alt

সম্পাদকীয়

রাবিতে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ০৮ মে ২০২১

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য বিদায়ী উপাচার্য এম আবদুস সোবহান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলছে, অবৈধ এ নিয়োগকে বৈধতা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রাবির সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য ৩৪ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রায় সাত মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছিল সেখানে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি উঠে এসেছে। অভিযুক্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছিল উক্ত তদন্ত কমিটি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি, সেসব নিয়োগও বাতিল করেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কিনা সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলছেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে আইওয়াশের জন্য।

অতীতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা হয়নি। কোন কোন অভিযোগে বড়জোর কোন কোন উপাচার্যকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। প্রসঙ্গক্রমে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা যায়। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। তাদের খুঁটির জোর কোথায়? যোগ্য, দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে রাবিতে নিয়োগ দুর্নীতি নাও ঘটতে পারত। সর্বক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রাবিতে যারা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে সেটা আমাদের আশা।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

রাবিতে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ০৮ মে ২০২১

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য বিদায়ী উপাচার্য এম আবদুস সোবহান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলছে, অবৈধ এ নিয়োগকে বৈধতা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রাবির সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য ৩৪ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রায় সাত মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছিল সেখানে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি উঠে এসেছে। অভিযুক্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছিল উক্ত তদন্ত কমিটি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি, সেসব নিয়োগও বাতিল করেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কিনা সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলছেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে আইওয়াশের জন্য।

অতীতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা হয়নি। কোন কোন অভিযোগে বড়জোর কোন কোন উপাচার্যকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। প্রসঙ্গক্রমে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা যায়। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। তাদের খুঁটির জোর কোথায়? যোগ্য, দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে রাবিতে নিয়োগ দুর্নীতি নাও ঘটতে পারত। সর্বক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রাবিতে যারা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে সেটা আমাদের আশা।

back to top