ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে ঢাকা রুটে উদ্বোধন করা হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস। কিন্তু উদ্বোধনের পর বাস থামিয়ে যাত্রীদের মাঝপথে নামিয়ে দেয়া হয়, বাসটি পুনরায় বোয়ালমারী ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। গত বুধবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌর কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এক থেকে দেড়শ’ লোক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। তারা বিআরটিসি বাসের চালক ও সহকারীকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে মারধর করে। শুধু তাই নয়, তাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়-এ লাইনে বাস চালালে হাত-পা কেটে নেয়া হবে। এ সময় বাসযাত্রীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে তারা।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ ও ভোগান্তির অবসান হয়েছে। অল্প সময়ে সড়কপথে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। যাত্রীসাধারণের পরিবহনসেবা দিতে এগিয়ে এসেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি। ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহর পর্যন্ত নতুন নতুন রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
অপেক্ষাকৃত কম ভাড়া ও ভোগান্তিহীন বলে যাত্রীসাধারণও স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ভ্রমণ করছেন। বিভিন্ন সময় তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। আমরা দেখছি, সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাস মালিক গ্রুপ বা সমিতি। শুধু ফরিদপুরে নয়, এর আগে শরীয়তপুরেও বিআরটিসির বাস আটকে রেখেছিল সেখানকার স্থানীয় বাস মালিক গ্রুপ।
দেশের এক শ্রেণীর পরিবহন মালিকরা চায় না সড়কে বিআরটিসির বাস চলাচল করুক। যাতায়াতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা থাকুক, যাত্রীসাধারণ তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাক। কারণ বিআরটিসির বাস চললে পরিবহন খাতে তাদের একচেটিয়া ব্যবসা ও লুটপাটে অসুবিধা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রের পরিবহন সেবাকে বেসরাকারি পরিবহন মালিকরা বাধা দেয়ার সাহস পায় কোথা থেকে। আর বাধা দিয়ে তারা বহাল তবিয়তে থাকে কি করে! যুগের পর যুগ ধরে তারা এমন অন্যায় করে আসছে। কিন্তু কোথাও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় না। যেমনটা নেয়া হয়নি ফরিদপুর ও শরীয়তপুরে। উল্টা তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের আলোচনায় বসতে দেখা গেছে। তাদের অন্যায় আবদার রক্ষা করতে গিয়ে বিআরটিসির বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কিংবা সংখ্যায় কমিয় দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, এসব পরিবহন মালিক ও নেতারা কোন না কোনভাবে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত। তারা স্থানীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আর যাত্রীসাধারণও তাদের ভোগান্তি ও জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান না।
আমরা এ অবস্থার নিরসন চাই। রাস্তা অবরোধ করে বাস থামিয়ে যাত্রীদের জোরপূর্বক নামিয়ে দেয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনভাবে যেন বিআরটিসির বাস বন্ধ হয়ে না যায় কিংবা বাসের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া না হয়।
রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে ঢাকা রুটে উদ্বোধন করা হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস। কিন্তু উদ্বোধনের পর বাস থামিয়ে যাত্রীদের মাঝপথে নামিয়ে দেয়া হয়, বাসটি পুনরায় বোয়ালমারী ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। গত বুধবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌর কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এক থেকে দেড়শ’ লোক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। তারা বিআরটিসি বাসের চালক ও সহকারীকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে মারধর করে। শুধু তাই নয়, তাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়-এ লাইনে বাস চালালে হাত-পা কেটে নেয়া হবে। এ সময় বাসযাত্রীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে তারা।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ ও ভোগান্তির অবসান হয়েছে। অল্প সময়ে সড়কপথে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। যাত্রীসাধারণের পরিবহনসেবা দিতে এগিয়ে এসেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি। ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহর পর্যন্ত নতুন নতুন রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
অপেক্ষাকৃত কম ভাড়া ও ভোগান্তিহীন বলে যাত্রীসাধারণও স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ভ্রমণ করছেন। বিভিন্ন সময় তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। আমরা দেখছি, সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাস মালিক গ্রুপ বা সমিতি। শুধু ফরিদপুরে নয়, এর আগে শরীয়তপুরেও বিআরটিসির বাস আটকে রেখেছিল সেখানকার স্থানীয় বাস মালিক গ্রুপ।
দেশের এক শ্রেণীর পরিবহন মালিকরা চায় না সড়কে বিআরটিসির বাস চলাচল করুক। যাতায়াতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা থাকুক, যাত্রীসাধারণ তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাক। কারণ বিআরটিসির বাস চললে পরিবহন খাতে তাদের একচেটিয়া ব্যবসা ও লুটপাটে অসুবিধা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রের পরিবহন সেবাকে বেসরাকারি পরিবহন মালিকরা বাধা দেয়ার সাহস পায় কোথা থেকে। আর বাধা দিয়ে তারা বহাল তবিয়তে থাকে কি করে! যুগের পর যুগ ধরে তারা এমন অন্যায় করে আসছে। কিন্তু কোথাও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় না। যেমনটা নেয়া হয়নি ফরিদপুর ও শরীয়তপুরে। উল্টা তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের আলোচনায় বসতে দেখা গেছে। তাদের অন্যায় আবদার রক্ষা করতে গিয়ে বিআরটিসির বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কিংবা সংখ্যায় কমিয় দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, এসব পরিবহন মালিক ও নেতারা কোন না কোনভাবে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত। তারা স্থানীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আর যাত্রীসাধারণও তাদের ভোগান্তি ও জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান না।
আমরা এ অবস্থার নিরসন চাই। রাস্তা অবরোধ করে বাস থামিয়ে যাত্রীদের জোরপূর্বক নামিয়ে দেয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনভাবে যেন বিআরটিসির বাস বন্ধ হয়ে না যায় কিংবা বাসের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া না হয়।