ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কারণ দেশে এর উৎপাদন এ বছর বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার ২ লাখ ৭৯ হাজার টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়।
দেশে এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের সংকট হয়নি। বাজারে এর দেখা মিলছে কিন্তু তার জন্য ভোক্তাকে বাড়তি দাম পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর দর গত এক মাস ধরে বেড়েই চলেছে। ভোক্তা অধিদপ্তর বাজার তদারকি করে দেখেছে যে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে পণ্যটির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা । যেই পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, তার দাম এখন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। দর বেড়েছে ২৫ শতাংশেরও বেশি।
বন্যার ঢের আগেই কৃষক পেঁয়াজ ঘরে তুলেছে। এবার এর উৎপাদন খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা। পণ্যটির মূল মোকামগুলো ফরিদপুর ও পাবনায়। বন্যার কারণে এর সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানা যায় না। তারপরও এর দাম কেন বেড়েই যাচ্ছে সেটা ভাববার বিষয়। ধারণা করা হচ্ছে, আমদানি বন্ধ থাকার সুযোগে এবং আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এর দাম বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর দাম আরও বাড়বে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলে মানতে পারছে না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা বলছে, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে, মজুদও রয়েছে যথেষ্ট। এই অবস্থায় দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে- ব্যবসায়ীদের কারসাজি। আর এটা রুখতে তারা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে ।
কৃষকদের লাভের কথা বিবেচনা করে আমদানি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু আমদানি বন্ধের সুযোগ নেয় একশ্রেণীর ব্যবসায়ী। বাড়তি মুনাফার জন্য মজুদদাররা পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে বিপাকে পড়ে ভোক্তা সাধারণ।
কৃষকদের স্বার্থ অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। আবার ভোক্তাদের কথাও বিবেচনা করা দরকার। ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ এবং আমদানি ব্যবস্থায় একটি ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। তবে সেটা দিয়ে দেশের সব মানুষের সারা বছরের চাহিদা মিটবে কি না সেই হিসাবও করা দরকার। হিসাব কষে প্রয়োজন বুঝে পণ্য আমদানি করলে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করা যেতে পারে বলে আশা করা যায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যে অনুরোধ জানিয়েছে তা সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কারণ দেশে এর উৎপাদন এ বছর বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার ২ লাখ ৭৯ হাজার টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়।
দেশে এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের সংকট হয়নি। বাজারে এর দেখা মিলছে কিন্তু তার জন্য ভোক্তাকে বাড়তি দাম পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর দর গত এক মাস ধরে বেড়েই চলেছে। ভোক্তা অধিদপ্তর বাজার তদারকি করে দেখেছে যে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে পণ্যটির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা । যেই পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, তার দাম এখন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। দর বেড়েছে ২৫ শতাংশেরও বেশি।
বন্যার ঢের আগেই কৃষক পেঁয়াজ ঘরে তুলেছে। এবার এর উৎপাদন খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা। পণ্যটির মূল মোকামগুলো ফরিদপুর ও পাবনায়। বন্যার কারণে এর সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানা যায় না। তারপরও এর দাম কেন বেড়েই যাচ্ছে সেটা ভাববার বিষয়। ধারণা করা হচ্ছে, আমদানি বন্ধ থাকার সুযোগে এবং আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এর দাম বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর দাম আরও বাড়বে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলে মানতে পারছে না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা বলছে, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে, মজুদও রয়েছে যথেষ্ট। এই অবস্থায় দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে- ব্যবসায়ীদের কারসাজি। আর এটা রুখতে তারা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে ।
কৃষকদের লাভের কথা বিবেচনা করে আমদানি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু আমদানি বন্ধের সুযোগ নেয় একশ্রেণীর ব্যবসায়ী। বাড়তি মুনাফার জন্য মজুদদাররা পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে বিপাকে পড়ে ভোক্তা সাধারণ।
কৃষকদের স্বার্থ অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। আবার ভোক্তাদের কথাও বিবেচনা করা দরকার। ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ এবং আমদানি ব্যবস্থায় একটি ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। তবে সেটা দিয়ে দেশের সব মানুষের সারা বছরের চাহিদা মিটবে কি না সেই হিসাবও করা দরকার। হিসাব কষে প্রয়োজন বুঝে পণ্য আমদানি করলে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করা যেতে পারে বলে আশা করা যায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যে অনুরোধ জানিয়েছে তা সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।