alt

সম্পাদকীয়

ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশি নাগরিকদের করুণ মৃত্যু

: বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

ভূমধ্যসাগরকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানব পাচারের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউরোপে যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশী অনেক মানুষই সাগরে ডুবে বা অন্য কোনভাবে প্রাণ হারান। অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশি নাগরিকদেরও বিপজ্জনক এই পথ পাড়ি দিতে দেখা যায়।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় প্রচন্ড ঠান্ডায় সাতজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এর আগেও অবৈধপথে বিদেশে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে আটক হয়েছেন। ২০১৯ সালে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে অন্তত ৪০ জন বাংলাদেশি নাগরিক মারা গিয়েছিলেন।

মূলত উন্নত জীবনের আশায় মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ থেকে মানুষ অবৈধভাবে বিদেশে যাচ্ছেন। তাদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ, বিশেষ করে ইতালি। এ উদ্দেশ্যেই তারা লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেন। গত বছর অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রন্টিয়ার যে তথ্য দিয়েছে তা থেকে জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যত সংখ্যক মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করে আটক হয়েছেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

দেশের বহু মানুষের মধ্যে বিদেশ প্রশ্নে মোহ কাজ করছে। তারা মনে করেন, কোনরকমে একবার বিদেশে যেতে পারলে জীবন বদলে যাবে। ভিনদেশে গিয়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা-যোগ্যতা আছে কিনা সেটা না ভেবেই তারা বিদেশে যেতে উদ্যত হন। এজন্য ভিটেমাটি বিক্রি করতেও তারা পিছ-পা হন না। এ সুযোগটি নেয় মানব পাচারকারী চক্র। এ মোহের যতদিন না অবসান হবে ততদিন এই অবস্থার অবসান হবে না।

মানব পাচার বন্ধে যতটা নজর দেয়া দরকার ততটা দেয়া হয় না। মানব পাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ও অপরাধীর দন্ড দেয়ার প্রশ্নে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে মানব পাচার বন্ধ হবে কীভাবে? পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশি নাগরিকদের করুণ মৃত্যু

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

ভূমধ্যসাগরকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানব পাচারের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউরোপে যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশী অনেক মানুষই সাগরে ডুবে বা অন্য কোনভাবে প্রাণ হারান। অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশি নাগরিকদেরও বিপজ্জনক এই পথ পাড়ি দিতে দেখা যায়।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় প্রচন্ড ঠান্ডায় সাতজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এর আগেও অবৈধপথে বিদেশে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে আটক হয়েছেন। ২০১৯ সালে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে অন্তত ৪০ জন বাংলাদেশি নাগরিক মারা গিয়েছিলেন।

মূলত উন্নত জীবনের আশায় মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ থেকে মানুষ অবৈধভাবে বিদেশে যাচ্ছেন। তাদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ, বিশেষ করে ইতালি। এ উদ্দেশ্যেই তারা লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেন। গত বছর অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রন্টিয়ার যে তথ্য দিয়েছে তা থেকে জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যত সংখ্যক মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করে আটক হয়েছেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

দেশের বহু মানুষের মধ্যে বিদেশ প্রশ্নে মোহ কাজ করছে। তারা মনে করেন, কোনরকমে একবার বিদেশে যেতে পারলে জীবন বদলে যাবে। ভিনদেশে গিয়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা-যোগ্যতা আছে কিনা সেটা না ভেবেই তারা বিদেশে যেতে উদ্যত হন। এজন্য ভিটেমাটি বিক্রি করতেও তারা পিছ-পা হন না। এ সুযোগটি নেয় মানব পাচারকারী চক্র। এ মোহের যতদিন না অবসান হবে ততদিন এই অবস্থার অবসান হবে না।

মানব পাচার বন্ধে যতটা নজর দেয়া দরকার ততটা দেয়া হয় না। মানব পাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ও অপরাধীর দন্ড দেয়ার প্রশ্নে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে মানব পাচার বন্ধ হবে কীভাবে? পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে।

back to top