alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হোন

: মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

দেশে গত কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত ৯ জুন ৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন; যা গত দুই মাসে সর্বোচ্চ। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮৬ জন। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই প্রতিরোধে এখন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এ সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারাবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সে বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।

এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। পানির মিটার, পানি জমে থাকা মেঝে ও প্লাস্টিকের পাত্রে এডিস মশা জন্মাতে পারে। আবার বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই মশা জন্মাতে পারে। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

রাজধানীতে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কিছু জায়গায় এডিস মশার বংশবিস্তারের শঙ্কা রয়েছে। এর বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সংক্রমণ বাড়ার আগেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

পূর্বে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এজন্য সারাদেশেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই ভালো।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হোন

মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

দেশে গত কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত ৯ জুন ৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন; যা গত দুই মাসে সর্বোচ্চ। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮৬ জন। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই প্রতিরোধে এখন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এ সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারাবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সে বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।

এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। পানির মিটার, পানি জমে থাকা মেঝে ও প্লাস্টিকের পাত্রে এডিস মশা জন্মাতে পারে। আবার বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই মশা জন্মাতে পারে। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

রাজধানীতে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কিছু জায়গায় এডিস মশার বংশবিস্তারের শঙ্কা রয়েছে। এর বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সংক্রমণ বাড়ার আগেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

পূর্বে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এজন্য সারাদেশেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই ভালো।

back to top