ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে সাত মাস বয়সী একটি শিশু মারা গেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেছেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ওপর হামলা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। এতে শিশুটি মারা যায়। পুলিশের গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।
দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সহিংসতা হয়। তাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এবার সহিংসতার বলি হতে হলো একটি শিশুকে। সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আমরা মর্মাহত। নিহত শিশুর স্বজনদের আমরা সমবেদনা জানাই।
প্রশ্ন হচ্ছে রানীশংকৈলে সহিংসতা কতটা বড় আকার ধারণ করেছিল যে পুলিশকে গুলি ছুড়তে হলো। জেলা পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে বলেছেন, পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলকারীরা ইটপাটকেল ছুড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইটপাটকেলের হামলা প্রতিরোধ করার জন্য গুলি ছোড়ার প্রয়োজন পড়ে কিনা। আইন অনুযায়ী, গুলি ছোড়ার আগে বেশ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। কোথায় কখন কীভাবে পুলিশ গুলি ছুড়তে পারবে, সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা আছে। পুলিশ তা মেনে চলেছে কি না, সেটা জানা জরুরি।
গুলিতে নিহত শিশুটির মা গণমাধ্যমকে বলেছেন, মেয়েকে কোলে নিয়ে তিনি বাড়ির পাশের গলিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় পুলিশের গুলি শিশুটির মাথায় লাগে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে সৃষ্ট একটি সহিংসতার ঘটনা এতদূর বিস্তৃত হলো কীভাবে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাঁরা ছিলেন, তারা কি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন? পুলিশ বলছে, জনগণের জানমাল রক্ষায় গুলি ছোড়া হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের গুলিতে একটি শিশু মারা গেছে, আরও অনেকে আহত হয়েছে।
নির্বাচনী সহিংসতা ও পুলিশের গুলি ছোড়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করি, তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেবে। তদন্তে কারও কোন গাফিলিতি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে সাত মাস বয়সী একটি শিশু মারা গেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেছেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ওপর হামলা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। এতে শিশুটি মারা যায়। পুলিশের গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।
দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সহিংসতা হয়। তাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এবার সহিংসতার বলি হতে হলো একটি শিশুকে। সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আমরা মর্মাহত। নিহত শিশুর স্বজনদের আমরা সমবেদনা জানাই।
প্রশ্ন হচ্ছে রানীশংকৈলে সহিংসতা কতটা বড় আকার ধারণ করেছিল যে পুলিশকে গুলি ছুড়তে হলো। জেলা পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে বলেছেন, পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলকারীরা ইটপাটকেল ছুড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইটপাটকেলের হামলা প্রতিরোধ করার জন্য গুলি ছোড়ার প্রয়োজন পড়ে কিনা। আইন অনুযায়ী, গুলি ছোড়ার আগে বেশ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। কোথায় কখন কীভাবে পুলিশ গুলি ছুড়তে পারবে, সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা আছে। পুলিশ তা মেনে চলেছে কি না, সেটা জানা জরুরি।
গুলিতে নিহত শিশুটির মা গণমাধ্যমকে বলেছেন, মেয়েকে কোলে নিয়ে তিনি বাড়ির পাশের গলিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় পুলিশের গুলি শিশুটির মাথায় লাগে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে সৃষ্ট একটি সহিংসতার ঘটনা এতদূর বিস্তৃত হলো কীভাবে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাঁরা ছিলেন, তারা কি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন? পুলিশ বলছে, জনগণের জানমাল রক্ষায় গুলি ছোড়া হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের গুলিতে একটি শিশু মারা গেছে, আরও অনেকে আহত হয়েছে।
নির্বাচনী সহিংসতা ও পুলিশের গুলি ছোড়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করি, তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেবে। তদন্তে কারও কোন গাফিলিতি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।