alt

সম্পাদকীয়

শিল্পবর্জ্যে বিপন্ন পরিবেশ

: রোববার, ১২ জুন ২০২২

মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরীর বর্জ্য ও রাসায়নিকমিশ্রিত পানি সরাসরি খাঞ্জার হাওরের কৃষিজমিতে গিয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে বছরের পর বছর ধরে শতাধিক বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে, কোন ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। স্থানীয় পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। নষ্ট হচ্ছে হাওর এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি। দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরাসরি ফসলি জমিতে শিল্প বর্জ্য ফেলার কোন সুযোগ থাকার কথা নয়। পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) থাকা বাধ্যতামূলক। ইটিপি না থাকলে উৎপাদনকাজ চালানোর অনুমতি বা ছাড়পত্র দেয়া হয় না। মৌলভীবাজারের বিসিক শিল্পনগরীর শিল্প কারখানাগুলো কি ইটিপি ছাড়াই ছাড়পত্র পেয়েছে-সেটা একটা প্রশ্ন। আর যদি ছাড়পত্র না-ই থাকে তাহলে বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এগুলো চলছে কীভাবে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরী ১৯৮৭ সালে গড়ে তোলা হয়। সেখানে ৩৭টি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালাচ্ছে। এত বছরেও কেন বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হলো না-সেটা একটা প্রশ্ন।

শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে স্থানীয় কৃষক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য (ইটিপি) পানি শোধন যন্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। আর এটি বাস্তবায়িত হলে দূষণ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

শিল্পনগরী গড়ে ওঠার তিন যুগ পরে এসে জানা গেল ইটিপি স্থাপনের জন্য ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে’। আমাদের প্রশ্ন, এত বছর কি তারা কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে ছিলেন। মাঝখানে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এর দায় কে নেবে?

বিসিক শিল্পনগরীর বর্জ্যে শুধু যে হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ফসলহানি হচ্ছে তা নয়; এসব বর্জ্যরে শেষ ঠিকানা হচ্ছে আশ-পাশের নদ-নদীগুলো। এসব নদ-নদীর পানি যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্যও। এর দায় যেমন বিসিক কর্তৃপক্ষসহ পরিবেশ অধিদপ্তর এড়াতে পারে না, তেমনি নদ-নদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এড়াতে পারে না। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের প্রাণ-প্রকৃতিকে, চূড়ান্তভাবে এর ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে মানুষকে। আমরা এই দুর্ভোগের অবসান চাই।

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

tab

সম্পাদকীয়

শিল্পবর্জ্যে বিপন্ন পরিবেশ

রোববার, ১২ জুন ২০২২

মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরীর বর্জ্য ও রাসায়নিকমিশ্রিত পানি সরাসরি খাঞ্জার হাওরের কৃষিজমিতে গিয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে বছরের পর বছর ধরে শতাধিক বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে, কোন ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। স্থানীয় পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। নষ্ট হচ্ছে হাওর এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি। দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরাসরি ফসলি জমিতে শিল্প বর্জ্য ফেলার কোন সুযোগ থাকার কথা নয়। পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) থাকা বাধ্যতামূলক। ইটিপি না থাকলে উৎপাদনকাজ চালানোর অনুমতি বা ছাড়পত্র দেয়া হয় না। মৌলভীবাজারের বিসিক শিল্পনগরীর শিল্প কারখানাগুলো কি ইটিপি ছাড়াই ছাড়পত্র পেয়েছে-সেটা একটা প্রশ্ন। আর যদি ছাড়পত্র না-ই থাকে তাহলে বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এগুলো চলছে কীভাবে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরী ১৯৮৭ সালে গড়ে তোলা হয়। সেখানে ৩৭টি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালাচ্ছে। এত বছরেও কেন বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হলো না-সেটা একটা প্রশ্ন।

শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে স্থানীয় কৃষক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য (ইটিপি) পানি শোধন যন্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। আর এটি বাস্তবায়িত হলে দূষণ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

শিল্পনগরী গড়ে ওঠার তিন যুগ পরে এসে জানা গেল ইটিপি স্থাপনের জন্য ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে’। আমাদের প্রশ্ন, এত বছর কি তারা কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে ছিলেন। মাঝখানে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এর দায় কে নেবে?

বিসিক শিল্পনগরীর বর্জ্যে শুধু যে হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ফসলহানি হচ্ছে তা নয়; এসব বর্জ্যরে শেষ ঠিকানা হচ্ছে আশ-পাশের নদ-নদীগুলো। এসব নদ-নদীর পানি যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্যও। এর দায় যেমন বিসিক কর্তৃপক্ষসহ পরিবেশ অধিদপ্তর এড়াতে পারে না, তেমনি নদ-নদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এড়াতে পারে না। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের প্রাণ-প্রকৃতিকে, চূড়ান্তভাবে এর ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে মানুষকে। আমরা এই দুর্ভোগের অবসান চাই।

back to top