alt

সম্পাদকীয়

ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করুন

: বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পোশাকশ্রমিকরা পথে নামছেন। গত সোমবার রাজধানীর মিরপুরে পোশাকশ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের ছুটির আগে তৈরি পোশাকশিল্পসহ সব খাতের শ্রমিকেরা এপ্রিলের মাসের অর্ধেক বেতন ও ঈদ বোনাস পাবেন। তবে মার্চ মাসের পুরো বেতন ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। যদিও শ্রমিকরা চলতি মাসের পুরো বেতন দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক পোশাক কারখানা এখনো মার্চ মাসের বেতনই পরিশোধ করেনি। বোনাস ও চলতি মাসের অর্ধেক বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা আরো বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেতন-বোনাস নিয়ে ঈদের আগে পাঁচ শতাধিক কারখানায় অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।

ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিকদের ক্ষোভ বা আন্দোলনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। প্রতি বছরই দেখা যায় ঈদের সময় একশ্রেণীর কারখানা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে নানান টালবাহানা করে। বিশেষকরে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানাগুলো প্রায়ই ঈদের সময়েও বেতন-বোনাস পরিশোধ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে অনেক সময় বেতন-বোনাস না পেয়ে এসব কারখানার শ্রমিকদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে।

শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী, এক মাসের বেতন পরের মাসের সাত কর্মদিবস বা ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। অনেক কারখানা সেটা মানে না। অনেক কারখানায় মাসের পর মাস শ্রমিকের বেতন বকেয়া পড়ে থাকে। যথা সময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দেয়ার সমস্যা শুধু পোশাক কারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যান্য অনেক শিল্পকারখানায়ও বেতন বকেয়া আছে।

আর কয়েক দিন পর ঈদ। উৎসবের সময়ও শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেয়া অমানবিক। এই অমানবিকতা মেনে নেয়া যায় না। সরকার ঈদের আগেই বেতন ও বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা আশা করব, সব কারখানা এই আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে।

ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে, বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে কেউ যেন পার না পায় সেটা সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করতে হবে। এখনো যেসব কারখানা বেতন-বোনাস ঝুলিয়ে রেখেছে সেগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। বেতন-বোনাস প্রশ্নে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয়, সেজন্য সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করুন

বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পোশাকশ্রমিকরা পথে নামছেন। গত সোমবার রাজধানীর মিরপুরে পোশাকশ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের ছুটির আগে তৈরি পোশাকশিল্পসহ সব খাতের শ্রমিকেরা এপ্রিলের মাসের অর্ধেক বেতন ও ঈদ বোনাস পাবেন। তবে মার্চ মাসের পুরো বেতন ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। যদিও শ্রমিকরা চলতি মাসের পুরো বেতন দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক পোশাক কারখানা এখনো মার্চ মাসের বেতনই পরিশোধ করেনি। বোনাস ও চলতি মাসের অর্ধেক বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা আরো বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেতন-বোনাস নিয়ে ঈদের আগে পাঁচ শতাধিক কারখানায় অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।

ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিকদের ক্ষোভ বা আন্দোলনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। প্রতি বছরই দেখা যায় ঈদের সময় একশ্রেণীর কারখানা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে নানান টালবাহানা করে। বিশেষকরে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানাগুলো প্রায়ই ঈদের সময়েও বেতন-বোনাস পরিশোধ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে অনেক সময় বেতন-বোনাস না পেয়ে এসব কারখানার শ্রমিকদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে।

শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী, এক মাসের বেতন পরের মাসের সাত কর্মদিবস বা ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। অনেক কারখানা সেটা মানে না। অনেক কারখানায় মাসের পর মাস শ্রমিকের বেতন বকেয়া পড়ে থাকে। যথা সময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দেয়ার সমস্যা শুধু পোশাক কারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যান্য অনেক শিল্পকারখানায়ও বেতন বকেয়া আছে।

আর কয়েক দিন পর ঈদ। উৎসবের সময়ও শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেয়া অমানবিক। এই অমানবিকতা মেনে নেয়া যায় না। সরকার ঈদের আগেই বেতন ও বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা আশা করব, সব কারখানা এই আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে।

ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে, বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে কেউ যেন পার না পায় সেটা সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করতে হবে। এখনো যেসব কারখানা বেতন-বোনাস ঝুলিয়ে রেখেছে সেগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। বেতন-বোনাস প্রশ্নে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয়, সেজন্য সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

back to top