সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার দুই নারী শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত শনিবার রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
র্যাব জনিয়েছে, সৌদি আরবে তারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের নিয়মিত বেতনও দেয়া হতো না। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় র্যাব। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মীদের নির্যাতনের এ ঘটনা নতুন নয়। সেখানে যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে যান, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। অনেকে যৌন নির্যাতনেরও শিকার হন।
ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বাইরে প্রায় ৯ লাখের মতো নারী কাজ করছেন। তাদের অর্ধেকই সৌদি আরবে। নিয়মিত বিরতিতে নারীকর্মীদের সৌদি আরব থেকে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে অভিবাসনের কঠিন চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে। এখন যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদের করুন পরিণতি সহজেই অনুমেয়। ফিরে আসা একজন নারী জানিয়েছেন, তাদের মতো শতাধিক নারী রয়েছেন যারা সৌদি আরবে নির্যাতিত হচ্ছেন নিয়মিত।
অভিবাসন বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন, নারী গৃহকর্মীদের সৌদি আরবগামী উড়োজাহাজে তুলে দেয়ার পর শেষ পর্যন্ত তারা দেশটির কোথায় এবং কী কাজে যুক্ত হন, সে বিষয়ে বাংলাদেশের আর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। নির্যাতনের শিকার হয়ে কেউ দূতাবাসের শরণাপন্ন হলে অথবা ভুক্তভোগী নারীর স্বজনরা কোন অভিযোগ করলেই শুধু সরকার এ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারে। নারীকর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটি এককভাবে সৌদি আরবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অনেকে বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে মর্যাদার প্রশ্নও আছে। দেশের জাতীয় সংসদেও সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করার দাবি উঠেছে কয়েকবার। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।
নির্যাতিত হয়ে যারা ফিরে আসছেন, তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২
সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার দুই নারী শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত শনিবার রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
র্যাব জনিয়েছে, সৌদি আরবে তারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের নিয়মিত বেতনও দেয়া হতো না। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় র্যাব। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মীদের নির্যাতনের এ ঘটনা নতুন নয়। সেখানে যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে যান, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। অনেকে যৌন নির্যাতনেরও শিকার হন।
ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বাইরে প্রায় ৯ লাখের মতো নারী কাজ করছেন। তাদের অর্ধেকই সৌদি আরবে। নিয়মিত বিরতিতে নারীকর্মীদের সৌদি আরব থেকে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে অভিবাসনের কঠিন চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে। এখন যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদের করুন পরিণতি সহজেই অনুমেয়। ফিরে আসা একজন নারী জানিয়েছেন, তাদের মতো শতাধিক নারী রয়েছেন যারা সৌদি আরবে নির্যাতিত হচ্ছেন নিয়মিত।
অভিবাসন বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন, নারী গৃহকর্মীদের সৌদি আরবগামী উড়োজাহাজে তুলে দেয়ার পর শেষ পর্যন্ত তারা দেশটির কোথায় এবং কী কাজে যুক্ত হন, সে বিষয়ে বাংলাদেশের আর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। নির্যাতনের শিকার হয়ে কেউ দূতাবাসের শরণাপন্ন হলে অথবা ভুক্তভোগী নারীর স্বজনরা কোন অভিযোগ করলেই শুধু সরকার এ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারে। নারীকর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটি এককভাবে সৌদি আরবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অনেকে বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে মর্যাদার প্রশ্নও আছে। দেশের জাতীয় সংসদেও সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করার দাবি উঠেছে কয়েকবার। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।
নির্যাতিত হয়ে যারা ফিরে আসছেন, তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।