alt

সম্পাদকীয়

পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধ করুন

: শনিবার, ২৮ মে ২০২২

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কে কৃষিপণ্য পরিবহন আটকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় হাট-বাজারের খাজনার রশিদ বই ব্যবহার করে সড়কের মোড়ে মোড়ে চলছে চাঁদাবাজি। ধানবোঝাই প্রতিটি পরিবহন থেকে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খাজনার নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিন্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীমুখী পরিবহনেই শুধু চাঁদাবাজি হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, সারাদেশের পথে পথে সারা বছরই চাঁদাবাজি চলে। পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে। অভিযোগ আছে, পুলিশ ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গুপ্ত ও প্রকাশ্যে এ চাঁদাবাজি চলে।

চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে জিম্মি হয়ে পড়েছে বগুড়ার শেরপুরের সাধারণ কৃষকসহ ব্যবসায়ীরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই তারা বোরো ধান চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এমন অবস্থায় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের খড়গ তাদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও তারা নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেনেও না জানার ভান করছে।

সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন সভায় আলোচনা হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। বিভিন্ন সময়ে তারা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা তথা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে আসছেন। এরপরেও পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি থামছে না। বরং এটা আরও বিস্তৃত রূপ ধারণ করেছে, বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সহসাই এর থেকে মুক্তির কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

চাঁদাবাজির প্রত্যক্ষ শিকার ব্যবসায়ীরা হলেও, চূড়ান্ত মাশুল গুনতে হয় সাধারণ ভোক্তাদেরই। কারণ, চাঁদাবাজির শিকার ব্যবসায়ীরা বাড়তি ব্যয় উঠিয়ে নিতে পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হন। ব্যবসায়ীরাও প্রায়ই বলে আসছেন, পণ্যের দাম বেশি হওয়ার একটা কারণ পণ্য পরিবহনের পথে পথে চাঁদাবাজি। বাজার বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, পণ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি না থাকলে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ার অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি।

দেশের সড়ক-মহাসড়ক থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় দেশজুড়ে যারা চাঁদাবাজি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। বগুড়ার শেরপুরে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

আজ সেই কালরাত্রি : গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

tab

সম্পাদকীয়

পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধ করুন

শনিবার, ২৮ মে ২০২২

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কে কৃষিপণ্য পরিবহন আটকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় হাট-বাজারের খাজনার রশিদ বই ব্যবহার করে সড়কের মোড়ে মোড়ে চলছে চাঁদাবাজি। ধানবোঝাই প্রতিটি পরিবহন থেকে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খাজনার নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিন্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীমুখী পরিবহনেই শুধু চাঁদাবাজি হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, সারাদেশের পথে পথে সারা বছরই চাঁদাবাজি চলে। পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে। অভিযোগ আছে, পুলিশ ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গুপ্ত ও প্রকাশ্যে এ চাঁদাবাজি চলে।

চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে জিম্মি হয়ে পড়েছে বগুড়ার শেরপুরের সাধারণ কৃষকসহ ব্যবসায়ীরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই তারা বোরো ধান চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এমন অবস্থায় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের খড়গ তাদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও তারা নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেনেও না জানার ভান করছে।

সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন সভায় আলোচনা হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। বিভিন্ন সময়ে তারা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা তথা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে আসছেন। এরপরেও পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি থামছে না। বরং এটা আরও বিস্তৃত রূপ ধারণ করেছে, বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সহসাই এর থেকে মুক্তির কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

চাঁদাবাজির প্রত্যক্ষ শিকার ব্যবসায়ীরা হলেও, চূড়ান্ত মাশুল গুনতে হয় সাধারণ ভোক্তাদেরই। কারণ, চাঁদাবাজির শিকার ব্যবসায়ীরা বাড়তি ব্যয় উঠিয়ে নিতে পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হন। ব্যবসায়ীরাও প্রায়ই বলে আসছেন, পণ্যের দাম বেশি হওয়ার একটা কারণ পণ্য পরিবহনের পথে পথে চাঁদাবাজি। বাজার বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, পণ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি না থাকলে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ার অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি।

দেশের সড়ক-মহাসড়ক থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় দেশজুড়ে যারা চাঁদাবাজি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। বগুড়ার শেরপুরে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top