গত সোমবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসে ঘর চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পূর্ব সাতজনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামে আরও ২৫টি পরিবার টিলার পাদদেশে বসবাস করছে। এসব পরিবারের শতাধিক মানুষ টিলা ধসের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
টিলাগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যুগ যুগ ধরেই সেখানে বসবাস করে আসছে অনেক পরিবার। সেখানকার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের টিলা ছাড়া আর কোন জায়গাজমি নেই। তাই বাধ্য হয়েই টিলার পাদদেশে বসবাস করতে হচ্ছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন, টিলা এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় না থাকলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।
টিলা ধসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানকার বাসিন্দারা সাময়িকভাবে না হয় নিরাপদ আশ্রয়ে গেল; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তো তাদের আবার সেখানেই ফিরে আসতে হবে। শঙ্কা ও ঝুঁকির মধ্যেই তাদের বসবাস করতে হবে। যদিও উক্ত স্থানে এর আগে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যাচ্ছে। তবে আগামীতে যে টিলা ধসের ঘটনা ঘটবে না তা বলা যায় না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই না টিলা ধসের পুনরাবৃত্তি হোক।
পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন পাহাড় বা টিলা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও তা কাটার সুযোগ নেই। তারপরও থেমে নেই পাহাড় ও টিলা। পূর্ব সাতজনি গ্রামসহ এর আশপাশের গ্রামে বিভিন্ন সময়ে টিলা কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। টিলা কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কী ভূমিকা রাখছে সেটা একটা প্রশ্ন। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের যোগসাজশে এসব পাহাড়-টিলা কাটা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টিলা কাটার যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
গত সোমবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসে ঘর চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পূর্ব সাতজনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামে আরও ২৫টি পরিবার টিলার পাদদেশে বসবাস করছে। এসব পরিবারের শতাধিক মানুষ টিলা ধসের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
টিলাগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যুগ যুগ ধরেই সেখানে বসবাস করে আসছে অনেক পরিবার। সেখানকার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের টিলা ছাড়া আর কোন জায়গাজমি নেই। তাই বাধ্য হয়েই টিলার পাদদেশে বসবাস করতে হচ্ছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন, টিলা এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় না থাকলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।
টিলা ধসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানকার বাসিন্দারা সাময়িকভাবে না হয় নিরাপদ আশ্রয়ে গেল; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তো তাদের আবার সেখানেই ফিরে আসতে হবে। শঙ্কা ও ঝুঁকির মধ্যেই তাদের বসবাস করতে হবে। যদিও উক্ত স্থানে এর আগে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যাচ্ছে। তবে আগামীতে যে টিলা ধসের ঘটনা ঘটবে না তা বলা যায় না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই না টিলা ধসের পুনরাবৃত্তি হোক।
পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন পাহাড় বা টিলা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও তা কাটার সুযোগ নেই। তারপরও থেমে নেই পাহাড় ও টিলা। পূর্ব সাতজনি গ্রামসহ এর আশপাশের গ্রামে বিভিন্ন সময়ে টিলা কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। টিলা কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কী ভূমিকা রাখছে সেটা একটা প্রশ্ন। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের যোগসাজশে এসব পাহাড়-টিলা কাটা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টিলা কাটার যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।