কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোচীন উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দেশটিতে কম্পিউটারভিত্তিক চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশিদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের কেউ কেউ ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অনেকে এখনো দেশটিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মানব পাচার দেশের বড় একটি সমস্যা। এ সমস্যা থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দেওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে- সরকার মানব পাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ও অপরাধীর দন্ড দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না।
আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানব পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানব পাচার বন্ধে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তাতে চুনোপুঁটিরাই শুধু ধরা পড়ে। রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। মানব পাচারসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৯৮ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সাজা হচ্ছে মাত্র দুই ভাগের।
মানব পাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
উন্নত জীবনের খোঁজে দেশ থেকে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ-আমেরিকাই তাদের মূল গন্তব্য। সম্প্রতি অনেকে কম্বোডিয়াতেও যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেশের মানুষকে প্রতারণা করছে একটি চক্র। বিশেষত করোনা মহামারীর আগে ও পরে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মোট কতজন মানুষ এ পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় গেছে, তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। লোভনীয় চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে মানব পাচারকারীরা তাদের কম্বোডিয়ায় নিয়ে ফাঁদে ফেলছে।
কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দেশটিতে এখনো যারা আছেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
মানব পাচারকারীদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকরা যেন জেনেবুঝে বিদেশে যান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোথায় যাচ্ছেন, কথিত প্রতিষ্ঠান আসল কিনা, ভিসা সঠিক কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর বিদেশে যেতে হবে। দালালদের প্রলোভন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোচীন উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দেশটিতে কম্পিউটারভিত্তিক চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশিদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের কেউ কেউ ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অনেকে এখনো দেশটিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মানব পাচার দেশের বড় একটি সমস্যা। এ সমস্যা থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দেওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে- সরকার মানব পাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ও অপরাধীর দন্ড দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না।
আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানব পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানব পাচার বন্ধে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তাতে চুনোপুঁটিরাই শুধু ধরা পড়ে। রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। মানব পাচারসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৯৮ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সাজা হচ্ছে মাত্র দুই ভাগের।
মানব পাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
উন্নত জীবনের খোঁজে দেশ থেকে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ-আমেরিকাই তাদের মূল গন্তব্য। সম্প্রতি অনেকে কম্বোডিয়াতেও যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেশের মানুষকে প্রতারণা করছে একটি চক্র। বিশেষত করোনা মহামারীর আগে ও পরে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মোট কতজন মানুষ এ পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় গেছে, তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। লোভনীয় চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে মানব পাচারকারীরা তাদের কম্বোডিয়ায় নিয়ে ফাঁদে ফেলছে।
কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দেশটিতে এখনো যারা আছেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
মানব পাচারকারীদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকরা যেন জেনেবুঝে বিদেশে যান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোথায় যাচ্ছেন, কথিত প্রতিষ্ঠান আসল কিনা, ভিসা সঠিক কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর বিদেশে যেতে হবে। দালালদের প্রলোভন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।