সড়কের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের। কিন্তু এর মধ্যেই দেবে গেল সড়কের একাংশ। এমনটা ঘটেছে নওগাঁ-রানীনগর-আত্রাই-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে। সড়কটি নওগাঁর ঢাকা রোড থেকে শুরু করে রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার রেল লাইনের পাশ দিয়ে নাটোর শহরের বাইপাস সড়কে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা রেলস্টেশনের উত্তর দিকে মহাসড়কটির প্রায় ১৫০-২০০ ফুট দেবে গেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মানসম্মতভাবে কাজ না করার কারণেই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে। পুরো সড়কটিই অনেক গভীর খালের পাশ দিয়ে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের নিচে মাটি ধরে রাখার মতো কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এখন কিছু অংশ দেবে গেলেও ভবিষ্যতে পুরো সড়কটিই ভেঙে খালের মধ্যে চলে যাওয়া আশঙ্কা করেছেন তারা।
অন্যদিকে কি কারণে সড়কের ওই অংশটুকু দেবে গেল তা বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। দেবে যাওয়া সড়কের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অতীতে দেশে সড়ক-সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও মিলেছে। এখনো সরকারের নানা অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। অবকাঠামো নির্মাণে উপকরণ পরিমাণমতো দেওয়া হয় না। মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে যথাযথ পাইলিং করা হয় না।
ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণের কারণে জনগণ সড়কের সুফল ভোগ করতে পারে না। আর রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় তো রয়েছেই। কিন্তু এজন্য কে বা কারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করার কোন চেষ্টা করা হয় না, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায় না। যাদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বা এগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব; অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা জেগে ঘুমাচ্ছে। সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছে। অনিয়ন ও দুর্নীতি যখন দৃশ্যমান হয় তখনও এর কারণ বুঝতে পারছে না।
নওগাঁর মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ঠিকাদেরর কোন গাফিলতি আছে কি না-তা খতিয়ে দেখতে হবে। মানসম্মতভাবে নির্মাণ না করা, নিম্নমানের উপকরণ বা পরিমাণের চেয়ে কম উপকরণ দিয়ে নির্মাণের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপশি এসবের দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের তাদেরকেও জাবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
সড়কের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের। কিন্তু এর মধ্যেই দেবে গেল সড়কের একাংশ। এমনটা ঘটেছে নওগাঁ-রানীনগর-আত্রাই-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে। সড়কটি নওগাঁর ঢাকা রোড থেকে শুরু করে রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার রেল লাইনের পাশ দিয়ে নাটোর শহরের বাইপাস সড়কে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা রেলস্টেশনের উত্তর দিকে মহাসড়কটির প্রায় ১৫০-২০০ ফুট দেবে গেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মানসম্মতভাবে কাজ না করার কারণেই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে। পুরো সড়কটিই অনেক গভীর খালের পাশ দিয়ে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের নিচে মাটি ধরে রাখার মতো কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এখন কিছু অংশ দেবে গেলেও ভবিষ্যতে পুরো সড়কটিই ভেঙে খালের মধ্যে চলে যাওয়া আশঙ্কা করেছেন তারা।
অন্যদিকে কি কারণে সড়কের ওই অংশটুকু দেবে গেল তা বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। দেবে যাওয়া সড়কের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অতীতে দেশে সড়ক-সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও মিলেছে। এখনো সরকারের নানা অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। অবকাঠামো নির্মাণে উপকরণ পরিমাণমতো দেওয়া হয় না। মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে যথাযথ পাইলিং করা হয় না।
ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণের কারণে জনগণ সড়কের সুফল ভোগ করতে পারে না। আর রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় তো রয়েছেই। কিন্তু এজন্য কে বা কারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করার কোন চেষ্টা করা হয় না, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায় না। যাদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বা এগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব; অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা জেগে ঘুমাচ্ছে। সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছে। অনিয়ন ও দুর্নীতি যখন দৃশ্যমান হয় তখনও এর কারণ বুঝতে পারছে না।
নওগাঁর মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ঠিকাদেরর কোন গাফিলতি আছে কি না-তা খতিয়ে দেখতে হবে। মানসম্মতভাবে নির্মাণ না করা, নিম্নমানের উপকরণ বা পরিমাণের চেয়ে কম উপকরণ দিয়ে নির্মাণের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপশি এসবের দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের তাদেরকেও জাবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।