ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাত গ্রামের হাজারো বাসিন্দার পারাপারের একমাত্র ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো। ফতেহপুর গ্রামে ভাটা নদীর ওপর নির্মিত এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের। সেখানে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সম্প্রতি কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয়দের অর্থায়নে এখানে ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটি এখন জারাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা এখানে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনহ জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি।
ফতেপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নানা কারণেই প্রতিনিয়ত আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের আসতে হয়। তাছাড়া উপজেলা সদরের সঙ্গেও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকো। সেখানে এতদিনে কেন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলো না-সেটা একটা প্রশ্ন।
কোন এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেতু বা কালভার্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রত্যন্ত এলাকাকে জেলা, উপজেলার সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায় এর মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনে গতি সঞ্চার করে।
দেশে বিভিন্ন সময়ই সেতু নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়ম আমাদের চোখে পড়ে। নির্মাণ হওয়ার পর একদিনও ব্যবহার না হওয়া সেতুর দেখাও মেলে। রাস্তাহীন সেসব সেতু নিয়ে কদিন পরপরই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়। আবার প্রয়োজন না থাকলেও কোথাও কোথাও সেতু নির্মাণ করা হয়। অথচ ফতেহপুর গ্রামের ভাটা নদীর উপর প্রয়োজনীয় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেখানে একটি সেতু অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করতে চাই, উক্ত নদীতে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেতুর জন্য এলাকার বাসিন্দাদের যেন যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে না হয়। দ্রুত তাদের ভোগান্তির অবসান হোক সেটাই প্রত্যাশা।
শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাত গ্রামের হাজারো বাসিন্দার পারাপারের একমাত্র ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো। ফতেহপুর গ্রামে ভাটা নদীর ওপর নির্মিত এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের। সেখানে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সম্প্রতি কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয়দের অর্থায়নে এখানে ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটি এখন জারাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা এখানে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনহ জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি।
ফতেপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নানা কারণেই প্রতিনিয়ত আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের আসতে হয়। তাছাড়া উপজেলা সদরের সঙ্গেও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকো। সেখানে এতদিনে কেন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলো না-সেটা একটা প্রশ্ন।
কোন এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেতু বা কালভার্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রত্যন্ত এলাকাকে জেলা, উপজেলার সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায় এর মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনে গতি সঞ্চার করে।
দেশে বিভিন্ন সময়ই সেতু নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়ম আমাদের চোখে পড়ে। নির্মাণ হওয়ার পর একদিনও ব্যবহার না হওয়া সেতুর দেখাও মেলে। রাস্তাহীন সেসব সেতু নিয়ে কদিন পরপরই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়। আবার প্রয়োজন না থাকলেও কোথাও কোথাও সেতু নির্মাণ করা হয়। অথচ ফতেহপুর গ্রামের ভাটা নদীর উপর প্রয়োজনীয় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেখানে একটি সেতু অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করতে চাই, উক্ত নদীতে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেতুর জন্য এলাকার বাসিন্দাদের যেন যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে না হয়। দ্রুত তাদের ভোগান্তির অবসান হোক সেটাই প্রত্যাশা।