অবৈধ দখলে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জমি উদ্ধার কার্যক্রম চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা এসব জমি উদ্ধারে গত তিন দশকে এছাড়া কোন অগ্রগতি নেই। গত রোববার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে এসব কথা।
শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বর্তমানে ঢাবির নিজস্ব জমিতে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি, আনন্দ বাজারসংলগ্ন বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির দখলে থাকা প্রায় ৩০ শতাংশ জমি থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশ কমিশনারকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায় কোন ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় চিঠি দিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের ভবনগুলো ঢাবির কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এর বাইরে এসব জমি দখলমুক্ত করতে নতুন করে কোন উদ্যোগ নেয়া হবে কি না- তাও স্পষ্ট নয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নীলক্ষেত এবং বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি দুটি সরিয়ে নিতে মূলত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা এবং ভবন নির্মাণ করতে না করা ছাড়া কার্যত কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি। আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রটি সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে ১৯৯২ সালে। পুলিশ ফাঁড়ি দুটির জন্য বিকল্প জায়গার অভাবের কথা বলা হচ্ছে। কথাটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেই প্রশ্ন উঠেছে।
তবে আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের তো সেই সমস্যা নেই। এরপরও কেন এ কাজের কোন অগ্রগতি হলো না, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। পুলিশ ফাঁড়ি দুটি স্থানান্তরের জন্য জায়গা নির্ধারণসহ আর কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে-সেটা জানা দরকর।
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের জায়গা বেদখল হয়ে আছে। দখলের অবসান ঘটানো যায় না কেন, সমস্যাটা কোথায়? সংশ্লিষ্টরা কি আদৌ এ বিষয়ে আন্তরিক। আন্তরিকতা থাকলে দখলদারিত্বের অবসান হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিন দশক লাগার কথা নয়।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
অবৈধ দখলে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জমি উদ্ধার কার্যক্রম চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা এসব জমি উদ্ধারে গত তিন দশকে এছাড়া কোন অগ্রগতি নেই। গত রোববার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে এসব কথা।
শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বর্তমানে ঢাবির নিজস্ব জমিতে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি, আনন্দ বাজারসংলগ্ন বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির দখলে থাকা প্রায় ৩০ শতাংশ জমি থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশ কমিশনারকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায় কোন ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় চিঠি দিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের ভবনগুলো ঢাবির কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এর বাইরে এসব জমি দখলমুক্ত করতে নতুন করে কোন উদ্যোগ নেয়া হবে কি না- তাও স্পষ্ট নয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নীলক্ষেত এবং বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি দুটি সরিয়ে নিতে মূলত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা এবং ভবন নির্মাণ করতে না করা ছাড়া কার্যত কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি। আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রটি সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে ১৯৯২ সালে। পুলিশ ফাঁড়ি দুটির জন্য বিকল্প জায়গার অভাবের কথা বলা হচ্ছে। কথাটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেই প্রশ্ন উঠেছে।
তবে আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের তো সেই সমস্যা নেই। এরপরও কেন এ কাজের কোন অগ্রগতি হলো না, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। পুলিশ ফাঁড়ি দুটি স্থানান্তরের জন্য জায়গা নির্ধারণসহ আর কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে-সেটা জানা দরকর।
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের জায়গা বেদখল হয়ে আছে। দখলের অবসান ঘটানো যায় না কেন, সমস্যাটা কোথায়? সংশ্লিষ্টরা কি আদৌ এ বিষয়ে আন্তরিক। আন্তরিকতা থাকলে দখলদারিত্বের অবসান হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিন দশক লাগার কথা নয়।