বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পোশাকশ্রমিকরা পথে নামছেন। গত সোমবার রাজধানীর মিরপুরে পোশাকশ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের ছুটির আগে তৈরি পোশাকশিল্পসহ সব খাতের শ্রমিকেরা এপ্রিলের মাসের অর্ধেক বেতন ও ঈদ বোনাস পাবেন। তবে মার্চ মাসের পুরো বেতন ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। যদিও শ্রমিকরা চলতি মাসের পুরো বেতন দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক পোশাক কারখানা এখনো মার্চ মাসের বেতনই পরিশোধ করেনি। বোনাস ও চলতি মাসের অর্ধেক বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা আরো বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেতন-বোনাস নিয়ে ঈদের আগে পাঁচ শতাধিক কারখানায় অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিকদের ক্ষোভ বা আন্দোলনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। প্রতি বছরই দেখা যায় ঈদের সময় একশ্রেণীর কারখানা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে নানান টালবাহানা করে। বিশেষকরে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানাগুলো প্রায়ই ঈদের সময়েও বেতন-বোনাস পরিশোধ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে অনেক সময় বেতন-বোনাস না পেয়ে এসব কারখানার শ্রমিকদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে।
শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী, এক মাসের বেতন পরের মাসের সাত কর্মদিবস বা ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। অনেক কারখানা সেটা মানে না। অনেক কারখানায় মাসের পর মাস শ্রমিকের বেতন বকেয়া পড়ে থাকে। যথা সময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দেয়ার সমস্যা শুধু পোশাক কারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যান্য অনেক শিল্পকারখানায়ও বেতন বকেয়া আছে।
আর কয়েক দিন পর ঈদ। উৎসবের সময়ও শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেয়া অমানবিক। এই অমানবিকতা মেনে নেয়া যায় না। সরকার ঈদের আগেই বেতন ও বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা আশা করব, সব কারখানা এই আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে।
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে, বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে কেউ যেন পার না পায় সেটা সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করতে হবে। এখনো যেসব কারখানা বেতন-বোনাস ঝুলিয়ে রেখেছে সেগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। বেতন-বোনাস প্রশ্নে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয়, সেজন্য সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পোশাকশ্রমিকরা পথে নামছেন। গত সোমবার রাজধানীর মিরপুরে পোশাকশ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের ছুটির আগে তৈরি পোশাকশিল্পসহ সব খাতের শ্রমিকেরা এপ্রিলের মাসের অর্ধেক বেতন ও ঈদ বোনাস পাবেন। তবে মার্চ মাসের পুরো বেতন ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। যদিও শ্রমিকরা চলতি মাসের পুরো বেতন দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক পোশাক কারখানা এখনো মার্চ মাসের বেতনই পরিশোধ করেনি। বোনাস ও চলতি মাসের অর্ধেক বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা আরো বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেতন-বোনাস নিয়ে ঈদের আগে পাঁচ শতাধিক কারখানায় অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিকদের ক্ষোভ বা আন্দোলনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। প্রতি বছরই দেখা যায় ঈদের সময় একশ্রেণীর কারখানা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে নানান টালবাহানা করে। বিশেষকরে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানাগুলো প্রায়ই ঈদের সময়েও বেতন-বোনাস পরিশোধ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে অনেক সময় বেতন-বোনাস না পেয়ে এসব কারখানার শ্রমিকদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে।
শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী, এক মাসের বেতন পরের মাসের সাত কর্মদিবস বা ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। অনেক কারখানা সেটা মানে না। অনেক কারখানায় মাসের পর মাস শ্রমিকের বেতন বকেয়া পড়ে থাকে। যথা সময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দেয়ার সমস্যা শুধু পোশাক কারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যান্য অনেক শিল্পকারখানায়ও বেতন বকেয়া আছে।
আর কয়েক দিন পর ঈদ। উৎসবের সময়ও শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেয়া অমানবিক। এই অমানবিকতা মেনে নেয়া যায় না। সরকার ঈদের আগেই বেতন ও বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা আশা করব, সব কারখানা এই আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে।
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে, বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে কেউ যেন পার না পায় সেটা সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করতে হবে। এখনো যেসব কারখানা বেতন-বোনাস ঝুলিয়ে রেখেছে সেগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। বেতন-বোনাস প্রশ্নে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয়, সেজন্য সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।