ভূমিকা পালন করে তাহলেই পরিবর্তন আসবে। সচেতনতা বাড়াতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর সেজন্য পাঠ্যবইয়ে শব্দ কী তা জানা দরকার। শব্দ কীভাবে কানের ক্ষতি করে, এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বাজানো বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় উচ্চৈস্বরে গান বাজানো বন্ধ করতে হবে। নির্মাণকাজ ও কলকারখানায় শব্দদূষণ রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয়। এটা মনে রাখতে হবে, শব্দদূষণ শুধু একজনের নয় বরং আশপাশের সব মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যারা শব্দদূষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন
রাজধানীসহ দেশের প্রায় প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বহু আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে জোরালো বক্তব্য এসেছে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকেও একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ঢাকা শহর সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ তীব্রতার শব্দদূষণে আক্রান্ত। এর ফলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
দেশে শব্দদূষণের মাত্রা যে বাড়ছে এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত শব্দদূষণের মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবল হলেও ঢাকা শহরের অনেক রাস্তায় তা ১০০ ডেসিবল ছাড়িয়ে গেছে। এই দূষণের প্রধান বাহন যানবাহন হলেও রয়েছে আরও অনেক উৎসমূল। বাসাবাড়ির নির্মাণকাজ, ওয়েলডিং, ভারী শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকেই শব্দদূষণ ঘটে। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে পরিবহনই সবচেয়ে বেশি দূষণ তৈরি করে। এছাড়া একটি বড় দূষণের জায়গা হলো উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো। দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়সহ সব ক্ষেত্রে উচ্চৈস্বরে মাইক বাজানোর মাধ্যমে ভয়াবহ শব্দদূষণ তৈরি করা হচ্ছে। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাত পর্যন্ত এই শব্দদূষণের শিকার হয় মানুষ। রহস্যজনক কারণে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
২০১৯ সালে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর শব্দদূষণ প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর অংশ হিসেবে সচিবালয় এলাকাকে শব্দদূষণমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, সচিবালয়ের আশপাশে উচ্চশব্দের পরিমাণ কমেনি। বরং গত বছরের তুলনায় শব্দদূষণ সাত দশমিক আট শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ সরকারি ঘোষণার পরও শহরের একটি বিশেষ এলাকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। বিষয়টি হতাশাজনক।
শব্দদূষণ রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ যেমন জরুরি, একইভাবে জরুরি জনসচেতনতা। মানুষ যদি সচেতন হয় আর অন্যকে সচেতন করতে ভূমিকা পালন করে তাহলেই পরিবর্তন আসবে। সচেতনতা বাড়াতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর সেজন্য পাঠ্যবইয়ে শব্দ কী তা জানা দরকার। শব্দ কীভাবে কানের ক্ষতি করে, এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বাজানো বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় উচ্চৈস্বরে গান বাজানো বন্ধ করতে হবে। নির্মাণকাজ ও কলকারখানায় শব্দদূষণ রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয়। এটা মনে রাখতে হবে, শব্দদূষণ শুধু একজনের নয় বরং আশপাশের সব মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যারা শব্দদূষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
রাজধানীসহ দেশের প্রায় প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বহু আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে জোরালো বক্তব্য এসেছে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকেও একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ঢাকা শহর সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ তীব্রতার শব্দদূষণে আক্রান্ত। এর ফলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
দেশে শব্দদূষণের মাত্রা যে বাড়ছে এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত শব্দদূষণের মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবল হলেও ঢাকা শহরের অনেক রাস্তায় তা ১০০ ডেসিবল ছাড়িয়ে গেছে। এই দূষণের প্রধান বাহন যানবাহন হলেও রয়েছে আরও অনেক উৎসমূল। বাসাবাড়ির নির্মাণকাজ, ওয়েলডিং, ভারী শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকেই শব্দদূষণ ঘটে। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে পরিবহনই সবচেয়ে বেশি দূষণ তৈরি করে। এছাড়া একটি বড় দূষণের জায়গা হলো উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো। দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়সহ সব ক্ষেত্রে উচ্চৈস্বরে মাইক বাজানোর মাধ্যমে ভয়াবহ শব্দদূষণ তৈরি করা হচ্ছে। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাত পর্যন্ত এই শব্দদূষণের শিকার হয় মানুষ। রহস্যজনক কারণে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
