alt

সম্পাদকীয়

কম্বোডিয়ায় মানব পাচার মূলহোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোচীন উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দেশটিতে কম্পিউটারভিত্তিক চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশিদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের কেউ কেউ ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অনেকে এখনো দেশটিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানব পাচার দেশের বড় একটি সমস্যা। এ সমস্যা থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দেওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে- সরকার মানব পাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ও অপরাধীর দন্ড দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না।

আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানব পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানব পাচার বন্ধে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তাতে চুনোপুঁটিরাই শুধু ধরা পড়ে। রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। মানব পাচারসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৯৮ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সাজা হচ্ছে মাত্র দুই ভাগের।

মানব পাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

উন্নত জীবনের খোঁজে দেশ থেকে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ-আমেরিকাই তাদের মূল গন্তব্য। সম্প্রতি অনেকে কম্বোডিয়াতেও যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেশের মানুষকে প্রতারণা করছে একটি চক্র। বিশেষত করোনা মহামারীর আগে ও পরে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মোট কতজন মানুষ এ পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় গেছে, তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। লোভনীয় চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে মানব পাচারকারীরা তাদের কম্বোডিয়ায় নিয়ে ফাঁদে ফেলছে।

কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দেশটিতে এখনো যারা আছেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

মানব পাচারকারীদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকরা যেন জেনেবুঝে বিদেশে যান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোথায় যাচ্ছেন, কথিত প্রতিষ্ঠান আসল কিনা, ভিসা সঠিক কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর বিদেশে যেতে হবে। দালালদের প্রলোভন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

কম্বোডিয়ায় মানব পাচার মূলহোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোচীন উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দেশটিতে কম্পিউটারভিত্তিক চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশিদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের কেউ কেউ ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অনেকে এখনো দেশটিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানব পাচার দেশের বড় একটি সমস্যা। এ সমস্যা থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দেওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে- সরকার মানব পাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ও অপরাধীর দন্ড দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না।

আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানব পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানব পাচার বন্ধে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তাতে চুনোপুঁটিরাই শুধু ধরা পড়ে। রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। মানব পাচারসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৯৮ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সাজা হচ্ছে মাত্র দুই ভাগের।

মানব পাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

উন্নত জীবনের খোঁজে দেশ থেকে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ-আমেরিকাই তাদের মূল গন্তব্য। সম্প্রতি অনেকে কম্বোডিয়াতেও যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেশের মানুষকে প্রতারণা করছে একটি চক্র। বিশেষত করোনা মহামারীর আগে ও পরে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মোট কতজন মানুষ এ পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় গেছে, তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। লোভনীয় চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে মানব পাচারকারীরা তাদের কম্বোডিয়ায় নিয়ে ফাঁদে ফেলছে।

কম্বোডিয়ায় মানব পাচারের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দেশটিতে এখনো যারা আছেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

মানব পাচারকারীদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকরা যেন জেনেবুঝে বিদেশে যান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোথায় যাচ্ছেন, কথিত প্রতিষ্ঠান আসল কিনা, ভিসা সঠিক কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর বিদেশে যেতে হবে। দালালদের প্রলোভন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

back to top