চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তারের তথ্য থেকে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৮ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। ডেঙ্গুতে এ বছরের গত আগস্টে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি মাসের ৬ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে মোট ৭ হাজার ৩৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এবারের বর্ষায় গত ৪০ বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখন ভাদ্রে বৃষ্টির দেখা মিলছে। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ, প্লাস্টিকের ড্রাম, ডাবের খোসা ও বাড়ির ভেতরে জমিয়ে রাখা বালতির পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার হচ্ছে। লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হয়ে আবার ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এডিশ মশা দমনে কোন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। মশা নিয়ন্ত্রণ করায় এর পরের বছরগুলোতে প্রকোপ খুব বেশি একটা দেখা না গেলেও ২০১৯ সালে ঢাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে সে বছর দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ও দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০। এবার যদিও তেমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। তারপরও ডেঙ্গু নিয়ে নাগরিকদের মনে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়তি সচেতনতা দরকার। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে যাতে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। তাই এডিস মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের চিরুনি অভিযান পারিচালনা করতে হবে।
এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে নাগরিকদেরই বেশি সচেতন হতে হবে। তাই সামাজিক পরিসরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মসূচি নিতে হবে। ঘর থেকেই শুরু করতে হবে এ কার্যক্রম। নিজেদের বাড়ির অন্দর নিজেদেরই পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘর, বারান্দা, ছাদ কিংবা বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিন থেকে পাঁচ দিনের জমা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। কোথাও পানি জমে থাকলে অবশ্যই প্রতি তিন দিনে অন্তত একবার তা নিষ্কাশন করতে হবে। একান্তই যদি বাড়িতে কোথাও পানি ধরে রাখতে হয়, তবে পানির পাত্রটি ঢেকে রাখতে হবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তারের তথ্য থেকে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৮ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। ডেঙ্গুতে এ বছরের গত আগস্টে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি মাসের ৬ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে মোট ৭ হাজার ৩৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এবারের বর্ষায় গত ৪০ বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখন ভাদ্রে বৃষ্টির দেখা মিলছে। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ, প্লাস্টিকের ড্রাম, ডাবের খোসা ও বাড়ির ভেতরে জমিয়ে রাখা বালতির পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার হচ্ছে। লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হয়ে আবার ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এডিশ মশা দমনে কোন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। মশা নিয়ন্ত্রণ করায় এর পরের বছরগুলোতে প্রকোপ খুব বেশি একটা দেখা না গেলেও ২০১৯ সালে ঢাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে সে বছর দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ও দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০। এবার যদিও তেমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। তারপরও ডেঙ্গু নিয়ে নাগরিকদের মনে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়তি সচেতনতা দরকার। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে যাতে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। তাই এডিস মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের চিরুনি অভিযান পারিচালনা করতে হবে।
এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে নাগরিকদেরই বেশি সচেতন হতে হবে। তাই সামাজিক পরিসরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মসূচি নিতে হবে। ঘর থেকেই শুরু করতে হবে এ কার্যক্রম। নিজেদের বাড়ির অন্দর নিজেদেরই পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘর, বারান্দা, ছাদ কিংবা বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিন থেকে পাঁচ দিনের জমা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। কোথাও পানি জমে থাকলে অবশ্যই প্রতি তিন দিনে অন্তত একবার তা নিষ্কাশন করতে হবে। একান্তই যদি বাড়িতে কোথাও পানি ধরে রাখতে হয়, তবে পানির পাত্রটি ঢেকে রাখতে হবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।