আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুম হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির স্বজনদের বাসায় গিয়ে জেরা করছে বা থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব ব্যক্তিদের কারও কারও কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
দেশে গুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দীর্ঘদিন আগে নিখোঁজ বা গুম হয়েছে এমন ব্যক্তিদের স্বজনদের বাড়ি বাড়ি এখন কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের অভিযোগ তুলে র্যাব বের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর আগে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ গুম হওয়া ৩৪ ব্যক্তির বিষয়ে জানতে চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে যে, স্বজনদের কাছে কোন কোন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চাচ্ছে পুলিশ। প্রশ্ন হচ্ছে, নিখোঁজ মানুষের সন্ধান দেয়ার দায়িত্ব কার। দেশের কোন মানুষ যদি হারিয়ে যায়, যে কারণেই হোক, কোন নাগরিককে যদি খুঁজে পাওয়া না যায় তবে তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
গুম বা নিখোঁজের যেসব অভিযোগ পাওয়া যায় সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। ভুক্তভোগী স্বজনদের অভিযোগই যদি গ্রহণ করা না হয়, বরং তাদেরই হয়রানি করা হয় তাহলে গুম বা নিখোঁজ সমস্যার সমাধান হবে কীভাবে।
সমস্যা কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রেখে সমাধান মিলবে না। কোন কোন ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার পর স্বজনরা অভিযোগ করেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এ অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য সুরাহা করতে হবে। ভুক্তভোগী মানুষ রাষ্ট্রের কাছে নিখোঁজ স্বজনের সন্ধান চায়, বেঁচে না থাকলে অন্তত লাশটা খুঁজে দিতে বলে। তাদের এই দাবি পূরণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
নিখোঁজ বা গুমের শিকার ব্যক্তির স্বজনরা এমনিতেই নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাদের যেন নতুন করে কোন দুর্ভোগে ফেলা না হয় সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুম হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির স্বজনদের বাসায় গিয়ে জেরা করছে বা থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব ব্যক্তিদের কারও কারও কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
দেশে গুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দীর্ঘদিন আগে নিখোঁজ বা গুম হয়েছে এমন ব্যক্তিদের স্বজনদের বাড়ি বাড়ি এখন কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের অভিযোগ তুলে র্যাব বের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর আগে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ গুম হওয়া ৩৪ ব্যক্তির বিষয়ে জানতে চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে যে, স্বজনদের কাছে কোন কোন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চাচ্ছে পুলিশ। প্রশ্ন হচ্ছে, নিখোঁজ মানুষের সন্ধান দেয়ার দায়িত্ব কার। দেশের কোন মানুষ যদি হারিয়ে যায়, যে কারণেই হোক, কোন নাগরিককে যদি খুঁজে পাওয়া না যায় তবে তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
গুম বা নিখোঁজের যেসব অভিযোগ পাওয়া যায় সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। ভুক্তভোগী স্বজনদের অভিযোগই যদি গ্রহণ করা না হয়, বরং তাদেরই হয়রানি করা হয় তাহলে গুম বা নিখোঁজ সমস্যার সমাধান হবে কীভাবে।
সমস্যা কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রেখে সমাধান মিলবে না। কোন কোন ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার পর স্বজনরা অভিযোগ করেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এ অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য সুরাহা করতে হবে। ভুক্তভোগী মানুষ রাষ্ট্রের কাছে নিখোঁজ স্বজনের সন্ধান চায়, বেঁচে না থাকলে অন্তত লাশটা খুঁজে দিতে বলে। তাদের এই দাবি পূরণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
নিখোঁজ বা গুমের শিকার ব্যক্তির স্বজনরা এমনিতেই নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাদের যেন নতুন করে কোন দুর্ভোগে ফেলা না হয় সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।