সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উজানে বৃষ্টি কমার কারণে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি সরতে আরো সময় লাগতে পারে।
বন্যা কমছে কিন্তু বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। সিলেটে কয়েক শত মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জান গেছে। চর্মরোগ, সর্দি, কাশিও দেখা দিয়েছে। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, পানিবাহিত রোগ এখনো অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে পৌঁছেনি।
বন্যার পর পানিবাহিত রোগ সাধারণত বাড়ে। মূলত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। বন্যার পানির সঙ্গে নর্দমার পানি মিশে যাওয়ার কারণে দেখা দেয় চর্মরোগ। বন্যাপীড়িত এলাকায় এজন্য পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ফিল্টার, পানির জার দিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পানের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। মানুষ সচেতন হলে পানিবাহিত রোগ মোকাবিলা করা সহজ হবে।
ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা টিমগুলো এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানা গেছে। জরুরি হচ্ছে বন্যাক্রান্ত সব এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা। বিশেষ করে দুর্গম এলাকার প্রান্তিক মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। একজন মানুষও যেন চিকিৎসার বাইরে না থাকে সেটাই আমাদের চাওয়া। ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাথমিক চিকীৎসা রোগীরা ঘরে বসেই করতে পারেন। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রচার চালাতে হবে।
সিলেট নগরীর বাসিন্দাদের বন্যার কারণে এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসা আবর্জনা নগরীকে অপরিচ্ছন্ন করে ফেলেছে। নগর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শাখা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। আমরা আশা করব, কাজটি দ্রুত শেষ হবে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা বন্যার পানি মশার প্রজনন স্থলে পরিণত হয়েছে। মশা নিধন অভিযানের মধ্যদিয়ে নগর কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।
বুধবার, ২৫ মে ২০২২
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উজানে বৃষ্টি কমার কারণে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি সরতে আরো সময় লাগতে পারে।
বন্যা কমছে কিন্তু বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। সিলেটে কয়েক শত মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জান গেছে। চর্মরোগ, সর্দি, কাশিও দেখা দিয়েছে। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, পানিবাহিত রোগ এখনো অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে পৌঁছেনি।
বন্যার পর পানিবাহিত রোগ সাধারণত বাড়ে। মূলত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। বন্যার পানির সঙ্গে নর্দমার পানি মিশে যাওয়ার কারণে দেখা দেয় চর্মরোগ। বন্যাপীড়িত এলাকায় এজন্য পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ফিল্টার, পানির জার দিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পানের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। মানুষ সচেতন হলে পানিবাহিত রোগ মোকাবিলা করা সহজ হবে।
ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা টিমগুলো এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানা গেছে। জরুরি হচ্ছে বন্যাক্রান্ত সব এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা। বিশেষ করে দুর্গম এলাকার প্রান্তিক মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। একজন মানুষও যেন চিকিৎসার বাইরে না থাকে সেটাই আমাদের চাওয়া। ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাথমিক চিকীৎসা রোগীরা ঘরে বসেই করতে পারেন। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রচার চালাতে হবে।
সিলেট নগরীর বাসিন্দাদের বন্যার কারণে এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসা আবর্জনা নগরীকে অপরিচ্ছন্ন করে ফেলেছে। নগর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শাখা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। আমরা আশা করব, কাজটি দ্রুত শেষ হবে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা বন্যার পানি মশার প্রজনন স্থলে পরিণত হয়েছে। মশা নিধন অভিযানের মধ্যদিয়ে নগর কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।