দাম বাড়ার চাপে জেরবার সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়েই চলেছে। চাল, আটা, ডিম প্রভৃতির দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে বেড়ে যাওয়ার ঘানি যে টানতে হবে সেটা মানুষ জানে। কিন্তু বাজারে গিয়ে পণ্যের দাম শুনে তারা বিস্ময় মানছে। ফার্মের মুরগির এক হালি ডিমের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। তেলের দাম বাড়ার আগে যা ছিল ৪০ টাকা। চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, পণ্যের দাম রাতারাতি এত বাড়ে কীভাবে।
সাধারণ মানুষের এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবেন? বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই প্রশ্ন করে বসেছেন। তিনি বলেছেন, চালের দাম ৪ টাকা বাড়ে কোন যুক্তিতে। তার ভাষ্য, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বাড়তে পারে।
আমরা জানতে চাই, অযৌক্তিক হারে দাম কেন বাড়ছে সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার দায়িত্ব কার। দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে তা দূর করার দায়িত্ব কার? জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সব ক্ষেত্রে যে এর প্রভাব পড়বে সেটা তো জানা কথা। তেলের দাম কত বাড়ালে নিত্যপণ্যের দাম কত বাড়বে, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে সেসব নিয়ে সরকার আগে-পরে কী কিছু ভেবেছে?
বাণিজ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। এর আগেও তিনি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ করে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ‘পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে’-এমন বক্তব্যও কাজে আসেনি। শুধু মুখের কথায় চিড়ে কখনো ভেজে না।
বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য দক্ষ, যোগ্য এবং দায়িত্বশীল লোকের বিকল্প নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে একটি দূরদর্শী কর্তৃপক্ষ আগাম ব্যবস্থা নেবে সেটাই স্বাভাবিক। অভিযোগ আছে, দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে ঘাটতি ও দুর্বলতা রয়েছে। দুর্বলতা দূর করে শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কোন চেষ্টা দৃশ্যমান নয়। আর এর খেসারত বেশি দিতে হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষকে।
নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। মানুষের ব্যয় বেড়েই যাচ্ছে, কিন্তু তাদের আয় কি বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। নইলে মানুষের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
দাম বাড়ার চাপে জেরবার সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়েই চলেছে। চাল, আটা, ডিম প্রভৃতির দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে বেড়ে যাওয়ার ঘানি যে টানতে হবে সেটা মানুষ জানে। কিন্তু বাজারে গিয়ে পণ্যের দাম শুনে তারা বিস্ময় মানছে। ফার্মের মুরগির এক হালি ডিমের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। তেলের দাম বাড়ার আগে যা ছিল ৪০ টাকা। চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, পণ্যের দাম রাতারাতি এত বাড়ে কীভাবে।
সাধারণ মানুষের এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবেন? বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই প্রশ্ন করে বসেছেন। তিনি বলেছেন, চালের দাম ৪ টাকা বাড়ে কোন যুক্তিতে। তার ভাষ্য, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বাড়তে পারে।
আমরা জানতে চাই, অযৌক্তিক হারে দাম কেন বাড়ছে সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার দায়িত্ব কার। দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে তা দূর করার দায়িত্ব কার? জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সব ক্ষেত্রে যে এর প্রভাব পড়বে সেটা তো জানা কথা। তেলের দাম কত বাড়ালে নিত্যপণ্যের দাম কত বাড়বে, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে সেসব নিয়ে সরকার আগে-পরে কী কিছু ভেবেছে?
বাণিজ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। এর আগেও তিনি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ করে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ‘পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে’-এমন বক্তব্যও কাজে আসেনি। শুধু মুখের কথায় চিড়ে কখনো ভেজে না।
বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য দক্ষ, যোগ্য এবং দায়িত্বশীল লোকের বিকল্প নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে একটি দূরদর্শী কর্তৃপক্ষ আগাম ব্যবস্থা নেবে সেটাই স্বাভাবিক। অভিযোগ আছে, দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে ঘাটতি ও দুর্বলতা রয়েছে। দুর্বলতা দূর করে শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কোন চেষ্টা দৃশ্যমান নয়। আর এর খেসারত বেশি দিতে হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষকে।
নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। মানুষের ব্যয় বেড়েই যাচ্ছে, কিন্তু তাদের আয় কি বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। নইলে মানুষের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।