alt

সম্পাদকীয়

নির্মাণাধীন স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি বিদ্যালয় ভবনের সিঁড়ি কক্ষের ছাদ ধসে পড়েছে। গত সোমবার উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছাদে ওঠার সিঁড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ছাদে ঢালাইয়ে নামমাত্র রডের ব্যবহার করা হয়েছে। ছাদে পাঁচ ইঞ্চি দূরত্বে একেকটি রড দেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতিটি রডের দূরত্ব রাখা হয়েছে এক ফুটের বেশি। এ ছাড়া অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এ অবস্থায় ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।

দেশে অবকাঠামো নির্মাণে বহুমাত্রিক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। শুধু যে নির্মাণ কাজের নিম্নমানের উপকরণ দেয়া হয়, তা নয়, নির্মাণ প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়। অনেক অবকাঠামো নির্মাণকাজে যে অনুপাতে রড, সিমেন্টসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়ার কথা, তা ঠিকমতো দেওয়া হয় না, পরিমাণে কম দেওয়া হয়। যেমনটা হয়েছে কবিরহাটের ওই বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা উচিত।

দেশে অনিয়ম ও দুর্নীতি একটি সর্বগ্রাসী অপ্রতিরোধ্য রূপ ধারণ করেছে। দুর্নীতিবাজরা শুধু একটি দুটি ক্ষেত্রে অনিয়ম করছে না। সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতির ছাপ রাখছে। নির্মাণসামগ্রীর মান খারাপ ও পরিমাণ কম দিয়ে কীভাবে টাকাটা তাদের পকেটে পুরবে সেই প্রচেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত খেসারত দিতে হয় দেশের সাধারণ মানুষকেই।

শুধু যে অর্থের শ্রাদ্ধ হয়, তা-ই নয়, মাঝেমধ্যে প্রাণ সংহারেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায় এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি। ভাগ্য ভালো যে দুর্ঘটনার দিন বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ছিল। না হয় সেখানকার ছাদ ধসে পড়ার ঘটনা বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পরত। সেখানে যদি হতাহতের ঘটনা ঘটত, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে বহন করত-সেটা একটা প্রশ্ন।

কোন কাজে পাহাড়সম অনিয়ম ও দুর্নীতি করলেও ভুক্তভোগীসহ সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করতে পারে না। তাহলে তাদের লাঞ্ছিত হতে হয়, দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজের তদারকি করতে আসা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিকে বিষয়টি অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাননি।

বিদ্যালয় ভবন, সরকারি বিভিন্ন ভবন নির্মাণ, গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কোন কিছুই অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এটা খুবই উদ্বেগজনক। দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার থামাতে হবে। না হলে দেশের উন্নতি টেকসই হবে না, বিদ্যালয়ের ভবনের মতোই সেটা হঠাৎ করে এক দিন ধসে পড়বে।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

নির্মাণাধীন স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি বিদ্যালয় ভবনের সিঁড়ি কক্ষের ছাদ ধসে পড়েছে। গত সোমবার উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছাদে ওঠার সিঁড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ছাদে ঢালাইয়ে নামমাত্র রডের ব্যবহার করা হয়েছে। ছাদে পাঁচ ইঞ্চি দূরত্বে একেকটি রড দেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতিটি রডের দূরত্ব রাখা হয়েছে এক ফুটের বেশি। এ ছাড়া অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এ অবস্থায় ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।

দেশে অবকাঠামো নির্মাণে বহুমাত্রিক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। শুধু যে নির্মাণ কাজের নিম্নমানের উপকরণ দেয়া হয়, তা নয়, নির্মাণ প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়। অনেক অবকাঠামো নির্মাণকাজে যে অনুপাতে রড, সিমেন্টসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়ার কথা, তা ঠিকমতো দেওয়া হয় না, পরিমাণে কম দেওয়া হয়। যেমনটা হয়েছে কবিরহাটের ওই বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা উচিত।

দেশে অনিয়ম ও দুর্নীতি একটি সর্বগ্রাসী অপ্রতিরোধ্য রূপ ধারণ করেছে। দুর্নীতিবাজরা শুধু একটি দুটি ক্ষেত্রে অনিয়ম করছে না। সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতির ছাপ রাখছে। নির্মাণসামগ্রীর মান খারাপ ও পরিমাণ কম দিয়ে কীভাবে টাকাটা তাদের পকেটে পুরবে সেই প্রচেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত খেসারত দিতে হয় দেশের সাধারণ মানুষকেই।

শুধু যে অর্থের শ্রাদ্ধ হয়, তা-ই নয়, মাঝেমধ্যে প্রাণ সংহারেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায় এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি। ভাগ্য ভালো যে দুর্ঘটনার দিন বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ছিল। না হয় সেখানকার ছাদ ধসে পড়ার ঘটনা বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পরত। সেখানে যদি হতাহতের ঘটনা ঘটত, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে বহন করত-সেটা একটা প্রশ্ন।

কোন কাজে পাহাড়সম অনিয়ম ও দুর্নীতি করলেও ভুক্তভোগীসহ সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করতে পারে না। তাহলে তাদের লাঞ্ছিত হতে হয়, দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজের তদারকি করতে আসা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিকে বিষয়টি অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাননি।

বিদ্যালয় ভবন, সরকারি বিভিন্ন ভবন নির্মাণ, গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কোন কিছুই অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এটা খুবই উদ্বেগজনক। দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার থামাতে হবে। না হলে দেশের উন্নতি টেকসই হবে না, বিদ্যালয়ের ভবনের মতোই সেটা হঠাৎ করে এক দিন ধসে পড়বে।

back to top