হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পকে ‘জনগণের জাতীয় সম্পত্তি’ ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য বজায় রেখে জলাভূমি রক্ষায় চারটি নির্দেশনা ও নয়টি সুপারিশও দিয়েছেন আদালত। চার বছর আগে করা একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত রায় দেয়া হয়েছিল গত বছরের ৩০ জুন। সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু যে নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্যই হাতিরঝিল গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। রাজধানীর পরিবেশের প্রশ্নেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ঝিলের পানি রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু নানানভাবে এর পানি দূষিত হচ্ছে। সেখানে অনেক রেস্তোরাঁ ও দোকান গড়ে ওঠায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তার ওপর ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হওয়ায় বিপদ আরো বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ঝিলের পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। হাতিরঝিলকে কেন্দ্র করে নানান বাণিজ্যিক কার্যবক্রম চলছে। কিন্তু পরিবেশের ওপর এর প্রভাব কী সেটা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আদালত তার রায়ে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানসহ সব ব্যবসায়িক কাঠামো বরাদ্দ ও নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করব, এই রায়ের পর সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি বন্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ‘হাতিরঝিল লেক সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। পরামার্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখার বিষয়। হাতিরঝিলকে রক্ষা করতে হলে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন, সবার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে বিনা খরচে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, বাইসাইকেল ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য হাঁটার পথ এবং পৃথক লেন নির্মাণসহ প্রভৃতি সুপারিশও করা হয়েছে রায়ে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে হাতিরঝিলের নান্দনিকতা ও পরিবেশ দুই-ই রক্ষা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। জনগণের জাতীয় সম্পত্তি উক্ত লেকটি রক্ষায় সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পকে ‘জনগণের জাতীয় সম্পত্তি’ ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য বজায় রেখে জলাভূমি রক্ষায় চারটি নির্দেশনা ও নয়টি সুপারিশও দিয়েছেন আদালত। চার বছর আগে করা একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত রায় দেয়া হয়েছিল গত বছরের ৩০ জুন। সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু যে নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্যই হাতিরঝিল গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। রাজধানীর পরিবেশের প্রশ্নেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ঝিলের পানি রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু নানানভাবে এর পানি দূষিত হচ্ছে। সেখানে অনেক রেস্তোরাঁ ও দোকান গড়ে ওঠায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তার ওপর ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হওয়ায় বিপদ আরো বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ঝিলের পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। হাতিরঝিলকে কেন্দ্র করে নানান বাণিজ্যিক কার্যবক্রম চলছে। কিন্তু পরিবেশের ওপর এর প্রভাব কী সেটা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আদালত তার রায়ে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানসহ সব ব্যবসায়িক কাঠামো বরাদ্দ ও নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করব, এই রায়ের পর সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি বন্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ‘হাতিরঝিল লেক সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। পরামার্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখার বিষয়। হাতিরঝিলকে রক্ষা করতে হলে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন, সবার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে বিনা খরচে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, বাইসাইকেল ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য হাঁটার পথ এবং পৃথক লেন নির্মাণসহ প্রভৃতি সুপারিশও করা হয়েছে রায়ে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে হাতিরঝিলের নান্দনিকতা ও পরিবেশ দুই-ই রক্ষা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। জনগণের জাতীয় সম্পত্তি উক্ত লেকটি রক্ষায় সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা।