বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নে ঘরামী বাজারসংলগ্ন খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে নৌকা, ট্রলারসহ অন্যান্য নৌ-যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জই নয় বরং সারাদেশেই এভাবে নদী-খাল দখলের মহোসৎব চলছে। চর পড়ে এবং দখল-দূষণের কারণে দেশের নদী-খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু নদী-খাল। নদীর ধারে গড়ে উঠেছে শিল্প ও কলকারখানা, অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হচ্ছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। সারাদেশ যেন এখন নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।
এসব নদী, খাল উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন ভূমিকা রাখা দরকার তেমনটা চোখে পড়ে না। বরং মাঝে মাঝে গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা গৎবাঁধা কিছু কথা বলে থাকেন। যেমনটা বলেছেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশের কোন নদী-খালই যেমন রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না, তেমনি দূষণের কবলেও পড়তে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এসব ঘটে থাকে। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে কোনভাবেই দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।
দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। মোরেলগঞ্জের ঘরামী বাজারসংলগ্ন খালকে দখলমুক্ত করতে হবে। দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে পুনর্দখল হয়ে যাবে না; আমরা এমন নিশ্চয়তা চাই। এটা শুধু এই খালের ক্ষেত্রে নয়, দেশের সব নদ-নদী, খাল ও জলাশয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যারা এসব দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ২১ মে ২০২২
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নে ঘরামী বাজারসংলগ্ন খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে নৌকা, ট্রলারসহ অন্যান্য নৌ-যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জই নয় বরং সারাদেশেই এভাবে নদী-খাল দখলের মহোসৎব চলছে। চর পড়ে এবং দখল-দূষণের কারণে দেশের নদী-খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু নদী-খাল। নদীর ধারে গড়ে উঠেছে শিল্প ও কলকারখানা, অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হচ্ছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। সারাদেশ যেন এখন নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে।
এসব নদী, খাল উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন ভূমিকা রাখা দরকার তেমনটা চোখে পড়ে না। বরং মাঝে মাঝে গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা গৎবাঁধা কিছু কথা বলে থাকেন। যেমনটা বলেছেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশের কোন নদী-খালই যেমন রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না, তেমনি দূষণের কবলেও পড়তে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এসব ঘটে থাকে। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে কোনভাবেই দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।
দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। মোরেলগঞ্জের ঘরামী বাজারসংলগ্ন খালকে দখলমুক্ত করতে হবে। দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে পুনর্দখল হয়ে যাবে না; আমরা এমন নিশ্চয়তা চাই। এটা শুধু এই খালের ক্ষেত্রে নয়, দেশের সব নদ-নদী, খাল ও জলাশয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যারা এসব দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।