alt

সম্পাদকীয়

টিলা ধসে মৃত্যু প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

গত সোমবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসে ঘর চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পূর্ব সাতজনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামে আরও ২৫টি পরিবার টিলার পাদদেশে বসবাস করছে। এসব পরিবারের শতাধিক মানুষ টিলা ধসের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

টিলাগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যুগ যুগ ধরেই সেখানে বসবাস করে আসছে অনেক পরিবার। সেখানকার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের টিলা ছাড়া আর কোন জায়গাজমি নেই। তাই বাধ্য হয়েই টিলার পাদদেশে বসবাস করতে হচ্ছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন, টিলা এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় না থাকলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।

টিলা ধসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানকার বাসিন্দারা সাময়িকভাবে না হয় নিরাপদ আশ্রয়ে গেল; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তো তাদের আবার সেখানেই ফিরে আসতে হবে। শঙ্কা ও ঝুঁকির মধ্যেই তাদের বসবাস করতে হবে। যদিও উক্ত স্থানে এর আগে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যাচ্ছে। তবে আগামীতে যে টিলা ধসের ঘটনা ঘটবে না তা বলা যায় না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই না টিলা ধসের পুনরাবৃত্তি হোক।

পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন পাহাড় বা টিলা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও তা কাটার সুযোগ নেই। তারপরও থেমে নেই পাহাড় ও টিলা। পূর্ব সাতজনি গ্রামসহ এর আশপাশের গ্রামে বিভিন্ন সময়ে টিলা কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। টিলা কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কী ভূমিকা রাখছে সেটা একটা প্রশ্ন। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের যোগসাজশে এসব পাহাড়-টিলা কাটা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টিলা কাটার যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

টিলা ধসে মৃত্যু প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

গত সোমবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসে ঘর চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পূর্ব সাতজনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামে আরও ২৫টি পরিবার টিলার পাদদেশে বসবাস করছে। এসব পরিবারের শতাধিক মানুষ টিলা ধসের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

টিলাগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যুগ যুগ ধরেই সেখানে বসবাস করে আসছে অনেক পরিবার। সেখানকার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের টিলা ছাড়া আর কোন জায়গাজমি নেই। তাই বাধ্য হয়েই টিলার পাদদেশে বসবাস করতে হচ্ছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন, টিলা এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় না থাকলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।

টিলা ধসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানকার বাসিন্দারা সাময়িকভাবে না হয় নিরাপদ আশ্রয়ে গেল; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তো তাদের আবার সেখানেই ফিরে আসতে হবে। শঙ্কা ও ঝুঁকির মধ্যেই তাদের বসবাস করতে হবে। যদিও উক্ত স্থানে এর আগে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যাচ্ছে। তবে আগামীতে যে টিলা ধসের ঘটনা ঘটবে না তা বলা যায় না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই না টিলা ধসের পুনরাবৃত্তি হোক।

পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন পাহাড় বা টিলা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও তা কাটার সুযোগ নেই। তারপরও থেমে নেই পাহাড় ও টিলা। পূর্ব সাতজনি গ্রামসহ এর আশপাশের গ্রামে বিভিন্ন সময়ে টিলা কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। টিলা কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কী ভূমিকা রাখছে সেটা একটা প্রশ্ন। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের যোগসাজশে এসব পাহাড়-টিলা কাটা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টিলা কাটার যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top