দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে পানিতে ডুবে মৃত্যু। শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণটি হচ্ছে নিউমোনিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হয় নদী, পুকুর, জলাশয়, নালা বা খালে পড়ে। সাধারণত শহরের তুলনায় গ্রামেই পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে। কারণ গ্রামগুলোতে অধিকাংশ বাড়ির ১০-২০ মিটার দূরত্বে পুকুর বা জলাশয় থাকে। জলাশয়সংলগ্ন পরিবারের শিশুরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। প্রতিবছরই এখানে বন্যা হয়। দেখা গেছে, বন্যার সময় পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ে।
সাঁতার না জানার কারণে মানুষ পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সাধারণত সাঁতার জানে না। পানিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে তাদের ধারণা না থাকাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুরাই থাকে সবচেয়ে ঝুঁকিতে। সমস্যা হচ্ছে, অনেক পরিবারের অভিভাবকরা এ বিষয়ে সচেতন নন। শিশুর নিরাপত্তায় উদাসীনতার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। খেলতে গিয়ে বা কৌতূলবশত অনেক শিশু জলাশয়ে নেমে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়।
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর খবর উদ্বেগজনক। তবে এ মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা এবং কিছু নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেয়া হলে এ ধরনের মৃত্যু কমানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাদের মতে, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমানো সম্ভব। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের যেন সঠিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয় সেজন্য অভিভাবকদের সচেতন করে তুলতে হবে। এজন্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা যেতে পারে।
সাঁতার শেখানো গেলে ৯৬ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়ার্ডভিত্তিক সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। দেশের যেসব এলাকায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার বেশি সেসব এলাকায় এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু কৌশল ও পদক্ষেপ সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ আমলে নেয়া জরুরি।
বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে পানিতে ডুবে মৃত্যু। শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণটি হচ্ছে নিউমোনিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হয় নদী, পুকুর, জলাশয়, নালা বা খালে পড়ে। সাধারণত শহরের তুলনায় গ্রামেই পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে। কারণ গ্রামগুলোতে অধিকাংশ বাড়ির ১০-২০ মিটার দূরত্বে পুকুর বা জলাশয় থাকে। জলাশয়সংলগ্ন পরিবারের শিশুরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। প্রতিবছরই এখানে বন্যা হয়। দেখা গেছে, বন্যার সময় পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ে।
সাঁতার না জানার কারণে মানুষ পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সাধারণত সাঁতার জানে না। পানিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে তাদের ধারণা না থাকাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুরাই থাকে সবচেয়ে ঝুঁকিতে। সমস্যা হচ্ছে, অনেক পরিবারের অভিভাবকরা এ বিষয়ে সচেতন নন। শিশুর নিরাপত্তায় উদাসীনতার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। খেলতে গিয়ে বা কৌতূলবশত অনেক শিশু জলাশয়ে নেমে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়।
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর খবর উদ্বেগজনক। তবে এ মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা এবং কিছু নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেয়া হলে এ ধরনের মৃত্যু কমানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাদের মতে, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমানো সম্ভব। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের যেন সঠিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয় সেজন্য অভিভাবকদের সচেতন করে তুলতে হবে। এজন্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা যেতে পারে।
সাঁতার শেখানো গেলে ৯৬ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়ার্ডভিত্তিক সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। দেশের যেসব এলাকায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার বেশি সেসব এলাকায় এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু কৌশল ও পদক্ষেপ সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ আমলে নেয়া জরুরি।