স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন পরিষ্কার করার জন্য রাজশাহীতে বসানো হয়েছে ওয়াশিং প্ল্যান্ট। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের ৮ নভেম্বর প্ল্যান্টটি উদ্বোধন করা হয়। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল- দুইভাবেই ব্যবহার করা এ প্ল্যান্টটিতে গড়ে ১০ মিনিটে ১৪ কোচের একটি ট্রেন পরিষ্কার করা যায়।
অত্যাধুনিক প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী। এটি প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ লিটার পানি সাশ্রয় করতে পারে। ব্যবহৃত পানির ৭০ শতাংশই রি-সাইকেল করে ব্যবহারের উপযোগী করা যায়। কিন্তু সেখানে দিনে মাত্র একটি করে ট্রেন ওয়াশ করা হচ্ছে। বাকি আটটি ট্রেন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ওয়াশ করে ঠিকাদারের কর্মীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শানটিং সমস্যার কারণে প্ল্যান্টটির সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া এখানে ট্রেনের শিডিউল ঠিক রেখে ওয়াশ করা যায় না। রেলের ওয়াশ প্লান্ট আছে কিন্তু সেটি সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে একদিকে যেমন রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রেন ওয়াশ করেও টাকার অপচয় করা হচ্ছে। এর বাইরে নিশ্চয়ই ওয়াশ প্লান্টের রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভাল করার জন্য খরচ করতে হচ্ছে। একই কাজের জন্য একাধিকভাবে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় করছে রেলওয়ে।
শুধু ওয়াশ প্লান্টই নয় বরং নানা ক্ষেত্রেই রেল কর্তৃপক্ষের এমন অর্থের অপচয় করতে বা সক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে উদাসীনতা দেখা যায়। অবকাঠামো এবং প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের অনীহা আছে।
আমরা বলতে চাই, ওয়াশ প্ল্যান্ট ব্যবহারে যেসব বাধা ও সমস্যা রয়েছে সেগেুলো দূর করতে হবে। এটির সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ ও সময়ের অপচয় হোক আমরা তা চাই না। সবক্ষেত্রেই রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার অবসান ঘটুক- সেটাই আমাদের চাওয়া।
বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন পরিষ্কার করার জন্য রাজশাহীতে বসানো হয়েছে ওয়াশিং প্ল্যান্ট। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের ৮ নভেম্বর প্ল্যান্টটি উদ্বোধন করা হয়। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল- দুইভাবেই ব্যবহার করা এ প্ল্যান্টটিতে গড়ে ১০ মিনিটে ১৪ কোচের একটি ট্রেন পরিষ্কার করা যায়।
অত্যাধুনিক প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী। এটি প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ লিটার পানি সাশ্রয় করতে পারে। ব্যবহৃত পানির ৭০ শতাংশই রি-সাইকেল করে ব্যবহারের উপযোগী করা যায়। কিন্তু সেখানে দিনে মাত্র একটি করে ট্রেন ওয়াশ করা হচ্ছে। বাকি আটটি ট্রেন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ওয়াশ করে ঠিকাদারের কর্মীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শানটিং সমস্যার কারণে প্ল্যান্টটির সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া এখানে ট্রেনের শিডিউল ঠিক রেখে ওয়াশ করা যায় না। রেলের ওয়াশ প্লান্ট আছে কিন্তু সেটি সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে একদিকে যেমন রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রেন ওয়াশ করেও টাকার অপচয় করা হচ্ছে। এর বাইরে নিশ্চয়ই ওয়াশ প্লান্টের রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভাল করার জন্য খরচ করতে হচ্ছে। একই কাজের জন্য একাধিকভাবে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় করছে রেলওয়ে।
শুধু ওয়াশ প্লান্টই নয় বরং নানা ক্ষেত্রেই রেল কর্তৃপক্ষের এমন অর্থের অপচয় করতে বা সক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে উদাসীনতা দেখা যায়। অবকাঠামো এবং প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের অনীহা আছে।
আমরা বলতে চাই, ওয়াশ প্ল্যান্ট ব্যবহারে যেসব বাধা ও সমস্যা রয়েছে সেগেুলো দূর করতে হবে। এটির সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ ও সময়ের অপচয় হোক আমরা তা চাই না। সবক্ষেত্রেই রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার অবসান ঘটুক- সেটাই আমাদের চাওয়া।