রেলের দুর্দশা কাটছে না কিছুতেই। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালা হচ্ছে, কিন্তু সুফল মিলছে না। বাড়ছে না যাত্রীসেবার মানও। রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তাদের আলোচনায় এমন ধারণা পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রেলওয়ে : চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকারসমূহ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে চাহিদার তুলনায় কোচ ও লোকোমোটিভের স্বল্পতা, পুরোনো সিগন্যালিং সিস্টেম, আধুনিক টিকিটিং সিস্টেম না থাকা, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ১৮ ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়।
রেল বেশ পুরাতন যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুধু পুরোনো নয়, নির্ভরযোগ্যও বটে। পৃথিবীর জনবহুল দেশগুলোতে রেলপথের ভূমিকা অনেক। কারণ একটি ট্রেনে একসঙ্গে অনেক যাত্রী চলাচল করতে পারে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে কম খরচে পরিবহন করতে পারে পণ্য।
যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে দেড়শ’ বছরেরও বেশি পুরাতন হলেও রেলওয়ে সেবার মান ক্ষয়িষ্ণু ছিল। সরকার সেটা উন্নত করার চেষ্টা করছে। এজন্য আলাদাভাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও করা হয়েছে, হাতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। কিন্তু এরপরেও সুফল মিলছে না, বাড়ছে না যাত্রীসেবার মান। সময়ানুবর্তিতার অভাব, টিকিট কেনায় দুর্ভোগ, ছারপোকাময় আসনই রেলওয়ের বৈশিষ্ট্য বলে অভিযোগ যাত্রীসাধারণের।
সরকারের এত এত প্রকল্প নেয়ার পরেও রেল খাতে কেন সুফল মিলছে না-সেটা একটা প্রশ্ন। সেমিনারে বক্তারা বলেন, রেলের উন্নয়ন-পরিকল্পনায় ঘাটতি রয়েছে। পরিকল্পনা যথাযথ হয় না বলেই সুফল পাওয়া যায় না। প্রতি বাজেটেই রেলের উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ছে, বড় বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। কিন্তু তা যথাসময়ে শেষ হচ্ছে না। নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ নেই রেলে। ইঞ্জিন, বগিস্বল্পতা, জরাজীর্ণ রেলপথসহ নানা সমস্যায় রয়েছে রেলওয়ে। রেললাইন, ইঞ্জিন, বগি মেরামতের চেয়ে নতুন কেনায় আগ্রহ বেশি রেলের।
এর বাইরে রেল বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক। রেলের জমি নিয়ে চলছে দখল-বাণিজ্য, ইজারা জালিয়াতি, লাইসেন্স ফি না দেয়া, জমি ফেলে রাখা। যাত্রীসাধারণ টিকিট কিনতে গিয়ে পায় না, কিন্তু ফাঁকা আসন নিয়ে ট্রেন চলাচল করে। সব কিছুর আগে দুর্নীতি বন্ধ করা দরকার। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিপুল জনসংখ্যার এ বাংলাদেশে গণপরিবহন খাতে সমস্যার শেষ নেই। সড়ক যোগাযোগের ওপর অত্যধিক চাপের ফলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের গতি অনেক কমে এসেছে। এই চাপ অনেকটাই কমে যেত, যদি আমাদের রেলওয়ে ব্যবস্থা আরেকটু উন্নত হতো। আমরা চাই রেলওয়ে ব্যবস্থা উন্নত হোক। সেটা হলে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনেও সুফল মিলবে। রেলের ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হলে সংশ্লিষ্টদের জাববদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
রেলের দুর্দশা কাটছে না কিছুতেই। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালা হচ্ছে, কিন্তু সুফল মিলছে না। বাড়ছে না যাত্রীসেবার মানও। রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তাদের আলোচনায় এমন ধারণা পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ রেলওয়ে : চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকারসমূহ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে চাহিদার তুলনায় কোচ ও লোকোমোটিভের স্বল্পতা, পুরোনো সিগন্যালিং সিস্টেম, আধুনিক টিকিটিং সিস্টেম না থাকা, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ১৮ ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়।
রেল বেশ পুরাতন যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুধু পুরোনো নয়, নির্ভরযোগ্যও বটে। পৃথিবীর জনবহুল দেশগুলোতে রেলপথের ভূমিকা অনেক। কারণ একটি ট্রেনে একসঙ্গে অনেক যাত্রী চলাচল করতে পারে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে কম খরচে পরিবহন করতে পারে পণ্য।
যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে দেড়শ’ বছরেরও বেশি পুরাতন হলেও রেলওয়ে সেবার মান ক্ষয়িষ্ণু ছিল। সরকার সেটা উন্নত করার চেষ্টা করছে। এজন্য আলাদাভাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও করা হয়েছে, হাতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। কিন্তু এরপরেও সুফল মিলছে না, বাড়ছে না যাত্রীসেবার মান। সময়ানুবর্তিতার অভাব, টিকিট কেনায় দুর্ভোগ, ছারপোকাময় আসনই রেলওয়ের বৈশিষ্ট্য বলে অভিযোগ যাত্রীসাধারণের।
সরকারের এত এত প্রকল্প নেয়ার পরেও রেল খাতে কেন সুফল মিলছে না-সেটা একটা প্রশ্ন। সেমিনারে বক্তারা বলেন, রেলের উন্নয়ন-পরিকল্পনায় ঘাটতি রয়েছে। পরিকল্পনা যথাযথ হয় না বলেই সুফল পাওয়া যায় না। প্রতি বাজেটেই রেলের উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ছে, বড় বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। কিন্তু তা যথাসময়ে শেষ হচ্ছে না। নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ নেই রেলে। ইঞ্জিন, বগিস্বল্পতা, জরাজীর্ণ রেলপথসহ নানা সমস্যায় রয়েছে রেলওয়ে। রেললাইন, ইঞ্জিন, বগি মেরামতের চেয়ে নতুন কেনায় আগ্রহ বেশি রেলের।
এর বাইরে রেল বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক। রেলের জমি নিয়ে চলছে দখল-বাণিজ্য, ইজারা জালিয়াতি, লাইসেন্স ফি না দেয়া, জমি ফেলে রাখা। যাত্রীসাধারণ টিকিট কিনতে গিয়ে পায় না, কিন্তু ফাঁকা আসন নিয়ে ট্রেন চলাচল করে। সব কিছুর আগে দুর্নীতি বন্ধ করা দরকার। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিপুল জনসংখ্যার এ বাংলাদেশে গণপরিবহন খাতে সমস্যার শেষ নেই। সড়ক যোগাযোগের ওপর অত্যধিক চাপের ফলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের গতি অনেক কমে এসেছে। এই চাপ অনেকটাই কমে যেত, যদি আমাদের রেলওয়ে ব্যবস্থা আরেকটু উন্নত হতো। আমরা চাই রেলওয়ে ব্যবস্থা উন্নত হোক। সেটা হলে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনেও সুফল মিলবে। রেলের ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হলে সংশ্লিষ্টদের জাববদিহি নিশ্চিত করতে হবে।