alt

সম্পাদকীয়

হাতিরঝিল রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পকে ‘জনগণের জাতীয় সম্পত্তি’ ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য বজায় রেখে জলাভূমি রক্ষায় চারটি নির্দেশনা ও নয়টি সুপারিশও দিয়েছেন আদালত। চার বছর আগে করা একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত রায় দেয়া হয়েছিল গত বছরের ৩০ জুন। সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু যে নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্যই হাতিরঝিল গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। রাজধানীর পরিবেশের প্রশ্নেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ঝিলের পানি রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু নানানভাবে এর পানি দূষিত হচ্ছে। সেখানে অনেক রেস্তোরাঁ ও দোকান গড়ে ওঠায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তার ওপর ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হওয়ায় বিপদ আরো বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ঝিলের পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। হাতিরঝিলকে কেন্দ্র করে নানান বাণিজ্যিক কার্যবক্রম চলছে। কিন্তু পরিবেশের ওপর এর প্রভাব কী সেটা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আদালত তার রায়ে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানসহ সব ব্যবসায়িক কাঠামো বরাদ্দ ও নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করব, এই রায়ের পর সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি বন্ধ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ‘হাতিরঝিল লেক সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। পরামার্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখার বিষয়। হাতিরঝিলকে রক্ষা করতে হলে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন, সবার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে বিনা খরচে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, বাইসাইকেল ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য হাঁটার পথ এবং পৃথক লেন নির্মাণসহ প্রভৃতি সুপারিশও করা হয়েছে রায়ে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে হাতিরঝিলের নান্দনিকতা ও পরিবেশ দুই-ই রক্ষা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। জনগণের জাতীয় সম্পত্তি উক্ত লেকটি রক্ষায় সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

হাতিরঝিল রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পকে ‘জনগণের জাতীয় সম্পত্তি’ ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য বজায় রেখে জলাভূমি রক্ষায় চারটি নির্দেশনা ও নয়টি সুপারিশও দিয়েছেন আদালত। চার বছর আগে করা একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত রায় দেয়া হয়েছিল গত বছরের ৩০ জুন। সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু যে নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্যই হাতিরঝিল গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। রাজধানীর পরিবেশের প্রশ্নেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ঝিলের পানি রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু নানানভাবে এর পানি দূষিত হচ্ছে। সেখানে অনেক রেস্তোরাঁ ও দোকান গড়ে ওঠায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তার ওপর ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হওয়ায় বিপদ আরো বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ঝিলের পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। হাতিরঝিলকে কেন্দ্র করে নানান বাণিজ্যিক কার্যবক্রম চলছে। কিন্তু পরিবেশের ওপর এর প্রভাব কী সেটা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আদালত তার রায়ে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানসহ সব ব্যবসায়িক কাঠামো বরাদ্দ ও নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করব, এই রায়ের পর সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি বন্ধ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ‘হাতিরঝিল লেক সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। পরামার্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখার বিষয়। হাতিরঝিলকে রক্ষা করতে হলে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন, সবার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে বিনা খরচে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, বাইসাইকেল ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য হাঁটার পথ এবং পৃথক লেন নির্মাণসহ প্রভৃতি সুপারিশও করা হয়েছে রায়ে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে হাতিরঝিলের নান্দনিকতা ও পরিবেশ দুই-ই রক্ষা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। জনগণের জাতীয় সম্পত্তি উক্ত লেকটি রক্ষায় সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা।

back to top