বিদেশগামী বাংলাদেশি নাগরিকরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। বহির্গমনের ইমিগ্রেশনে যাত্রীরা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের অপেশাদারিত্বের কারণে কোন কোন যাত্রী ফ্লাইটও মিস করছেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের দুর্ব্যবহার ও অপেশাদারিত্বের অভিযোগ নতুন নয়। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদেরই বেশি ভোগান্তিতে ফেলে। তাদের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া গেছে। শুধু একটি বিমানবন্দরেই নয়, স্থল বন্দরেও ইমিগ্রেশন পুলিশ যাত্রী সাধারণের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের একশ্রেণীর সদস্য শুধু যাত্রী হয়রানি করেই ক্ষান্ত হয় না। তারা নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতেও জড়িয়ে পড়ে। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক দালালদের সঙ্গে তাদের সখ্য রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। চোরাচালান ও পাচারকারী চক্রের সঙ্গেও অনেকের যোগসাজশের খবর পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ পাওয়া যায় তার সামান্যই সুরাহা করা হয়। কখনও কেউ অপরাধ করে হাতেনাতে ধরা পড়লে, সেটা নিয়ে হইচই হলে লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। ব্যবস্থা নেয়া না হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ছাড় দেবে না সেটা আমাদের আশা।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে সেটা আমরা দেখতে চাই। সব যাত্রীর সঙ্গে তাদের মানবিক আচরণ করতে হবে। যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলা বা হয়রানি করা তাদের কাজ নয়। যাত্রীসেবা করা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এজন্য তারা জনগণের টাকায় বেতন পান।
শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
বিদেশগামী বাংলাদেশি নাগরিকরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। বহির্গমনের ইমিগ্রেশনে যাত্রীরা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের অপেশাদারিত্বের কারণে কোন কোন যাত্রী ফ্লাইটও মিস করছেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের দুর্ব্যবহার ও অপেশাদারিত্বের অভিযোগ নতুন নয়। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদেরই বেশি ভোগান্তিতে ফেলে। তাদের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া গেছে। শুধু একটি বিমানবন্দরেই নয়, স্থল বন্দরেও ইমিগ্রেশন পুলিশ যাত্রী সাধারণের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের একশ্রেণীর সদস্য শুধু যাত্রী হয়রানি করেই ক্ষান্ত হয় না। তারা নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতেও জড়িয়ে পড়ে। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক দালালদের সঙ্গে তাদের সখ্য রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। চোরাচালান ও পাচারকারী চক্রের সঙ্গেও অনেকের যোগসাজশের খবর পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ পাওয়া যায় তার সামান্যই সুরাহা করা হয়। কখনও কেউ অপরাধ করে হাতেনাতে ধরা পড়লে, সেটা নিয়ে হইচই হলে লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। ব্যবস্থা নেয়া না হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ছাড় দেবে না সেটা আমাদের আশা।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে সেটা আমরা দেখতে চাই। সব যাত্রীর সঙ্গে তাদের মানবিক আচরণ করতে হবে। যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলা বা হয়রানি করা তাদের কাজ নয়। যাত্রীসেবা করা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এজন্য তারা জনগণের টাকায় বেতন পান।