পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সেতু-কালভার্টের নিচে একসময় খাল থাকলেও এখন সেগুলো অদৃশ্য হয়ে গেছে। সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে পানি প্রবাহিত হতে পারছে না। এতে একদিকে যেমন সেতুগুলোর কার্যকারিতা হারিয়েছে, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাবনা-বাঘাবাড়ি সড়কের চাটমোহর অংশে বিভিন্ন এলাকায় কালভার্ট-সেতুর দুই পাশের জমির মালিকরা খাল ভরাট করে ফেলেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার পাশপাশি শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় কৃষকের সেচের পানির সংকট।
সারা দেশেই নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয় ভরাট-দখল-দূষণের মহোসৎব চলছে। যার যেমন খুশি সে তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে। সারা দেশ যেন এখন ‘জলাশয় বৈরী’ দেশে পরিণত হয়েছে। কোন খাল রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে সেটা ঘটে, যেমনটা ঘটেছে চাটমোহরে। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল বা ভরাট হতে পারে না। দেশে নদী-নালা-খাল-বিল-জলাশয়ের প্রতি সংশ্লিষ্টদের কোন দায়িত্ব বা কর্তব্য আছে বলে মনে হয় না। তেমনি এর প্রতি একশ্রেণীর মানুষের মমত্ববোধ আছে কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন। কারণ এগুলো তাদের মাধ্যমেই দখল বা ভরাট হচ্ছে। দখল-দূষণ নিয়ে এত লেখালেখির পরেও তাদের বোধদয় হচ্ছে না।
পলি পড়ে এবং দখল-দূষণের কারণে দেশের নদী-খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু নদী-খাল। নদীর ধারে গড়ে উঠেছে শিল্প ও কলকারখানা, অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হচ্ছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। ফলে থেমে যাচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি। এসব নদী-খালের খনন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।
দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত করে খননেন ব্যবস্থা করতে হবে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। খননের পর পুনরায় ভরাট বা পুনর্দখল হয়ে যাবে না-আমরা এমনটাই দেখতে। এটা শুধু চাটমোহরের খালের ক্ষেত্রে নয়, দেশের সব নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এসব দখল বা ভরাটের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নদী-খাল প্রাণ-প্রকৃতির অংশ, এগুলো অস্তিত্ব না থাকলে আমাদের অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে। তাই এসব রক্ষা করা সবারই দায়িত্ব।
মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২
পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সেতু-কালভার্টের নিচে একসময় খাল থাকলেও এখন সেগুলো অদৃশ্য হয়ে গেছে। সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে পানি প্রবাহিত হতে পারছে না। এতে একদিকে যেমন সেতুগুলোর কার্যকারিতা হারিয়েছে, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাবনা-বাঘাবাড়ি সড়কের চাটমোহর অংশে বিভিন্ন এলাকায় কালভার্ট-সেতুর দুই পাশের জমির মালিকরা খাল ভরাট করে ফেলেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার পাশপাশি শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় কৃষকের সেচের পানির সংকট।
সারা দেশেই নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয় ভরাট-দখল-দূষণের মহোসৎব চলছে। যার যেমন খুশি সে তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে। সারা দেশ যেন এখন ‘জলাশয় বৈরী’ দেশে পরিণত হয়েছে। কোন খাল রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে সেটা ঘটে, যেমনটা ঘটেছে চাটমোহরে। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল বা ভরাট হতে পারে না। দেশে নদী-নালা-খাল-বিল-জলাশয়ের প্রতি সংশ্লিষ্টদের কোন দায়িত্ব বা কর্তব্য আছে বলে মনে হয় না। তেমনি এর প্রতি একশ্রেণীর মানুষের মমত্ববোধ আছে কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন। কারণ এগুলো তাদের মাধ্যমেই দখল বা ভরাট হচ্ছে। দখল-দূষণ নিয়ে এত লেখালেখির পরেও তাদের বোধদয় হচ্ছে না।
পলি পড়ে এবং দখল-দূষণের কারণে দেশের নদী-খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু নদী-খাল। নদীর ধারে গড়ে উঠেছে শিল্প ও কলকারখানা, অপরিকল্পিতভাবে দেয়া হচ্ছে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদী-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। ফলে থেমে যাচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি। এসব নদী-খালের খনন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।
দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত করে খননেন ব্যবস্থা করতে হবে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। খননের পর পুনরায় ভরাট বা পুনর্দখল হয়ে যাবে না-আমরা এমনটাই দেখতে। এটা শুধু চাটমোহরের খালের ক্ষেত্রে নয়, দেশের সব নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এসব দখল বা ভরাটের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নদী-খাল প্রাণ-প্রকৃতির অংশ, এগুলো অস্তিত্ব না থাকলে আমাদের অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে। তাই এসব রক্ষা করা সবারই দায়িত্ব।