alt

সম্পাদকীয়

দিবাযত্ন কেন্দ্র হোক শিশুবান্ধব

: রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

দেশের সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোর পরিবেশ শিশুদের জন্য কতটা উপযোগী সেই প্রশ্ন উঠেছে। দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা কাক্সিক্ষত মনোযোগ পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অনেক সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুরা দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছে। তাদের বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয় না। কোন কোন কেন্দ্রে শিক্ষিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষিক নেই। এসব কারণে সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন কমছে।

সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্র মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোর উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের কর্মজীবী নারীরা যেন তাদের সন্তানদের দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন সেটা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের মাতৃস্নেহে লালন-পালন করার কথা থাকলেও সেটা থেকে তারা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই সন্তুষ্ট নন। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ‘নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর্মজীবী মহিলাদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ১১টি কেন্দ্রের উদ্দেশ্য কতটুকু অর্জিত হয়েছে তা জানতে ২০১৮ সালে সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ দিবাযত্ন কেন্দ্রের শিক্ষার মান এবং ৫৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট।

দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনের পর্যাাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। বয়স অনুযায়ী সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে শিশুরা যেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।

দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব আছে বলে জানা গেছে। বরাদ্দও অপ্রতুল। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি। দিবাযত্ন কেন্দ্র যেন কোন কারাগারে পরিণত না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমরা চাই, প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্র হোক শিশুবান্ধব।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

দিবাযত্ন কেন্দ্র হোক শিশুবান্ধব

রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

দেশের সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোর পরিবেশ শিশুদের জন্য কতটা উপযোগী সেই প্রশ্ন উঠেছে। দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা কাক্সিক্ষত মনোযোগ পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অনেক সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুরা দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছে। তাদের বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয় না। কোন কোন কেন্দ্রে শিক্ষিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষিক নেই। এসব কারণে সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন কমছে।

সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্র মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোর উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের কর্মজীবী নারীরা যেন তাদের সন্তানদের দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন সেটা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের মাতৃস্নেহে লালন-পালন করার কথা থাকলেও সেটা থেকে তারা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই সন্তুষ্ট নন। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ‘নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর্মজীবী মহিলাদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ১১টি কেন্দ্রের উদ্দেশ্য কতটুকু অর্জিত হয়েছে তা জানতে ২০১৮ সালে সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ দিবাযত্ন কেন্দ্রের শিক্ষার মান এবং ৫৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট।

দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনের পর্যাাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। বয়স অনুযায়ী সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে শিশুরা যেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।

দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব আছে বলে জানা গেছে। বরাদ্দও অপ্রতুল। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি। দিবাযত্ন কেন্দ্র যেন কোন কারাগারে পরিণত না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমরা চাই, প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্র হোক শিশুবান্ধব।

back to top