২০১৯ সালে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর শব্দদূষণ প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর অংশ হিসেবে সচিবালয় এলাকাকে শব্দদূষণমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, সচিবালয়ের আশপাশে উচ্চশব্দের পরিমাণ কমেনি। বরং গত বছরের তুলনায় শব্দদূষণ সাত দশমিক আট শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ সরকারি ঘোষণার পরও শহরের একটি বিশেষ এলাকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। বিষয়টি হতাশাজনক।
শব্দদূষণ রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ যেমন জরুরি, একইভাবে জরুরি জনসচেতনতা। মানুষ যদি সচেতন হয় আর অন্যকে সচেতন করতে ভূমিকা পালন করে তাহলেই পরিবর্তন আসবে। সচেতনতা বাড়াতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর সেজন্য পাঠ্যবইয়ে শব্দ কী তা জানা দরকার। শব্দ কীভাবে কানের ক্ষতি করে, এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বাজানো বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় উচ্চৈস্বরে গান বাজানো বন্ধ করতে হবে। নির্মাণকাজ ও কলকারখানায় শব্দদূষণ রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয়। এটা মনে রাখতে হবে, শব্দদূষণ শুধু একজনের নয় বরং আশপাশের সব মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যারা শব্দদূষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন
রাজধানীসহ দেশের প্রায় প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বহু আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে জোরালো বক্তব্য এসেছে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকেও একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ঢাকা শহর সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ তীব্রতার শব্দদূষণে আক্রান্ত। এর ফলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
দেশে শব্দদূষণের মাত্রা যে বাড়ছে এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত শব্দদূষণের মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবল হলেও ঢাকা শহরের অনেক রাস্তায় তা ১০০ ডেসিবল ছাড়িয়ে গেছে। এই দূষণের প্রধান বাহন যানবাহন হলেও রয়েছে আরও অনেক উৎসমূল। বাসাবাড়ির নির্মাণকাজ, ওয়েলডিং, ভারী শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকেই শব্দদূষণ ঘটে। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে পরিবহনই সবচেয়ে বেশি দূষণ তৈরি করে। এছাড়া একটি বড় দূষণের জায়গা হলো উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো। দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়সহ সব ক্ষেত্রে উচ্চৈস্বরে মাইক বাজানোর মাধ্যমে ভয়াবহ শব্দদূষণ তৈরি করা হচ্ছে। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাত পর্যন্ত এই শব্দদূষণের শিকার হয় মানুষ। রহস্যজনক কারণে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
২০১৯ সালে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর শব্দদূষণ প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর অংশ হিসেবে সচিবালয় এলাকাকে শব্দদূষণমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, সচিবালয়ের আশপাশে উচ্চশব্দের পরিমাণ কমেনি। বরং গত বছরের তুলনায় শব্দদূষণ সাত দশমিক আট শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ সরকারি ঘোষণার পরও শহরের একটি বিশেষ এলাকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। বিষয়টি হতাশাজনক।
শব্দদূষণ রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ যেমন জরুরি, একইভাবে জরুরি জনসচেতনতা। মানুষ যদি সচেতন হয় আর অন্যকে সচেতন করতে ভূমিকা পালন করে তাহলেই পরিবর্তন আসবে। সচেতনতা বাড়াতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর সেজন্য পাঠ্যবইয়ে শব্দ কী তা জানা দরকার। শব্দ কীভাবে কানের ক্ষতি করে, এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বাজানো বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় উচ্চৈস্বরে গান বাজানো বন্ধ করতে হবে। নির্মাণকাজ ও কলকারখানায় শব্দদূষণ রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয়। এটা মনে রাখতে হবে, শব্দদূষণ শুধু একজনের নয় বরং আশপাশের সব মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যারা শব্দদূষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।