শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য বিদায়ী উপাচার্য এম আবদুস সোবহান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলছে, অবৈধ এ নিয়োগকে বৈধতা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাবির সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য ৩৪ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রায় সাত মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছিল সেখানে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি উঠে এসেছে। অভিযুক্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছিল উক্ত তদন্ত কমিটি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি, সেসব নিয়োগও বাতিল করেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কিনা সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলছেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে আইওয়াশের জন্য।
অতীতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা হয়নি। কোন কোন অভিযোগে বড়জোর কোন কোন উপাচার্যকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। প্রসঙ্গক্রমে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা যায়। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। তাদের খুঁটির জোর কোথায়? যোগ্য, দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে রাবিতে নিয়োগ দুর্নীতি নাও ঘটতে পারত। সর্বক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রাবিতে যারা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে সেটা আমাদের আশা।
শনিবার, ০৮ মে ২০২১
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য বিদায়ী উপাচার্য এম আবদুস সোবহান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলছে, অবৈধ এ নিয়োগকে বৈধতা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাবির সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য ৩৪ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রায় সাত মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছিল সেখানে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি উঠে এসেছে। অভিযুক্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছিল উক্ত তদন্ত কমিটি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি, সেসব নিয়োগও বাতিল করেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কিনা সেটা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলছেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে আইওয়াশের জন্য।
অতীতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা হয়নি। কোন কোন অভিযোগে বড়জোর কোন কোন উপাচার্যকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। প্রসঙ্গক্রমে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা যায়। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। তাদের খুঁটির জোর কোথায়? যোগ্য, দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে রাবিতে নিয়োগ দুর্নীতি নাও ঘটতে পারত। সর্বক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রাবিতে যারা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে সেটা আমাদের আশা।