রংপুর আবহাওয়া অফিসের রাডারটি অকেজো হয়ে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। ফলে আবহাওয়ার আগাম বার্তা পেতে ঢাকাসহ অন্যান্য আবহাওয়া অফিসের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে যেমন সময়ক্ষেপণ হয়, তেমনি যথাসময়ে আবহাওয়ার তথ্য পাওয়া যায় না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ আবহাওয়া পূর্বাভাস না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রংপুরের আশপাশের প্রায় ৪০০-৫০০ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা। তারা দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কৃষকরা। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র তাপপ্রবাহ, অসময়ে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগই অনেকটা মোকাবিলা করতে হচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছাড়াই। ফলে কৃষিনির্ভর স্থানীয় অর্থনীতি পড়েছে সংকটে। তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে, প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল।
কৃষিকাজে আবহাওয়ার আগাম খবর জানা খুবই গুরুত্বপর্ণ। রাডার ব্যবহার করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, কালবৈশাখীর কারণে শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ও ঘূর্ণিঝড় প্রবাহের দিকনির্ণয় করা হয়। তাছাড়া রাডার থেকে প্রাপ্ত চিত্র দেখে কালবৈশাখীর কারণে শিলাবৃষ্টি হওয়ার আগাম পূর্বাভাসও করা যায়। যদিও ঢাকার সঙ্গে সমন্বয় করে এখন কাজ করা হচ্ছে। তারপরও স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যের সঙ্গে এর পার্থক্য থেকেই যায়। স্থানীয়ভাবে যতটা গুরুত্ব দিয়ে এলাকাভেদে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হতো, কেন্দ্রীয়ভাবে সেটা সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গের ভূপ্রকৃতি দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আলাদা।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রংপুরের রাডারটি অচল হয়ে পড়ে আছে। যদিও এর আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছিল এক যুগেরও পূর্বে। এতদিনেও সেখানে রাডার হয়নি। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, সংশ্লিষ্টরা এর গুরুত্ব ও প্রয়োজন সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছে কিনা।
আশার কথা হলো, রংপুরে নতুন ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। গাজীপুর আবহাওয়া কার্যালয়ে এ রাডারের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ। আমরা আশা করবো, এ কাজ সময়মতো শেষ হবে, যথাসময়ে রাডার স্থাপন করা হবে। কোন কারণে যেন এ কাজ পিছিয়ে না যায়।
সোমবার, ১৬ মে ২০২২
রংপুর আবহাওয়া অফিসের রাডারটি অকেজো হয়ে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। ফলে আবহাওয়ার আগাম বার্তা পেতে ঢাকাসহ অন্যান্য আবহাওয়া অফিসের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে যেমন সময়ক্ষেপণ হয়, তেমনি যথাসময়ে আবহাওয়ার তথ্য পাওয়া যায় না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ আবহাওয়া পূর্বাভাস না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রংপুরের আশপাশের প্রায় ৪০০-৫০০ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা। তারা দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কৃষকরা। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র তাপপ্রবাহ, অসময়ে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগই অনেকটা মোকাবিলা করতে হচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছাড়াই। ফলে কৃষিনির্ভর স্থানীয় অর্থনীতি পড়েছে সংকটে। তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে, প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল।
কৃষিকাজে আবহাওয়ার আগাম খবর জানা খুবই গুরুত্বপর্ণ। রাডার ব্যবহার করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, কালবৈশাখীর কারণে শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ও ঘূর্ণিঝড় প্রবাহের দিকনির্ণয় করা হয়। তাছাড়া রাডার থেকে প্রাপ্ত চিত্র দেখে কালবৈশাখীর কারণে শিলাবৃষ্টি হওয়ার আগাম পূর্বাভাসও করা যায়। যদিও ঢাকার সঙ্গে সমন্বয় করে এখন কাজ করা হচ্ছে। তারপরও স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যের সঙ্গে এর পার্থক্য থেকেই যায়। স্থানীয়ভাবে যতটা গুরুত্ব দিয়ে এলাকাভেদে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হতো, কেন্দ্রীয়ভাবে সেটা সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গের ভূপ্রকৃতি দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আলাদা।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রংপুরের রাডারটি অচল হয়ে পড়ে আছে। যদিও এর আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছিল এক যুগেরও পূর্বে। এতদিনেও সেখানে রাডার হয়নি। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, সংশ্লিষ্টরা এর গুরুত্ব ও প্রয়োজন সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছে কিনা।
আশার কথা হলো, রংপুরে নতুন ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। গাজীপুর আবহাওয়া কার্যালয়ে এ রাডারের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ। আমরা আশা করবো, এ কাজ সময়মতো শেষ হবে, যথাসময়ে রাডার স্থাপন করা হবে। কোন কারণে যেন এ কাজ পিছিয়ে না যায়।