দেশে গত কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত ৯ জুন ৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন; যা গত দুই মাসে সর্বোচ্চ। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮৬ জন। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই প্রতিরোধে এখন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এ সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারাবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সে বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।
এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। পানির মিটার, পানি জমে থাকা মেঝে ও প্লাস্টিকের পাত্রে এডিস মশা জন্মাতে পারে। আবার বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই মশা জন্মাতে পারে। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।
রাজধানীতে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কিছু জায়গায় এডিস মশার বংশবিস্তারের শঙ্কা রয়েছে। এর বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সংক্রমণ বাড়ার আগেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
পূর্বে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এজন্য সারাদেশেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই ভালো।
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
দেশে গত কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত ৯ জুন ৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন; যা গত দুই মাসে সর্বোচ্চ। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮৬ জন। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই প্রতিরোধে এখন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এ সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারাবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সে বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।
এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। পানির মিটার, পানি জমে থাকা মেঝে ও প্লাস্টিকের পাত্রে এডিস মশা জন্মাতে পারে। আবার বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই মশা জন্মাতে পারে। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।
রাজধানীতে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কিছু জায়গায় এডিস মশার বংশবিস্তারের শঙ্কা রয়েছে। এর বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সংক্রমণ বাড়ার আগেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
পূর্বে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এজন্য সারাদেশেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই ভালো।