alt

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক করুন

: মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বেশ কিছু ওষুধের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছে না। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ছে।

হাসপাতাল থেকে নানা কৌশলে ওষুধ আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে হাসপাতালে কর্মরত একশ্রেণীর চিকিৎসক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এর বাইরে হাসপাতাল ঘিরে একশ্রেণীর দালালদের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ রয়েছে। শুধু ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে দেয়া ওষুধ না পেলে সেবাপ্রত্যাশী রোগীদের ভোগান্তি হয়। গরিব ও প্রান্তিক রোগীদের অনেকেরই ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। ওষুধ না পেয়ে হতদরিদ্র রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই হয়তো আর ওষুধ কিনে খাচ্ছেনই না, তাদের রোগও সারছে না।

হাসপাতালগুলোতে সরকারের ওষুধ সরবরাহের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয় কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কোন হাসপাতালে মাসের পর মাস ওষুধের সংকট দেখা দেয়ার কারণ আর কী হতে পারে। সরবরাহকৃত ওষুধ প্রকৃত রোগীরা বিনা মূল্যে পাচ্ছেন কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ-সংশয় রয়েছে।

ওষুধ সরবরাহ থেকে শুরু করে বিতরণের প্রতিটি স্তরেই কমবেশি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিয়েছে-এমনটা সাধারণত দেখা যায় না।

আমরা বলেতে চাই, ঝিনাইদহসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ নিয়ে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক করুন

মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বেশ কিছু ওষুধের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছে না। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ছে।

হাসপাতাল থেকে নানা কৌশলে ওষুধ আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে হাসপাতালে কর্মরত একশ্রেণীর চিকিৎসক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এর বাইরে হাসপাতাল ঘিরে একশ্রেণীর দালালদের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ রয়েছে। শুধু ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে দেয়া ওষুধ না পেলে সেবাপ্রত্যাশী রোগীদের ভোগান্তি হয়। গরিব ও প্রান্তিক রোগীদের অনেকেরই ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। ওষুধ না পেয়ে হতদরিদ্র রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই হয়তো আর ওষুধ কিনে খাচ্ছেনই না, তাদের রোগও সারছে না।

হাসপাতালগুলোতে সরকারের ওষুধ সরবরাহের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয় কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কোন হাসপাতালে মাসের পর মাস ওষুধের সংকট দেখা দেয়ার কারণ আর কী হতে পারে। সরবরাহকৃত ওষুধ প্রকৃত রোগীরা বিনা মূল্যে পাচ্ছেন কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ-সংশয় রয়েছে।

ওষুধ সরবরাহ থেকে শুরু করে বিতরণের প্রতিটি স্তরেই কমবেশি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিয়েছে-এমনটা সাধারণত দেখা যায় না।

আমরা বলেতে চাই, ঝিনাইদহসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ নিয়ে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

back to top