দেশের সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোর পরিবেশ শিশুদের জন্য কতটা উপযোগী সেই প্রশ্ন উঠেছে। দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা কাক্সিক্ষত মনোযোগ পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অনেক সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুরা দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছে। তাদের বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয় না। কোন কোন কেন্দ্রে শিক্ষিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষিক নেই। এসব কারণে সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন কমছে।
সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্র মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোর উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের কর্মজীবী নারীরা যেন তাদের সন্তানদের দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন সেটা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের মাতৃস্নেহে লালন-পালন করার কথা থাকলেও সেটা থেকে তারা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই সন্তুষ্ট নন। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ‘নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর্মজীবী মহিলাদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ১১টি কেন্দ্রের উদ্দেশ্য কতটুকু অর্জিত হয়েছে তা জানতে ২০১৮ সালে সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ দিবাযত্ন কেন্দ্রের শিক্ষার মান এবং ৫৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনের পর্যাাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। বয়স অনুযায়ী সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে শিশুরা যেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।
দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব আছে বলে জানা গেছে। বরাদ্দও অপ্রতুল। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি। দিবাযত্ন কেন্দ্র যেন কোন কারাগারে পরিণত না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমরা চাই, প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্র হোক শিশুবান্ধব।
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
দেশের সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোর পরিবেশ শিশুদের জন্য কতটা উপযোগী সেই প্রশ্ন উঠেছে। দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা কাক্সিক্ষত মনোযোগ পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অনেক সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুরা দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছে। তাদের বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয় না। কোন কোন কেন্দ্রে শিক্ষিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষিক নেই। এসব কারণে সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন কমছে।
সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্র মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোর উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের কর্মজীবী নারীরা যেন তাদের সন্তানদের দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন সেটা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের মাতৃস্নেহে লালন-পালন করার কথা থাকলেও সেটা থেকে তারা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই সন্তুষ্ট নন। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ‘নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর্মজীবী মহিলাদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ১১টি কেন্দ্রের উদ্দেশ্য কতটুকু অর্জিত হয়েছে তা জানতে ২০১৮ সালে সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ দিবাযত্ন কেন্দ্রের শিক্ষার মান এবং ৫৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনের পর্যাাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। বয়স অনুযায়ী সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে শিশুরা যেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।
দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব আছে বলে জানা গেছে। বরাদ্দও অপ্রতুল। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি। দিবাযত্ন কেন্দ্র যেন কোন কারাগারে পরিণত না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমরা চাই, প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্র হোক শিশুবান্ধব।