গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৯টি জেব্রা মারা গেছে। চলতি মাসের ২ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে জেব্রাগুলো মারা গিয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে পরপর ৯টি জেব্রার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯টির মধ্যে চারটি মারা গেছে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে, আর বাকি পাঁচটি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে।
বণ্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, বেষ্টনীর মধ্যে থাকা জেব্রারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের কোন নজির নেই। তাছাড়া তাদের শিংও নেই। তাই কোন কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও গুরুতর কোন আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা নেই। ব্যকটেরিয়ায় মৃত্যু হলে সেটা খাবারের থেকে হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞারা।
প্রশ্ন হলো-খাবারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটল কীভাবে। খাবার কি নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়? জেব্রাগুলো কি খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেছে নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল? অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা কী করা হয়েছে? তখন কী খাবার পরীক্ষা করে দেখা হয়নি? এগুলো দেখভালের দায়িত্ব যাদের তারা কী ভূমিকা পালন করেছে সেটা আমরা জানতে চাই।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, জেব্রাগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বা মারামারি হয়েছে তাহলেও প্রশ্ন দেখা দেয়। যখন সংঘর্ষ হয়েছে তখন কর্তৃপক্ষ কী ঘুমিয়ে ছিল, নাকি মারামারি করে জ্রেবাগুলো কখন মারা যায় তা দেখার জন্য বসে বসে অপেক্ষা করছিল? একটা-দুটি নয়, চারটি জেব্রা সংঘর্ষে মারা গেছে। এর পেছনে কী শুধু গাফিলতি দায়ী, না কারো কোন কোন মতলব আছে?
এতগুলো জেব্রা মারা যাওয়ার পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত বুধবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটিকে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, মৃত্যুর ঘটনায় পার্কে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তা চিহ্নিতকরণ এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সংবলিত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, গত ২ জানুয়ারি থেকে জেব্রাগুলো যখন মারা যাওয়া শুরু করলে তখন তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এতগুলো জেব্রা মারা যাওয়ার পর তাদের হুঁশ হলো যে ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করতে হবে। সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের মতো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও দেখছি ঘুমিয়ে ছিল।
সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। গত আট বছের বাঘ, জিরাফ, ক্যাঙ্গারু, জেব্রাসহ বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে দুর্লভ কিছু পাখিও। সর্বশেষ গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত গরমে একটি সাদা সিংহের মৃত্যু হয়েছে। এসব পশু-পাখির মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। সেসবের যথাযথ কারণ উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় হলে হয়তো এতগুলো জেব্রার মৃত্যু হতো না।
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৯টি জেব্রা মারা গেছে। চলতি মাসের ২ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে জেব্রাগুলো মারা গিয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে পরপর ৯টি জেব্রার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯টির মধ্যে চারটি মারা গেছে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে, আর বাকি পাঁচটি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে।
বণ্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, বেষ্টনীর মধ্যে থাকা জেব্রারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের কোন নজির নেই। তাছাড়া তাদের শিংও নেই। তাই কোন কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও গুরুতর কোন আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা নেই। ব্যকটেরিয়ায় মৃত্যু হলে সেটা খাবারের থেকে হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞারা।
প্রশ্ন হলো-খাবারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটল কীভাবে। খাবার কি নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়? জেব্রাগুলো কি খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেছে নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল? অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা কী করা হয়েছে? তখন কী খাবার পরীক্ষা করে দেখা হয়নি? এগুলো দেখভালের দায়িত্ব যাদের তারা কী ভূমিকা পালন করেছে সেটা আমরা জানতে চাই।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, জেব্রাগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বা মারামারি হয়েছে তাহলেও প্রশ্ন দেখা দেয়। যখন সংঘর্ষ হয়েছে তখন কর্তৃপক্ষ কী ঘুমিয়ে ছিল, নাকি মারামারি করে জ্রেবাগুলো কখন মারা যায় তা দেখার জন্য বসে বসে অপেক্ষা করছিল? একটা-দুটি নয়, চারটি জেব্রা সংঘর্ষে মারা গেছে। এর পেছনে কী শুধু গাফিলতি দায়ী, না কারো কোন কোন মতলব আছে?
এতগুলো জেব্রা মারা যাওয়ার পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত বুধবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটিকে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, মৃত্যুর ঘটনায় পার্কে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তা চিহ্নিতকরণ এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সংবলিত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, গত ২ জানুয়ারি থেকে জেব্রাগুলো যখন মারা যাওয়া শুরু করলে তখন তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এতগুলো জেব্রা মারা যাওয়ার পর তাদের হুঁশ হলো যে ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করতে হবে। সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের মতো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও দেখছি ঘুমিয়ে ছিল।
সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। গত আট বছের বাঘ, জিরাফ, ক্যাঙ্গারু, জেব্রাসহ বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে দুর্লভ কিছু পাখিও। সর্বশেষ গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত গরমে একটি সাদা সিংহের মৃত্যু হয়েছে। এসব পশু-পাখির মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। সেসবের যথাযথ কারণ উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় হলে হয়তো এতগুলো জেব্রার মৃত্যু হতো না।